ডায়বেটিস রোগীরা কি দুধ খেতে পারবেন জেনে নিন – Know Whether Diabetic Patients Can Eat Milk
ডায়াবেটিস একবার শরীরে বাসা বাঁধলে সহজে পিছু ছাড়ে না। তাছাড়া, এই রোগের হাত ধরেই অন্য আরও জটিল রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এর পাশাপাশি ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি দুধ পান করতে পারেন।
বর্তমান ভারতে ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। খেয়াল করে যদি দেখেন, আপনার পরিচিত এমন বেশ কয়েকজন রয়েছে যাঁরা এই রোগে আক্রান্ত। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ডায়েট ঠিকঠাক রাখতে হবে। যেমন ডায়েটে ৪৫ থেকে ৬০ গ্রাম কার্বস থাকতে হবে। এক গ্লাস দুধে ১৫ গ্রাম কার্বস রয়েছে।
দুধে কমতে পারে ব্লাড সুগার! সঙ্গে আর কী-কী উপাদান মেশাবেন
আপনি যদিও প্রাতঃরাশে দুধ খান, তবে আপনাকে ক্যালোরির খোঁজও রাখতে হবে। কারণ এটি চর্বি এবং ইনসুলিনের পরিমাণের সাথেও সরাসরি সম্পর্কিত।
তবে যে ধরনের ডায়াবেটিসেই আপনি আক্রান্ত হোন না কেন, এই বিষয়ে সচেতনতা ভীষণ ভাবে জরুরি। কারণ এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে সহজে পিছু ছাড়ে না।
ব্রেকফাস্টে ওটস, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবারগুলো সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেলে এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। যেহেতু স্থূলতা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে, তাই খাদ্যতালিকায় নজর দেওয়া বিশেষভাবে জরুরি।
প্রোটিনের পাশাপাশি দুধে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। এগুলো অবশ্যই একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে কার্যকর হল দারুচিনি। দারুচিনি হল এমন একটি মশলা যার ওষুধি গুণ হাজারো। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণভাবে উপকারী।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে নিয়মিত দুধ পান করছেন,
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বাদামজাত দুধের চেয়ে আরও ভাল বিকল্প কিছু হতে পারে, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।
হলুদ হচ্ছে এমন একটি ভেষজ মশলা যার জুড়ি মেলা ভার। এই উপাদানটি যখন দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করা হয়, তখন এর কার্যকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
দুধের সঙ্গে আমন্ড বাটা মিশিয়েও পান করতে পারেন। আমন্ডের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। নিয়মিত এইভাবে দুধ পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তা করতে হবে না আপনাকে। এর সঙ্গে শরীরে শক্তির জোগানও মিলবে।
Tags – Diabetic Patients Can Eat Milk Life Style Health Tips Health Care