ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে বিশেষ কিছু ফল – Some Special Fruits For Diabetic Patients
ফল কিন্তু সকলের জন্যই উপকারী , কিন্তু ডায়াবেটিক রোগী তাঁদের ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। বেশ কিছু ফল কিন্তু আপনার সুগারকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আপনি যদি একজন ডায়াবেটিক বা সুগারের রুগী হন তহলে অবশ্যই মেনে চলতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। বর্তমানে ডায়াবেটিস বা সুগারের সমস্যা ঘরে ঘরে।
ডায়েটে রাখুন এই ফল, ডায়াবেটিস থাকবে দূরে
মনে রাখবেন, বেশ কিছু ফল কিন্তু আপনার সুগারকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আপনি যদি একজন ডায়াবেটিক বা সুগারের রুগী হন তহলে অবশ্যই মেনে চলতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিক বা সুগার রোগীদের জন্য ঠিক কী ধরনের ফল খাওয়া উচিত।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, যেকোনও ফলেই জল বাদে প্রধান উপাদান হল সুগার। তাই মাত্রাতিরিক্ত ফল খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
অন্যদিকে ফলে যে ভিটামিন, খনিজ লবণ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার যথেষ্ট পরিমাণে থাকে, সেগুলি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক উপায়ে ডায়াবেটিস কমাতেও সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ফল খাওয়ার আগে জেনে নেওয়া উচিত কোন ফল খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়বে ।
আপনি যদি একজন ডায়াবেটিক রোগী হন তাহলে একটা বিষয় অবশ্যই জানা প্রয়োজন। সেটি হল, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মূলত তিন ধরনের হয়, কম, মাঝারি ও উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। এই মাপকাঠিটিই বলে দেবে ডায়াবেটিসে কোন ফল খাওয়া যাবে আর কোন ফল খাদ্যতলিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
মিষ্টি আপেল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয় একেবারেই। উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আপেলের GI ইনডেক্স ৩০ থেকে ৫০। তাই দিনে একটি ছোট আপেল খাওয়া যেতেই পারে।
স্ত্রবেরিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার। এই ফল হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি স্ট্রবেরিতে কার্বোহাইড্রেইডের পরিমাণ খুব কম, যা ব্লাড সুগারকে স্থিতিশীল রাখে।
সুগারের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই ফল
ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হল পেয়ারা। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ আছে, যা সুগার রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।
কালো জাম: গ্রীষ্মের ফল কালোজাম ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী একটি ফল। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে তাই ডায়াবেটিক রোগীরা একদম চিন্তামুক্তভাবে এই ফলটি খেতে পারেন।
অ্যাভোকাডো: মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো হজমক্রিয়াকে ধীর করে এবং রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কামরাঙ্গা: বিশেষ করে টক কামরাঙ্গা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কালো জামের মতো এটিও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে ফলে ডায়াবেটিক রোগীরা তাদের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ফলটি তাদের খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
আনারস: আনারস অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামাটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটরিয়াল একটি ফল, যা খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল, যার কারনে পেঁপে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। কাঁচা ও পাকা দুই রকম পেঁপেই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। খিদে পেলে পেট ভরাতেও অনন্য এই খাবার, তবে পাকা পেঁপে মিষ্টি হলে খাবেন পরিমিত পরিমাণে।
ডালিম: ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ডালিম। ডালিম এমনিতেই অনেক রোগের কার্যকরি ওষুধ হিসেবে কাজে দেয়, তবে ডায়াবেটিস রোগটি নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ সহায়তা করে।
জামরুল: তরমুজের মতো জামরুলেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত জামরুল খেতে পারেন।
আমলকী: আমলকীতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত আমলকী খেলে রক্তের চিনির পরিমান নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আমড়া: আমড়া একটি পুষ্টিকর টক ফল। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি খুবই উপকারী।
টক বড়ই: টক বড়ইতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
Tags ,- Some Special Fruits For Diabetic Patients Fruits