দিনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল সকালের ব্রেকফাস্ট। কারণ এই খাবারই আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে ও বিপাকে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ব্রেকফাস্ট খেলে কিন্তু সারাদিনে খাবারের পরিমানও ঠিক থাকে। অতিরিক্ত কোনও খাবার খেতেও হয় না। যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্যেও কিন্তু ব্রেকফাস্ট সমান গুরুত্বের। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যে খাবারই খান না কেন সেই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যাতে বেশি না হয়।
এর পাশাপাশি ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট- এসবও কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণে রাখতে হবে। আর তাই সাদা আলুর তরকারি আর ফুলকো লুচি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারলে কিন্তু রক্ত শর্করার পরিমাণ বাড়বে রকেটের গতিতে।
আসুন জেনে নিই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্রেকফাস্টে কী খাওয়া উচিত এবং কী উচিত নয়।
পুষ্টিবিদ বরুণ কাত্যালের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের সকালের জলখাবারে চিনি বা সাধারণ কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। সাদা চিনি, প্যাকেটজাত জুস, ফলের জুস, সাদা ব্রেড, চিনিযুক্ত খাবার নৈব নৈব চ। কর্নফ্লেক্স, পেস্ট্রি এবং প্যানকেক, চকলেট স্প্রেড এবং জ্যাম, ইত্যাদী।
ডায়াবেটিস রোগীদের সকালের চা বা কফি পান না করাই ভাল। তাছাড়া তাজা হোক বা প্যাকেটজাত, জুস একেবারেই চলবে না।
ডায়াবেটিক পেশেন্টরা সকালে বার্লি খেতে পারেন। ওটসের তুলনায় বার্লিতে দ্বিগুণ প্রোটিন এবং অর্ধেক ক্যালরি রয়েছে।
ওটস-ও খেতে পারেন ব্রেকফাস্টে। মশালা ওটস বা চিনি ছাড়া ওটস বানিয়ে খেতে পারেন। তবে যা-ই খাবেন, সীমিত মাত্রায়।
প্রোটিনের পরিমাণ বেশি করে রাখুন। বিভিন্ন রকমের ডাল, বাদাম, দুধের জিনিস, বিভিন্ন রকম বীজ, মুরগির মাংস এসবও কিন্তু অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে।
এমন ফাইবার রাখুন যা জলে অদ্রবনীয়। আমাদের রোজকার শাকসবজি-ফলের মধ্যে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আমাদের ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাকতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বীজও কিন্তু অবশ্যই রাখবেন ডায়েটে। রোজ মেথির পরোটা, টকদই, চিয়া সিডস এসব খেতে পারলে শরীরের যেমন উপকার হবে তেমনই কিন্তু সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে।
পোহা এসব রাখুন ব্রেকফাস্টে। তবে রোজ একবাটি করে রায়তা, ফ্রেশ ফুড এসবও কিন্তু অবশ্যই রাখতে হবে রোজকার ডায়েটে।
সুজি, ডালিয়া, ওটস জাতীয় খাবার খেতে পারবেন। ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি, ডালিয়ার রুটি খাওয়া যায়। ওটস পরিজ, ওটসের প্যানকেক, সুজির দোসা বা উপমা খেতে পারেন।
হালকা ভেজিটেবল সুপ খেতে পারেন। অল্প চিকেন কুচি, পেঁয়াজ, রসুন দিয়েও সুপ তৈরি করে নিতে পারেন। মুগের ডাল বা বেসনের ছিল্লা তৈরি করে খাওয়া যায়।
আপেল, পেয়ারা খেতে পারেন। মুসাম্বি, কমলালেবু, কালোজাম, জামরুল জাতীয় ফল খেতে পারেন। তবে যা-ই খাবেন, চিকিৎসক ও ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
সকালে ডিম খেতে পারেন। ডিম সেদ্ধ, ভাজা ইত্যাদি খেতেও মজা। ভরপুর প্রোটিন ও উপকারি ফ্যাট, ভিটামিন পাবেন।
সকালে আখরোট বা আমন্ড বাদাম খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করার মাত্রা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে কাঁচা বাদাম হতে হবে।
Topics
Diabetes Breakfast Nutrition Health Tips
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment