তেতো খাওয়ার উপকারিতা – The Benefits Of Eating Bitter

নিয়মিত তেতো খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের মধ্যে অনেকেই তেতো সবজি খেতে ভালোবাসে না।। মা-বাবা পুষ্টিগুণ এর দোহাই দিয়ে বাচ্চাদের হাজার চেষ্টা করলেও তেতো খেতে চায় না বাচ্চা রা।।কিন্তু এতে যে কতগুণ রয়েছে বিশেষ করে গরমকালে সেটা জানানোর জন্যই আমার এই পোস্ট,, আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে।।

**নিমপাতা: 

নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ নিয়ে আমরা তো কম বেশি সবাই জানি। নিম নিয়মিত সেবন করলে শরীরের ‘বাত’দোষের সেরে যায় ,,সব নিউরোমাসকিউলার সমস্যা। সুস্থ থাকে ত্বক-চুল, বাড়ে লিভারের কর্মক্ষমতা। 

জেনে নিন তেতো কেন খাবেন

**উচ্ছে:

উচ্ছে এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক একধরনের এনজাইম বৃদ্ধি করে শরীরের কোষগুলোর চিনি গ্রহণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। করলার রস শরীরের কোষের ভেতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত করলার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।

**মেথি:

মেথিশাক আর মেথির দানা, দুটোই খুব উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। বুকে-গলায় জ্বালাভাব ও অ্যাসিড এর থেকে মুক্তি পেতেও মেথি সাহায্য করতে পারে।

**পাটশাক:

পাটশাকে রুচি বারাতে সহায়তা করে।। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে। রাতকানা রোগের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতাও এতে আছে। কোষ্ঠকাঠিন্যে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত পাটশাক খাবেন। যাঁদের বাতের ব্যথা আছে, তাঁদের জন্যও উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যালকালয়েড, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম।।।

**তেলকুচা পাতা: 

এই পাতায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি, তাই রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে এর গুণে শরীরে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

**সজনে ফুল: 

বসন্তে এই খাবার পাতে রাখুন বসন্ত রোগের হানা রুখতে যেমন কাজে আসে, তেমনই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, সর্দি-জ্বর কমাতে সাহায্য করে।

**চিরতা:

এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারি। কারণ চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। ব্লাডে সুগার লেবেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও চিরতার জল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে।

Tags – Food