তৈলাক্ত ত্বক থাকা মানে এমনি সমস্যা,, তার মধ্যে ত্বক যদি আবার দ্রুত ভাঁজ পড়ে যায়,, তাহলে তো শেষ সব,, জানেন কি সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদনের জন্য ত্বক তৈলাক্ত হয় । সিবাম হলো চর্বি দিয়ে তৈরি একটি তৈলাক্ত পদার্থ যার কাজ ত্বককে রক্ষা এবং ময়েশ্চারাইজ করা এবং আপনার চুলকে চকচকে এবং স্বাস্থ্যকর রাখা। তবে অত্যাধিক সিবাম ত্বকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রে আটকে জমে যেতে পারে এবং এতে ব্রণ হতে পারে , ত্বক ঝুলে যেতে পারে,, কিংবা হতে পারে জেনেটিক কারণ, হরমোনের পরিবর্তন, এমনকি স্ট্রেস বা মানসিক চাপে সিবামের উৎপাদন বাড়াতে পারে।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন করা জটিল। আপনি বাড়িতে বসে যদি তৈলাক্ত ত্বককে উজ্জ্বল ও টানটান চান তাহলে অবশ্যই এই টিপস্ গুলি ফলো করুন….
১। মুখ ধোয়া:
দিনে দুইবার তৈলাক্ত মুখ ধোয়া উচিত। বেশি ক্ষারীয় সাবান এড়িয়ে চলুন। এরচেয়ে ফেস ওয়াশ ব্যাবহার করুন।। রাস্তায় বেরোলেই মুখে ময়লা জমে একাকার। বাইরের ধুলা-ময়লা তৈলাক্ত ত্বকে আটকে গিয়ে দেখা দেয় নানা সমস্যা। এর মধ্যে ব্রণের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বাইরের রাসায়নিকসমৃদ্ধ প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো বেশি কার্যকর।
২। বেসনের ফেসপ্যাক
বেসন হলো প্রাকৃতিক ফেসওয়াশ, যা মুখের তেলতেলে ভাব দূর করে চটজলদি উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এবং ত্বক টানটান রাখে।।২ চামচ বেসন ও ৪ চামচ দুধ একসঙ্গে ভালো করে গুলিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩। শসা ও পুদিনার প্যাক
এই প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে, ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। শসার রস ও পুদিনাপাতার পেস্ট মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। পুদিনার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণমুক্ত রাখবে ত্বক।।
৪। ঘৃতকুমারী বাঁ অ্যালোভেরা:
অ্যালো ভেরা ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। রাতে ঘুমানোর আগে আপনার মুখে পাতলাভাবে ঘৃতকুমারী প্রয়োগ করুন এবং সকাল পর্যন্ত রেখে দিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন।।
৫। টমেটো:
ত্বকে অতিরিক্ত তেল এবং ত্বকের ছিদ্রগুলোতে ময়লা জমে বন্ধ হয়ে গেলে সেগুলো পরিষ্কার করতে টমেটো সাহায্য করে। টমেটো দিয়ে একটি এক্সফলিয়েটিং মাস্ক তৈরি করতে ১টি টমেটোর রসের সঙ্গে ১ চা চামচ চিনি মিশান। এরপর গালের ওপর বৃত্তাকারভাবে ম্যাসেজ করুন এবং ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। মাস্কটি শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে খুব ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন।
৬। পাকা কলার ফেসপ্যাক
এটি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য আর কোমলতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। লেবুর রস ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। মধু হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা দূর করে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ১টি পাকা কলা, ২ চা-চামচ পাতি লেবুর রস, কলার খোসা ছাড়িয়ে সেটিকে ভালো করে চটকে সাথে পাতি লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করুন। এই পেস্ট হাতে, মুখে ও গলার ত্বকে ভালো করে মেখে নিয়ে মিনিট ১৫ রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।।
৭। জোজোবা তেল:
জোজোবা তেল দিয়ে তৈরি মাস্ক সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার প্রয়োগ করলে ত্বকের হালকা ব্রণগুলো কমে আসে। এবং ত্বক টানটান হয়ে যায়।।
আরোও পড়ুন,
Harmful Ingredients For Skin – ত্বকের জন্য যে উপাদান ক্ষতিকর
Tags – Skin Care, Skin Tips
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment