একটা সোজাসাপ্টা কথা হলো কোনও ক্রিমই ত্বক রাতারাতি ফর্সা করতে পারে না। তাছাড়া ফর্সা হওয়াটা লক্ষ্য হওয়া উচিত্ও নয়। প্রতিটি গায়ের রঙেরই রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য্য। সৌন্দর্য্য পেতে আপনারা এমন কিছু মেখে বসবেন না যাতে করে আপনার ত্বক আরো নষ্ট হয়ে যায়।
সময়ের সঙ্গে ছোটোবেলার গায়ের রং আমরা বিভিন্ন কারণে হারিয়ে ফেলি। সেই কারণগুলির দিকে নজর দিলেই ছোটোবেলার মতো সুন্দর, উজ্জ্বল ত্বক ফিরে পাওয়া সম্ভব। জীবনযাত্রায় ছোটো ছোটো পরিবর্তন-অভ্যাসই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তার ফলেই আপনার ত্বক দেখাবে আরও বেশি সুন্দর।
সৌন্দর্য পেতেই মেনে চলুন কয়েকটি সহজ অভ্যাস। এক মাসেই প্রভাব দেখতে পাবেন।
ছোট ছোট বদল এনেই পাবেন উপকার :
১. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান জল পান করুন।
২. ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
৩. ফল খান প্রতিদিন। পাতিলেবুর রসও খেতে পারেন।
৪. প্রচুর মরসুমি শাক-সবজি খান।
৫. তেল-মশা, ভাজা ভাজি মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান।
৬. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। স্কিপিং, জগিং, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজের মতো ব্যায়াম করুন।
৭. সপ্তাহে ১-২ দিন স্ক্রাব করলে ত্বকের মৃত কোষ উঠে যাবে। সঙ্গে সঙ্গেই উপকার দেখতে পাবেন।
৮.দিনে তিনবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। মুখ ধোওয়ার পর অবশ্যই কোনও হালকা ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করুন।
সর্বোপরি মাথায় রাখুন
ত্বকের যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তাতে ভালোভাবে নিজেদের ত্বক পরিষ্কার করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।
এর পর আপনার ত্বকের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই কোমল ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷ টোনার দিয়ে মুখ মুছে নিন৷ গোলাপজল, গ্রিন টি, হোয়াইট ভিনিগারের মতো প্রাকৃতিক টোনার ব্যবহার করতে পারেন।
তারপর ভালো কোনও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন৷ ত্বক পরিষ্কার করার পর একটা প্রাকৃতিক ফেস প্যাক লাগাতে পারলে খুব ভালো হয়৷ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং মাস্ট।
তারপর মুখ ধোওয়া হয়ে গেলে টোনার লাগিয়ে নিন। তারপর ভাল কোনও ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
রোদে বেরোনোর সময় অবশ্যই মুখে সানস্ক্রিন মেখে বেরান। কড়া রোদে সানক্রিন না লাগিয়ে বেরোলে ত্বকের ক্ষতি হবে। খাবারে অতিরিক্ত নুন একদমই দেবেন না। বেশি পরিমাণ নুন শরীরে ব্লাড প্রেসারের সমস্যা করে তা নয়, বরং চুল ও ত্বকের ক্ষতি করে। খাবার পাতে বাড়তি নুন একদম খাবেন না।
ডেট এক্সপায়ার হওয়া মেক আপ কখনওই মুখে মাখবেন না। কোন ক্রিম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই তার ডেট দেখে নেবে।
মুখে ব্রণর সমস্যা থাকলে বুঝেশুনে প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
অঙ্কুরিত শস্য- অঙ্কুরিত ছোলা অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে। এতে বিটা-ক্যারোটিন, আইসোথিওসায়ানেটস ক্যানসার রুখে দেয়। নিয়মিত অঙ্কুরিত ছোলা খেলে দীর্ঘদিন আপনার সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারবেন।
হলুদ ফল- কুমড়ো, আম, মিষ্টি আলুর মতো সব হলুদ ফল ও সবজিতে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং এনজাইম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলো পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে। যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment