পার্লারে গিয়ে ফেসিয়ালের জন্য সময় আজকাল কার হাতেই বা থাকে বলুন তো? কিন্তু তাই বলে কি আর ত্বকের যত্ন নিবেন না! তাই বাড়িতে যেদিন একটু বেশি সময় হাতে থাকবে সেদিন আপনার ফ্রিজের ভিতরে চোখ পাতুন একবার। দেখুন সেখানে শসা, কলা, পেঁপে, টোম্যাটো, মধু, দুধের মতো জিনিসপত্র থাকলেই চলবে । সেটা নিয়েই ফলের ফেসিয়াল ট্রাই করে দেখুন ত্বক দুদিনে হয়ে উটবে সুন্দর।
প্রথমে মুখ পরিষ্কার করতে তরমুজের রসে সামান্য নারকেল তেল মিশিয়ে ক্লিনজার তৈরি করুন এবং তা দিয়ে আপনার ত্বক ভাল ভাবে পরিষ্কার করুন।
ফেসিয়ালের দ্বিতীয় ধাপ হল স্ক্রাবিং। এখন আপনি তরমুজ থেকে একটি স্ক্রাব প্রস্তুত করতে হবে। এর জন্য ১ চা চামচ তরমুজের রসে ১ চা চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার আস্তে আস্তে স্ক্রাব করুন। তরমুজ দিয়ে তৈরি স্ক্রাব মরা চামড়া, ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করবে।
ফেসিয়ালে ত্বক ম্যাসাজ খুব জরুরি ধাপ। আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার পরে ময়শ্চারাইজ করা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে তরমুজ দিয়ে ত্বক মালিশ করতে হবে। তরমুজ থেকে ক্রিম তৈরি করতে হবে, যার জন্য আপনাকে ১ চা চামচ তরমুজের রসে, ১/২ চা চামচ মধু, সামান্য লেবুর রস এবং ১/২ চা চামচ নারকেল তেল নিতে হবে। মুখে দিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
রোজ তো আপনি আপনার প্রিয় সাবান বা ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোন, কিন্তু ফ্রিজে ঠান্ডা দুধ থাকলে একবার সেটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। দুধ ক্লেনজ়ার হিসেবে খুব ভালো, ত্বকের আর্দ্রতা বা পিএইচ ব্যালান্সও তা বজায় রাখতে পারে।
ভালো কোনও এক্সফোলিয়েটরের সাহায্যে ত্বকের মৃত কোষ সরাতে হবে, তা না হলে ভিতরের ঝলমলানিটা আপনার চোখে পড়বে না। খানিকটা ওটমিল, দুধ, শুকনো লেবুর খোসা মিক্সিতে পিষে নিন। এবার মিশ্রণটা মুখে, গলায়, পিঠে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে ফের হাতের আঙুলের ডগা দিয়ে চক্রাকারে মালিশ করে ত্বক পরিষ্কার করুন। এক্সফোলিয়েশনের পর ফের উষ্ণ জলে মুখ ধুতে হবে।
প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে হয় মধু ব্যবহার করুন, না হলে লাগান লেবুর রস। লেবুর রস অবশ্য জল মিশিয়ে পাতলা করে দেওয়াটাই দস্তুর। মুখে লাগিয়ে অন্তত 10 মিনিট রেখে দিন ওভাবেই। তার পর ফের ঈষৎ উষ্ণ জলে ধুয়ে নেবেন।
স্টিম বা ভাপ নিয়ে ত্বকের ছিদ্রগুলিকে উন্মুক্ত করা
আপনি যদি ত্বকের ছিদ্রগুলিকে উন্মুক্ত করতে না পারেন তা হলে তা যথাযথভাবে পরিষ্কার হবে না এবং ফেসিয়ালের গুণ ত্বকের গভীরে গিয়ে পৌঁছবে না। তাই একটি বড়ো বাটিতে ফুটন্ত ধোঁয়া ওঠা জল নিন। মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রেখে মুখে ভাপ নিন পাঁচ মিনিটের জন্য।
ফল দিয়ে বানিয়ে নিন ফেস প্যাক
পাকা কলা, কিউয়ি, পাকা পেঁপে, অ্যাভোকাডো বা টোম্যাটোর মধ্যে যেটি ত্বকে সহ্য হয়, তার শাঁস বা রস বের করে নিন। তার মধ্যে মেশান মধু আর লেবুর রস। এই প্যাকটি মুখ লাগান এবং অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট। তার পর জলে ধুয়ে মুখে একবার ম্যাসাজ করে নেবেন।
এবার কলা, স্ট্রবেরি আর পেঁপে ছোট ছোট করে কেটে তাতে এক চামচ দুধ এবং কিছু মধু মেশান। তবে যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় এবং ব্রণ-এর আশঙ্কা থাকে সেক্ষেত্রে দুধ ব্যবহার না করে লেবুর রস ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। এবার মিশ্রণটি আলতো করে মুখে লাগান। লেবু অথবা শসা গোল করে কেটে চোখের উপর দিয়ে শুয়ে থাকুন কিছুক্ষণ।
ব্লিচ
ব্লিচ সবসময় প্রাকৃতিক উপায়ে করাই ভালো। সেজন্য ব্যবহার করতে পারেন মধু কিংবা লেবুর রস। তবে লেবুর রস সরাসরি নয়, অল্প পানি মিশিয়ে পাতলা করে ব্যবহার করুন। মুখে লাগিয়ে অন্তত দশ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। অনেকেই আছেন যাদের ত্বকে ব্লিচ সহ্য হয় না, তারা এই ধাপটা বাদ দিতে পারেন।
ফল দিয়ে ফেস প্যাক
পাকা কলা, কিউয়ি, পাকা পেঁপে, অ্যাভোকাডো বা টমেটোর মধ্যে যেটি ত্বকে সহ্য হয়, তার শাঁস বা রস বের করে নিন। তার মধ্যে মেশান মধু আর লেবুর রস। এই প্যাকটি মুখ লাগান এবং অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। তার পর হালকা গরম জলে ধুয়ে মুখে একবার মাসাজ করে নেবেন। একেবারে শেষে গিয়ে ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে চোখ ফেরাতে পারবেন না।
শেষ কথা
কেমিক্যালমুক্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পেতে চাইলে ফলের ফেসিয়াল হবে আপনার হাতিয়ার। এটা চেহারায় এমন জেল্লা আনবে যে কেউ চাইলেও চোখ ফেরাতে পারবে না।
চেষ্টা করুন প্রতি মাসে ফ্রুট ফেসিয়াল করার। মাসে একবার বা সর্বোচ্চ দুইবার এই ফেসিয়াল করলে ত্বক থাকবে টানটান, সুন্দর, ও উজ্জ্বল।
Tags – Skin Care Skin Tips Summer Skin Care Fruit Facial For Glowing Skin
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment