ত্বকের ছিদ্র দূর করতে এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করুন – Follow These Steps To Remove Skin Pores
ত্বককে উজ্জ্বল করতে আমরা কতো রুটিনও অনুসরণ করি ।আমাদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল এবং আমাদের খাবার, পানীয়, ঘুম এবং প্রতিটি জিনিস আমাদের ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। ত্বকের একটু অযত্ন এর ফলে আমাদের ত্বক ফেকাষে ও নির্জীব দেখাতে শুরু করে।সেই সঙ্গে কারো কারো ত্বকে বড় ছিদ্রের সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে আপনার মুখে ব্রণ ও পিম্পলের সমস্যা হতে পারে। এটি এড়াতে ত্বকের বড় ছিদ্রের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা উচিত। আমাদের ত্বকের উপরিভাগে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে। এ ছিদ্রগুলো ত্বকের শ্বাসপ্রশ্বাসে সাহায্য করে এবং আর্দ্রভাব ধরে রাখে। স্বাভাবিক অবস্থায় এগুলো এতই ছোট থাকে যে খালি চোখে তা দেখতে পাওয়া যায় না। অথচ অনেকেরই কপাল, নাক ও গালের মধ্যে লোমকূপের বড় গর্তগুলো দেখতে পাওয়া যায়।
ত্বকের ছিদ্র দূর করতে যে পদ্ধতিগুলি অনুসরণে দূর হবে নিমিষে
সাধারণত হরমোনের সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত ধূমপান করলে বা বংশগত কারণেও ত্বকের লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক অপরিচ্ছন্ন রাখলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।যাতে আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং সতেজ দেখায়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আপনাকে বলব মুখের ত্বকের দাগ দূর করতে আপনার কী করা উচিত?
ত্বকের ছিদ্র দূর করতে মেনে চলুন এই উপায়-
** ত্বক সবসময় হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করুন যাতে তেলের উৎপাদন কম হয়। হাইড্রেটিং ফেস ওয়াশ এবং মেকআপ রিমুভার বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন যাতে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকে।
ওপেন পোরস থেকে মুক্তির ঘরোয়া সমাধান
**রোদে বেরোনোর আগে সবসময় ত্বক ঢেকে রাখুন কারণ রোদে বের হলে ত্বকে সিবামের উৎপাদন বাড়তে পারে, যার ফলে ত্বকে কোলাজেনের অভাব দেখা দিতে পারে।
** দিনে অন্তত দুবার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। এটি ত্বকে জমে থাকা ময়লা দূর করতে পারে।
** মুখে সুনক্রিম লাগিয়ে রোদে বের হবেন এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি কম হবে সূর্যের রশ্মির দ্বারা।
** ত্বকের ছিদ্র বড় হলে তাতে ধুলোময়লা জমে। এর ফলে ত্বক সারাক্ষণ তৈলাক্ত থাকে। ত্বক এ ব্রণ, র্যাশের সমস্যাও বাড়ে। যেহেতু ত্বকের একটি সমস্যা অনেকটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাই লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়া।
** সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বাজারের অ্যালোভেরা জেল নয়, বাড়ির গাছের রস লাগালে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
** অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আর জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি তুলোয় করে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। অপেক্ষা করুন ত্বকে শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। এটি ছিদ্রগুলো ক্রমশ ছোট হতে শুরু করবে।
**ত্বকের ছিদ্রগুলো ছোট করতে ডিমের সাদা অংশ, ওটমিলের গুঁড়ো আর সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন।
**পরিমাণ মতো টক দইয়ের মধ্যে বেসন আর এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগান। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
** মুখের পোরগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি ছোট করতে চাইলে এক টুকরো বরফ ঘষে নিতে পারেন। নিয়মিত এই অভ্যাসে আপনার ত্বকের পোরের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
** ত্বকের পোরের সমস্যার ক্ষেত্রে কলার খোসাও দারুণ উপকারী। এই কলার খোসা আলতো হাতে মুখে ঘষুন।
** বেসন, হলুদ আর দইয়ের প্যাক মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগান। শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন। কিছুদিনের মধ্যে পোরস ছোটো হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের হারানো জেল্লাও ফিরে আসবে।
** সপ্তাহে অন্তত দুবার স্ক্রাবার করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চালের গুঁড়ো, কফি, যেকোনো কিছু ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের ওপরে থাকা ধুলো-ময়লাকে একেবারে দূর করবে।
** অতিরিক্ত ভারী মেকাপ করবেন না,, এতে আপনার ত্বকের ওপর ক্ষতি কর প্রভাব ফেলে।
Tags – Skin Care Skin Tips Beauty Tips