ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ভরসা রাখুন ফেসমাস্কে – Rely On Facemask To Eliminate Skin Dryness
আমরা সবাই জানি শুষ্ক ত্বকের সমস্যা বেশি, কিন্তু এটা কি জানেন, শুধু ময়শ্চারাইজ়ার মেখেই শুষ্কতাকে কাবু করা যায় না! বিশেষ করে যাঁরা শুষ্ক ত্বকের অধিকারী, তাঁদের ময়শ্চারাইজ়ারের পাশাপাশি ত্বকে নিয়মিত মাস্ক লাগানোও দরকার। মাস্ক একদিকে ত্বক এক্সফোলিয়েট করে, অন্যদিকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা ত্বকে পৌঁছে দিয়ে ত্বক টানটান, সতেজ রাখে।
বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারবেন এ সব মাস্ক।
নিয়মিত ত্বকের দেখভালের উপায় ও পদ্ধতি শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার, ব্লগাররা। কেউ ব্রণ দূর করতে রাসায়নিক-যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ভিডিয়ো করছেন।
ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে ফেসমাস্কে
ত্বকের শুষ্কতা দূর করার ফেসমাস্ক-
১/ হলুদ, মুলতানি পাউডারের মতো প্রাকৃতিক উপকরণ এর চেয়ে আর কিছু নেই। কম দামি আয়ুর্বেদিক উপাদান ব্যবহারের ফলে অন্যান্য সব পণ্যের থেকে অনেক বেশি কার্যকরী বলে মান্য করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে ফের উজ্জ্বলতা ও সুস্থ করে তুলতে হলুদ, মুলতানি পাউডার এর ফেস মাস্ক মুখে মাখতে পারেন।
শুষ্ক-রুক্ষ ত্বকের জন্য ঘরোয়া উপায়ে ব্যবহার করুন ফেস মাস্ক!
২/ নারকেল তেল আর্দ্রতায় ভরপুর এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে স্বাস্থ্যের জৌলুস ফেরাতে পটু। ফলে ত্বকের সামগ্রিক সুস্থতার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল আর মধু দিয়ে তৈরি স্ক্রাব। ১ টেবিলচামচ নারকেল তেল আর ১ টেবিলচামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মুখে, গলায়, হাতে সমানভাবে লাগান। ২০ মিনিট পর জলে ধুয়ে ফেলুন।
পাকা কলা আর মধু
৩/ কোমল ত্বক চাইলে এই মাস্কটি ব্যবহার করুন। একটা পাকা কলা চটকে নিন, তাতে মেশান দু’ টেবিলচামচ মধু। ভালো করে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
কাঁচা দুধ আর মধু
৪/ সৌন্দর্য, পেতে পারেন এই প্যাকটি থেকে। কাঁচা দুধে আছে ভিটামিন বি, আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডান্ট রয়েছে। ত্বকে কোনওরকম জ্বালা বা প্রদাহ থাকলেও এই প্যাকটি ব্যবহার করে আরাম পাবেন। দু’ টেবিলচামচ দুধের সঙ্গে ১’ চাচামচ মধু মিশিয়ে সারা মুখ, গলা, লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
৫/ অ্যালো ভেরা আর মধু
প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের দারুণ যত্ন নিতে চাইলে একবার এই প্যাকটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। দু’ টেবিলচামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে এক চাচামচ মধু মেশান। সারা মুখে, বিশেষ করে শুকনোভাব যেখানে বেশি সেই অংশে লাগান। আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৬/ ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে ফের সতেজ ও সুস্থ করে তুলতে ব্যবহার করুন হদলি বা হলুদ। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। দইয়ের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো নিয়ে গোটা মুখে লাগান। হাতে ও গলাতেও ব্যবহার করতে পারেন।
৭/ ত্বকের পরিচর্চা ও যত্নের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে দারুণ কার্যকরী হল কুমড়ো। রোদে-গরমে শুষ্ক-রুক্ষ ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে কুমড়ো ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে উপকার মিলবে। বিশেষ করে সপ্তাহে ২-৩দিন করলে ফল পাবেন হাতেনাতে। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্চার জন্য কুমড়োর ফেসপ্যাক খুব ভাল। ঘরোয়া উপায়ে কী ভাবে বানাবেন, দেখে নিন…
কুমড়োর পিউরি জায়ফল মধু (১ চা চামচ), অ্যাপল সিডার ভিনিগার (১ চা চামচ)প্রতিটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে, গলায় এমনকি হাতেও লাগাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট রেখে অল্প উষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। ফেসপ্যাক ব্যবহারের পরেই দেখবেন মুখের ত্বক আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে।
কুমড়োর মধ্যে থাকা নানান খনিজ উপাদানের কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সূর্যে তাপ, বিশেষত UVA ও UVB রশ্মির থেকে প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে রক্ষা করে।
ত্বকের গভীরে গিয়ে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এই দুর্দান্ত উপকারী ফেসমাস্ক। আনে ন্যাচারাল গ্লো। যদি মুখের মধ্যে তৈলাক্তভাব, ব্রণযুক্ত ত্বক হয় বা শুষ্ক ত্বক হয়, তাহলে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
কুমড়োর ফেসমাস্কে রয়েছে কোলাজেন নামক অকপ্রকার উপকারী উপাদান। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে ত্বকের অবস্থা আরও জটিল হয়ে যায়। কুমড়োর ফেসমাস্কে থাকা কোলাজেন ত্বকের নমনীয়তা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রেডিক্যালগুলি বিরুদ্ধে লড়াই করে বলিরেখা, বয়সের ছাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফ্রুটস এনজাইম। যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ও দূষণ থেকে রক্ষা করে।
Tags – Sikn Care Skin Tips Summer Face Mask