শীতের শুরুর এই সময় থেকে বসন্তে ত্বকে একটা টানটান ভাব থাকে প্রায় সবারই! আর যাঁরা সারা বছরই শুষ্ক ত্বকের অধিকারি, তাদের তো কোনও কথাই নেই! শুরু থেকেই ত্বকের না করলেই ত্বক ফেটে যাওয়া, রুক্ষ-বেজান হয়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় তাই খেয়াল রাখতে হবে ত্বক যাতে পায় সঠিক ময়েশ্চারাইজেশন।
সারাবছরই ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তবে শীতকালে (Winter Skin Care Tips) যত্নের প্রয়োজন একটু হলেও বাড়াতে হবে। সঠিক ভাবে ত্বকের যত্ন (Skin Care Tips) না নিলে শীতের শুরুতেই আপনার ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়বে। আর সেই রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বককে সঠিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা কিন্তু বেশ কঠিন। আর কালী পুজোর আগে ত্বকের যদি বারোটা বেজে যায় তাহলে কি আর হয়?? তাই পুজোর আগে নিজের ত্বককে আগে ভিতর থেকে রেডি করুণ…আর সেটা কীভাবে করবেন দেখুন….
কেন ত্বক শুষ্ক হয়?
* আমাদের দেশে সাধারণত শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়। অল্প আর্দ্রতা, খুব সূর্যের আলো ও ঠান্ডা বাতাস এর কারণ।
* বংশগত বা জিনগত কারণে, বয়স ৪০-এর পর তেল ও ঘাম গ্রন্থির সংখ্যা কমে যায়।
ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে, ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন গ্রহণ,
* ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’র অভাব হলে। জিংক ও ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হলেও ত্বক শুষ্ক হয়।
* কিছু চর্মরোগ, কিছু ওষুধ সেবন, এসিতে অতিরিক্ত অবস্থান, থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার ইত্যাদিও ত্বক শুষ্ক করে।
**এর থেকে মুক্তির উপায় –
ত্বক আর্দ্র রাখা- এর অর্থ হল ত্বক ময়শ্চারাইজড রাখা। তার জন্য নিয়মিত ভাবে ত্বকে ক্রিম ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। নিয়ম করে স্নানের পরে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্রিম ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। ত্বক খুব রুক্ষ এবং শুষ্ক হলে স্নানের আগে কিংবা পরে ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল। সাবান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
পরিমিত জল খাওয়া– ত্বক হাইড্রেটেড অর্থাৎ আর্দ্র রাখতে চাইলে এবং রুক্ষ ও শুষ্ক ভাবে দূর করতে হলে শুরু ক্রিম বা লোশন ম্যাসাজ করলেই হবে না। ভিতর থেকেও ত্বককে আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। এজন্য আপনাকে বডি হাইড্রেটেড রাখতে হবে।
শীতেও ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন– শীতের রোদ গায়ে মাখতে ভালই লাগে। কিন্তু তাই বলে সানস্ক্রিন ছাড়া একেবারেই বাইরে যাবেন না। শীতের চড়া রোদে বলা ভাল এখন রোজ যেমন রোদ উঠছে তার প্রভাবে ত্বকে ট্যান পড়তে বেশি সময় লাগবে না। শুধু তাই নয় ত্বকে কালচে দাগছোপ হয়ে যাবে। তাই শীতকালেও অতি অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
মুখের যত্ন
ভালো ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা ক্রিমের সঙ্গে একটু জল মিশিয়ে নিতে পারেন।
ঠোঁটের যত্ন
* ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট বারবার ফেটে যায়। কখনো এতটাই ফেটে যায় যে চামড়া উঠে আসে ও রক্ত বের হয়। কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়।
* কুসুম গরম জলে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে তিন-চারবার চাপ দিন। তারপর ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন পাতলা করে লাগিয়ে নিন।
দিনে দু’বার ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করুন। যাদের ত্বক বেশি শুকনো তাঁরা অয়েলবেস ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
শুষ্ক ত্বকে স্ক্রাবিং বেশি না করাই ভালো। দরকার হলে মুসুর ডাল বেটে ঘরেই ক্লিনজার তৈরি করে নিতে পারেন। এটি মুখের সাথে সাথে সারা গায়ে লাগান।
পাকা কলা চটকে ফেসপ্যাক বানাতে পারেন। এটি শুষ্ক ত্বককে আদ্রতা জোগায়। মধু দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন শীতের সময়।
ত্বক যদি খুব বেশি পরিমাণে শুষ্ক হয় তবে তা দূর করতে মধুর সাহায্য নিন। এই কাজটি রাতে করলে সব চাইতে ভালো ফল পাবেন। এক টেবিল চামচ মধু হাতে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ২০-২৫ মিনিট।
* অলিভ ওয়েল ১ টেবিল চামচ + ৫ টেবিল চামচ লবণ + ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। সেটি মুখে ও সারা শরীরে লাগাতে পারেন। এতে মরা কোষ দূর হবে। শুষ্ক জায়গায় মালিশ করে দু-তিন মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
* অ্যালোভেরা জেল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
* প্রচুর শাকসবজি খান। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। ত্বকের পরিচর্যা করুন।
Tags – Skin Care Skin Tips Beauty Tips
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment