পুজোর আগে ডায়েটিং করছেন?? ডায়েটিং এর সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন – Dieting Before Puja?? Know Some Facts About Dieting
ওজন কমিয়ে সুন্দর হতে আমরা সবাই চাই, দীর্ঘদিন একটা নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখার ইচ্ছে থাকলে ডায়েটিংকে গুরুত্ব দিতেই হবে।
সাবধান! ঠিক-ভুল না জেনেই ডায়েট করতে যাবেন না, মেনে চলুন এই টিপসগুলি
টাটকা খাবার মাত্রেই স্বাস্থ্যকর, তা আমিষ বা নিরামিষ দুই-ই হতে পারে। আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ ও স্থানীয় বাজারে যা যা পাওয়া যায় তার উপর ভিত্তি করেই তৈরি করুন ডায়েট প্ল্যান।
কাঁচা খাবার থেকে পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ: অনেকেই মনে করেন যে ফল আর সবজির পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা কাঁচা অবস্থায় খেলেই। এ কথা ঠিক যে উত্তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু বহু শাকসবজির পুষ্টিগুণ বাড়ে তা রান্না করা হলে তবেই। ভালো করে রান্না করলে ফল-সবজিতে জন্মানো ব্যাকটেরিয়াও নষ্ট হয়ে যায়। তাই রান্না করা খাবার আর কাঁচা ফলমূল সবই খান, তবে পরিমিত পরিমাণে।
আপনি সারা দিনে কতটা ক্যালোরি শরীরে ঢোকাচ্ছেন আর কতটা আপনার শারীরবৃত্তীয় কাজে ব্যয় হচ্ছে, তার উপরেই নির্ভর করে আপনার শরীর কতটা সুস্থ থাকবে। যেহেতু আজকাল সবাই মোটামুটি সেডেন্টারি লাইফ লিড করেন, তাই ক্যালোরি ইনটেকের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
ওজন কমাতে ডায়েটের ভূমিকাই আসল
খাদ্যাতালিকায় রোজ রাখতে হবে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন। তা না হলে দেখা দিতে পারে শারীরিক জটিলতা।
ফল, সবজিতেও কার্বোহাইড্রেট থাকে, বাদ দেবেন না সেটাও। জটিল কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে বেশি ক্যালোরি খরচ করে আপনার শরীর, তাই তার পরিমাণ বাড়ান।
পুষ্টির অভাব হলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটে। পর্যাপ্ত খাবার না খেলে রাতে সহজে ঘুম আসে না। তাই পেটে খিদে রেখে ডায়েটিং করে তেমন লাভ পাবেন না। খাদ্যতালিয়ায় রাখুন পুষ্টিকর খাবার।
পুষ্টির অভাব হলে ও পর্যাপ্ত খাবার না খেলে দেখা দেয় স্ট্রেসের সমস্যা। স্ট্রেসের সমস্যা দেখা দিলে একে বাইরে উপেক্ষা করবেন না। এর থেকে দেখা দেয় একের পর এক জটিলতা। মানসিক চাপের কারণে ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন এমনকী হার্টের রোগ পর্যন্ত হতে পারে।
এক্সারসাইজ, না ডায়েটিং, রোগা হতে চাইলে কোনটা বেশি কার্যকরী
লো ফ্যাট বা জ়িরো ফ্যাট ডায়েটই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর: ভুল ধারণা। শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য ফ্যাটের প্রয়োজন আছে। সব ফ্যাট খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেবেন না, ভালো ফ্যাট খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। যে কোনও বাদাম, সিডস, অ্যাভোকাডো, নারকেল জলপাই হচ্ছে ফ্যাটের উত্তম উৎস। মাঠাযুক্ত দুধ, ঘি, মাখনের ফ্যাটও শরীরের জন্য ভালো।
হজমের সমস্যা দেখা দিতে ভুলেও তা উপেক্ষা করবেন না। ডায়েটিং-এর সময় অম্বল, গ্যাসের সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিলে প্রচুর জল খান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করা হয়। এর ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে হতে পারে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে।
এই সময় রোজ এক্সারসাইজ করতে হবে। রেস্তোরাঁর খাবার কিংবা দোকানের চপ, কাটলেটের বদলে বাড়ির রান্নায় বেশি জোড় দিন। ডায়েটে পরিমিত ফ্যাট, হাই প্রোটিন ও খুব কম কর্বোহাইড্রেট খাওয়া প্রয়োজন। থাকতে হবে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, খনিজ, প্রোটিন সহ একাধিক উপাদান।
বেশি প্রোটিন খেলেই কিডনির উপর চাপ পড়বে: যাঁদের কিডনিতে কোনও সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজনীয়, বাকিরা কিন্তু স্বচ্ছন্দে তা খেতে পারেন। মাছ-মাংস-ডিমে প্রোটিন আছে, আছে দুধ-ডাল-বিনসজাতীয় খাবারে। খেতে পারেন ছাতুও। ডিমের সাদাটা খেয়ে কুসুম বাদ দিয়ে কোনও লাভ নেই, তাতে প্রাকৃতিকভাবে সুষম খাদ্যের ভারসাম্য নষ্ট করা হয়। যাঁরা নিয়মিত ওয়েট ট্রেনিং করেন বা কোনও খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা একবার পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নেবেন – এঁদের একটু বেশি প্রোটিন প্রয়োজন হতে পারে।
শুধুমাত্র ডায়েটিং করে ওজন কমানো সম্ভব নয়