প্রেগনেন্সির পরেও একজন মহিলার শরীরে বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন। তার কারণ, এই প্রেগনেন্সির পরেই মহিলাদের শরীরে নানা রকমের পরিবর্তন দেখা যায়। অনেকেরই নানা কারণে মুখে ব্রণর সমস্যা বাড়তে থাকে। চুলে পরে যেতে থাকে।
আসলে সন্তান জন্ম(PostPartum) দেওয়ার পর প্রত্যেক মহিলার শরীরেই অনেক পরিবর্তন আসে। যেমন তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে আবার তাঁর শরীরেও কিন্তু একাধিক প্রভাব পড়ে। তাঁর জীবনশৈলীতেও পরিবর্তন আসে। একজন হবু মায়েরও ঠিক যতটাই যত্ন প্রয়োজন আবার প্রেগনেন্সির পরেও তাঁর কিন্তু অতটাই যত্ন প্রয়োজন।
কিন্তু প্রেগনেন্সির পরে মায়ের দিকে লক্ষ্য দেওয়াই হয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। আসলে মেয়েরা নিজেরাও নিজেদের শরীরের এই পরিবর্তন নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকেন না।
গর্ভাবস্থায় ব্রণ হওয়ার কারণ হিসাবে প্রোজেস্টেরনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং কখনও কখনও গর্ভাবস্থার পরেও এই স্তরগুলি উচ্চ থাকে – এইভাবে ব্রণ অক্ষত থাকে।
পোস্ট প্রেগনেন্সিতে বা প্রেগনেন্সির পরে মুখে ব্রণর সমস্যা বাড়তে থাকা একদমই সাধারণ ব্যাপার। প্রেগনেন্সি বা গর্ভাবস্থার কারণে আমাদের শরীরে হরমোনের নানা ধরনের পরিবর্তন হয়। তার প্রভাব পড়তে পারে আপনার মুখেও। কারণ আমাদের শরীরে প্রোজেস্টেরনের তারতম্য হয়। প্রোজেস্টেরন হল ফিমেল সেক্স হরমোন, যা ওভারি বা ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হয়।
প্রেগনেন্সির সময় মহিলাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই হরমোন। আর এই প্রোজেস্টেরনের মাত্রা পরিবর্তন হওয়ার জন্যেই ব্রেকআউট দেখা যায়। তখন মুখে অ্যাকনের সমস্যা বাড়তে থাকে। ব্রণ হয় বা নানা ব়্যাশ বেরোতে থাকে।
শিশুর জন্ম দেওয়ার পরেও মা কেন ব্রণ–তে আক্রান্ত হন তার কয়েকটি কারণ রয়েছে:
১. হরমোনের স্তর পরিবর্তন
গর্ভবতী মহিলার মুখের উপর ব্রণ বৃদ্ধির মূল কারণ এটি। গর্ভাবস্থা এমন একটি সময়, যা হরমোনাল পরিবর্তনের সাথে পরিপূর্ণ, তাই ব্রণগুলি ক্ষেত্রে মায়েদের প্রভাবিত করা সাধারণ। এই হরমোনগুলির স্তর মহিলার প্রসবের পরে হ্রাস পেতে পারে, বা তারা কয়েক সপ্তাহের জন্য নীচে নামতে পারে না – এর ফলে ব্রণ হয়।
আরও যে কারণে হতে পারে ব্রণ
তবে গর্ভাবস্থার পর প্রোজেস্টেরনই একমাত্র কারণ নয়। নতুন নতুন মা হওয়ার পরে তার উপর নানা রকমের চাপ এসে পড়ে। স্ট্রেস বাড়তে থাকে। এবং সেই কারণেও হতে পারে অ্যাকনের মতো সমস্যা।
আর তার কারণে দেখা দেয় অ্যাকনের মতো সমস্যা। তাই গর্ভাবস্থার পরে যদি আপনার মুখে একটা দুটো করে ব্রণ দেখাই যায়, তাহলে তার প্রধান কারণ কিন্তু প্রোজেস্টেরনের মাত্রা ও তার তারতম্য নাও হতে পারে।
হাইড্রেশনের স্তর
দেহের জলের পরিমাণ ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ডিহাইড্রেশন ত্বকের বাইরের স্তরকে ভেঙে দিতে পারে এবং জীবাণু–দূষিত পদার্থের জন্য প্রবেশযোগ্য হতে পারে। মা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করে তবে মাতৃত্বের প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে তাকে স্তন্যপান করানো এবং শিশুর যত্ন নেওয়া সঠিক পরিমাণ ডিহাইড্রেটেড হতে পারে না।
আপনি সারা দিনে কি সঠিক পরিমাণে জল খাচ্ছেন? যদি তা না খান, তাহলে কিন্তু তা শরীরের জন্য খারাপ! সুস্থ থাকার জন্য আপনার প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। নাহলে শরীরেও যেমন তার প্রভাব পড়বে।
আবার ত্বকে প্রভাব পড়তেও খুব বেশি সময় লাগবে না। এমনকী যদি আপনি ডিহাইড্রেটেড থাকেন, তাহলে তার প্রভাব গিয়ে পড়বে আপনার মুখেও। যা আপনার মুখের সেবাম উৎপাদন বাড়িতে দিতে পারে। এবং তার ফল হল ব্রণ। পোস্টপ্যারটাম অ্যাকনে শুধুই মুখে নয়, শরীরের যে কোনও অংশেই হতে পারে। সব কাজের মধ্যেও নিজের জন্যে সময় বের করুন। আপনি মেকআপ করে থাকলে সেই মেকআপ ভালো করে তুলে নিন। তারপর মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
এরপর টোনার ও ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। বারবার মুখে হাত দেবেন না। জানি যে, নতুন শিশুকে জন্ম দেওয়ার পর খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েন আপনি। সব দিক সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান, কিন্তু তার মধ্য়েও নিজের সামান্য হলেও যত্ন নিন। তবেই আপনি সুন্দর ত্বক ফিরে পাবেন।
Tags – Get Rid Of Pimples After Pregnancy Skin Care Skin Tips
Bengali Durga Puja saree look: দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে চলে এলো দুর্গাপুজো….. সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকেই…
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
Leave a Comment