আমরা সবাই ফেসিয়ালের গুরুত্ব জানি।ফেসিয়াল করলে মুখের যে সব মরা কোশ থাকে তা উঠে যায়।
কিন্তু কোনওভাবেই ফর্সা হওয়া যায় না।
ত্বকের যে ম্যাসেজ হয় তার ফলে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়।ফেসিয়াল করলে ত্বক ভালো থাকে। গ্ল্যামার বাড়ে। আর এই গ্ল্যামারের জন্যই ১৬ বছরের বাচ্চা রাও ফেসিয়াল করতে চায়।আমাদের সকলেরই ধারনা ১৬ বছর বয়সে ফেসিয়াল করা অপরাধের সমান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন তা জানেন কি? ঠিক কোন বয়স থেকে ফেসিয়াল শুরু করা উচিত এই উত্তর অনেকের কাছেই নেই।
অনেকের কিশোরী থেকেই ত্বকে ময়লা জমে। ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। তখন ডিপ ক্লিন ফেসিয়াল করা যেতে পারে। ১৫ বছর থেকেই এটা শুরু করা যেতে পারে। এতে ভেতরের ময়লা চলে আসে। ক্রিমের সাহায্যে মালিশ করা হয়। এরপর স্ক্রাব ব্যবহার করা হয়।
প্রথম দিকে ভারী কোনো ফেসিয়াল না করাই ভালো। ফেসিয়াল করানোর সময় কোনো যন্ত্রপাতির ব্যবহার করা যাবে না।
এই সময় ব্রণর প্রবণতা দেখা যায়।তাই খুব ব্রণ হলে,তা থেকে মুক্ত থাকার জন্য করতে পারে ফেসিয়াল। তবে ৩০ এর কোঠায় পা রাখার আগে ফেসিয়াল না করাই ভালো। ক্লিনজিং-টেনিং-ময়েশ্চারাইজিং কিন্তু বাড়িতেও করা যায়।
কিন্তু ফেসিয়াল করার আদর্শ সময় ৩০ বছর বয়সের পর,কারণ তার আগে অবধি ত্বক খুব কোমল, নরম থাকে। বাজার চলতি সব প্রোডাক্টেই কেমিক্যালের আধিক্য থাকে। এতে যেমন ত্বকের ক্ষতি হয় সেই সঙ্গে ত্বকের বয়সও বাড়িয়ে দেয়।
কেমন ফেসিয়াল করা যেতে পারে
যদি ১৬ বছর বয়সেই কারোর ফেসিয়াল করার ইচ্ছে হয় তাহলে ফ্রুট ফেসিয়াল দিয়েই শুরু করা ভালো। কারণ এই সময় বাইরেই কাটে দিনের বেশিটা অংশ। ফলে মুখে ট্যান পড়ে। আর দূষণ তো রয়েইছে। আপেল সেদ্ধ করে চটকে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা কমলালেবুর রস, কাঁচা দুধ, এক চামচ কফি গুঁড়ো প্যাক বানিয়ে নেওয়াই ভালো।
১৬ বছর বয়স থেকে ফেসিয়াল শুরু না করাই ভালো। প্রয়োজনে বাড়িতে ঘরোয়া উপায়েই রূপচর্চা করতে হবে। এতে দীর্ঘমেয়াদি ফল পাওয়া যাবে।যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে হাত দিয়েই স্ক্রাবিং করতে হবে। ম্যাসাজ ক্রিম লাগাতে হবে।
কোনও রকম কেমিক্যাল নয়, প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এমন প্রোডাক্ট দিয়েই ফেসিয়াল করতে হবে। ট্যান রিমুভ ফেসিয়াল করবেন না। পার্ল ফেসিয়াল, গোল্ড ফেসিয়াল এসবও এড়িয়ে চলুন।
৩০ বছরের পর মাসে একবার ফেসিয়াল করুন। ভুলেও দুবার করবেন না।
ত্বকের ধরন বুঝে ফেসিয়াল
ফেসিয়াল করার ধাপ বেশ কয়েকটা—পরিষ্কার করা, ময়েশ্চারাইজার মাখা, স্ক্রাব ব্যবহার, প্যাক লাগানো। শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসিয়ালের উপাদানগুলোর মধ্যে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার থাকা জরুরি। স্ক্রাবার যেন ক্রিমভিত্তিক হয়। শুষ্ক ত্বক অনেক সময় স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। সেখানে দুধ কিংবা দুধের সর ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেমন ফেসিয়াল করা যেতে পারে
এই সময় ডিপ ক্লিঞ্জিং ফেসিয়াল করাই যায়। যেমন,হারবাল ফেসিয়াল বা ফ্রুট ফেসিয়াল ভালো। এগুলো বয়স ১৫ থেকেই করা যায়।এতে স্কিনের ভেতরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়,আর কিছু না।আর এখন থেকেই স্কিনকে পরিষ্কার রাখলে পরবর্তীকালে ভালো ফলও পাবে
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment