বয়স বাড়ছে, পাতে রাখুন ভাল ভাল খাবার – As You Get Older, stick To Good Food
ফিট থাকতে জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট করেন কিছুক্ষন। শুধু জিমে গিয়ে কতসরত করে শরীর থেকে ঘাম ঝরালেই তো হবে না, শক্তি সঞ্চয় করতে ও সুস্থ থাকতে দরকার সঠিক ডায়েট। দিনের শুরুটা যেমন তেমন ভাবে নয়, শুরু করুন পুষ্টিকর খাবার দিয়ে।
ত্বকের যত্নে হাজারটা নামি-দামি পণ্য রয়েছে বাজারে। ক্রিম, ফেসওয়াশ, মেকআপ…। ফেসিয়াল করে কিংবা মেকআপে মুখের দাগ কিংবা নিস্তেজ ত্বক ঢাকা গেলেও বলিরেখা লুকোনো যায় না।
ভাল ভাল খাবারে ত্বকের বয়স কমবে
পাতে রাখুন ভাল ভাল খাবার-
কোলাজেন:স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোলাজেন হল একধরণের প্রোটিন যা ত্বককে দৃঢ়, বলি মুক্ত এবং সুস্থ রাখে। বয়স যত বাড়তে থাকে শরীরে কোলাজেন উৎপাদন তত হ্রাস পায়। তাই খাবার থেকে এর পরিপূরক গ্রহণ করতে হবে। এজন্য মাংসের ঝোল খুব ভালো। তাছাড়া ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে হবে।
সবুজ শাকসবজি:ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, পালং শাক, কালে এবং কলার্ডে রোদ এবং দূষণের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
ওটস
৩৫ এর বেশি বয়স হলে কার্বস-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। কিন্তু নিউট্রিশনিস্টদের কথায়, ওটস ব্রেকফাস্টের জন্য খুবই ভাল।, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। প্রতিদিন ডায়েটের জন্য এই ওটস অত্যন্ত উপকারীও বটে। শরীরের শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে।
আদা এবং মধু: আদার মধ্যে উপস্থিত জিঞ্জেরলের প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে। আদা, মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ত্বকের বার্ধক্য ঠেকাতে দারুণ কাজ দেয়।
স্বাস্থ্যকর চর্বি: ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে ফ্যাট দ্রবণীয় ভিটামিন। ভিটামিন এ বিশেষভাবে ত্বকের কোষ মেরামত করে এবং কোলাজেন উৎপাদনকে স্থিতিশীল করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্যামন মাছ, অ্যাভোকাডো, আখরোট, ঘি, ফ্ল্যাক্স সিড, অলিভ অয়েল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বয়সের ছাপ কি ফুটে উঠছে সারা শরীরে ভালো খাবার খান
দুধ
৪০ পেরিয়ে গেলেও প্রচিদিন ডায়েটে রাখুন দুধ। এতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম। যার কারণে শরীরের পেশিতে শক্তি বাড়ায় ও হাড়ের ক্ষয় থেকে মুক্তি মেলে। শরীরকে হাইড্রেট করার জন্য দুধে রয়েছে ইলেক্ট্রলাইটস।
বেরি:এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ত্বকের কোলাজেনের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেরি। ফলে বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
মাশরুম: এতে প্রচুর পরিমাণে কপার আছে। যা ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত প্রোটিন, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনকে সংশ্লেষিত এবং স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে।
অ্যালোভেরা:পাতা কেটে এর জেলি ত্বকে লাগানো যায় কিংবা জুস হিসেবেও পান করা যায়। দুটিতেই সমান উপকার মিলবে। এতে স্টেরল রয়েছে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, বলিরেখা কমায়। শুধু তাই নয়, মুখের দাগ নিরাময়েও এটা দারুণ কার্যকর।