Spread the love

বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার – Healthy Food For Kids

চিপস, পেস্ট্রি, চকোলেট পেয়ে যাচ্ছে হাতের মুঠোয় এখনকার বাচ্চারা চাওয়ার সাথে সাথেই।৷ বার্গার, পিজ়া, প্যাটি, ন্যুডলস খেতে তাদের যতটা আগ্রহ, তার সিকিভাগও নেই ঘরে রান্না হওয়া রোজের খাবার নিয়ে৷
IMG_20220812_215745-1660321694738 বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার - Healthy Food For Kids

আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর খাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জীবনের প্রাথমিক বছরগুলিতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা খুব গুরুত্বপূর্ণ । আপনি আপনার শিশুকে তার প্রাথমিক পর্যায়ে যখন স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস করান, তখন এটা সম্ভাবনা থাকে যে, সেটি তার সারাজীবনের সঙ্গী হবে । স্বাস্থ্যকর খাবার
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে শরীর সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে।

শিশুদের ওজন বৃদ্ধি বেশিরভাগ ভারতীয় মায়ের কাছে প্রাথমিক উদ্বেগের বিষয় হলেও, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনার লক্ষ্য একটি সুষম খাবার নিশ্চিত করা, যা আপনার সন্তানের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করে । একটি বৈচিত্রময় খাবার অভ্যাসও নিশ্চিত করে যে, তারা যথেষ্ট পুষ্টি, নানা ভিটামিন এবং সমস্থ খনিজ পদার্থ পায়, যেগুলি তাদের মস্তিষ্ক এবং শরীরের সার্বিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ।

এই পরিস্থিতিতে বাচ্চার স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার দায়িত্বটা মা-বাবাকেই নিতে হবে৷ সব কিছুর উপর রাতারাতি বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিলে চলবে না, তাতে ফল উলটো হওয়ার আশঙ্কা আছে৷ তার চেয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তন নিয়ে আসুন রোজের খাদ্যতালিকায়৷

এখানে সদ্যজাত এবং সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুদের ওজন বৃদ্ধির উপযোগী শ্রেষ্ঠ খাবারের তালিকা রইল, যেগুলি আপনি তাদের খাবারে যোগ করতে পারেনঃ

ঘুম থেকে উঠে কেবল একগ্লাস দুধ আর একটা বিস্কুট খাইয়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাবেন না৷ অনেক বাচ্চার সকালে উঠতেই এত দেরি হয়ে যায় যে তারা কিছুই না খেয়ে স্কুলে চলে যায়৷ ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টার মধ্যে সকলকে কিছু না কিছু খেতেই হয়, তা না হলে ঘাটতি আসবে এনার্জি লেভেলে৷


বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা


স্কুলের টিফিনে সব রকম সবজি মেশানো উপমা বা ভেজিটেবল ফ্রায়েড রাইস দিতে পারেন৷ ফ্রায়েড রাইসে চিকেন-ডিমও মেশানো যায়৷ চিকেন বা ডিমসেদ্ধ দেওয়া স্যান্ডউইচও ভালো লাগে খেতে৷ ছানা, ডিম বা চিকেনের পুর দিয়ে রুটি বা সামান্য তেলে সেঁকা পরোটার রোলও করে দিতে পারেন৷ এমন কিছু না দেওয়াই ভালো যেটা থেকে রস বেরিয়ে ব্যাগ-বইখাতা ভিজিয়ে দেবে৷ কোনওদিন ফল কেটে দিলেও জ়িপ লক পাউচে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন, একই কথা রায়তার ক্ষেত্রেও খাটে৷ খাবারটা দেখতে যেন রঙিন হয়, সে ব্যাপারে যত্নশীল হবেন৷

খাবার সুস্বাদু করে তোলার জন্য সামান্য নুন-গোলমরিচ-চিনি-লেবুর রস বা জিরে-ধনে-গরম মশলা শুকনো তাওয়ায় ভেজে গুঁড়ো করে মেশান৷ খাবারে অতিরিক্ত তেল, চিনি বা নুন থাকলে কিন্তু শিশুর জিভে সেটাই অভ্যেস হয়ে যাবে, তখন সে আর হালকা-সহজপাচ্য খাবার খেতেই চাইবে না৷ সেই বুঝে রান্না করুন৷ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল সব থাকা দরকার৷ দুধ বা ছানা, প্রসেস না হওয়া চিজ়, দই ইত্যাদিও খাওয়াতে হবে৷


IMG_20220812_215803-1660321694427 বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার - Healthy Food For Kids


মরশুমি ফলের রস, ফুল ফ্যাট মিল্ক বা ইয়োগার্ট দিয়ে দারুণ আইসক্রিম বানানো যায় বাড়িতেই৷ কোল্ড কফি বা মিল্ক শেক বানানোও সহজ৷ বাইরে গিয়ে এগুলো খাওয়ানোর বদলে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন, দরকারে বাচ্চাকেও সঙ্গে নিন৷ কেক-কুকিজ়ও বাড়িতে বানাতে পারলেই ভালো হয়,।
এই সুপারফ্রুট পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ এবং কার্বোহাইড্রেটে পূর্ণ । ভ্রমণের সময় একটি সুবিধাজনক জলখাবার হিসাবে এটি আপনার শিশুর ব্যাগের একটি অংশ হিসাবে থাকতে পারে।

মিষ্টি আলু খুব সহজে সিদ্ধ হয়ে যায় এবং সহজে বাটা যায় । এগুলি সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য এবং স্বাস্থ্যকর । এগুলি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিযে ভরপুর- শিশুদের ওজন বৃদ্ধির জন্য এগুলি শ্রেষ্ঠ ভিটামিন ।

বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির খাবার

ডাল বা কলাই পুষ্টিগুণে ভরপুর । এগুলি প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, ফাইবার এবং পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ । ৬ মাস পর, আপনি ডালের স্যুপ বা ডাল পানির আকারে আপনার শিশুর সঙ্গে পরিচয় করাতে পারেন, যেটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সবথেকে জনপ্রিয় ওজনবৃদ্ধির পানীয় ।

ঘি বা পরিশোধিত মাখনে উচ্চ পুষ্টিগুণ আছে । আপনার বাচ্চার ৮ম মাসের আশেপাশের সময়ে এটির সঙ্গে পরিচয় করান । কয়েক ফোঁটা ঘি পরজে যোগ করুন অথবা বাটা খিচুড়ি অথবা ডালের স্যুপের উপর ছড়িয়ে দিন ।


বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়


১২ মাস পূর্ণ হওয়ার পরেই শুধুমাত্র, শিশুদের প্রোটিনে ভরপুর এই উৎসের সঙ্গে পরিচয় করানো উচিত । ডিম সাচ্যুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল বা খনিজতে পূর্ণ; আপনি একে অমলেট, ভুজিয়া, সিদ্ধ, ডিম-ভাত অথবা ফ্রেঞ্চ টোস্ট হিসাবে পরিবেশন করতে পারেন ।

স্বাস্থ্যকর খাওয়ার টিপস

খাবার সময়কে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করে তুলতে, রঙিন প্লেট, বাসনপত্র, সঙ্গীত, বাচ্চাদের পার্টি ইত্যাদি ব্যবহার করুন ।

আপনি মাঝে মাঝে বাচ্চাকে পার্কে নিয়ে গিয়ে পিকনিকের মতো খাওয়াতে পারেন ।

বাচ্চাদের তৈরি হতে পারা অ্যালার্জির উপর নজর রাখুন । বাদাম, গ্লুটেন, মাছ বা ল্যাক্টোজে অসহিষ্ণু হতে পারে ।

খাবারের সময় নির্দিষ্ট করুন, যাতে শিশুর শারীরিক চক্র সেই অনুসারেই নির্দিষ্ট হবে । খাবার সময়গুলির মাঝে খাওয়াবেন না ।

অত্যাধিক খওয়া এমনকি কম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত ।

বাচ্চাদের জন্য বাড়িতে তৈরি খাবার প্রদান করুন; ভ্রমণকালে, জাঙ্কফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে ফলের মতো স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলিই বাছুন ।

শিশুরা বড় হওয়ার সাথে সাথে, খাবারের বিকল্পগুলি বেছে নেওয়ার জন্য এবং রান্নায় আপনাকে সাহায্য করার জন্য তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অন্তর্ভুক্ত করুন । যদি খাবার বাছাই করতে এবং তৈরি করতে সাহায্য করলে, তারা খাওয়ার ব্যাপারটিকে আরও ভালোভাবে গ্রহণ করবে ।

Tags – Baby Food, Baby Care, Life Style

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *