ত্বকের মৃত কোষ নিয়মিত পরিষ্কার করতে না পারলে কখনওই আপনার জেল্লা ফুটবে না। আর প্রাকৃতিকভাবে মৃত কোষের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে স্ক্রাবারের সাহায্য আপনাকে নিতেই হবে।
যাঁদের ত্বক সেনসিটিভ অথবা মিশ্র প্রকৃতির, তাঁদের ক্ষেত্রে সঠিক স্ক্রাব বেছে নেওয়া কঠিনই বটে। আবার বাজারে যেসব স্ক্রাব পাওয়া যায়, সেগুলো ত্বকের জন্য খুব একটা ভালো হয়না। সে ক্ষেত্রে রেডিমেড স্ক্রাবের পরিবর্তে বেছে নেওয়া যায় ঘরোয়া উপকরণ। ওটস, কফি, কমলালেবুর খোসাগুঁড়া, চালের গুঁড়া, সি-সল্ট, চিনি, বেসন ইত্যাদি স্ক্রাব হিসেবে বেশ কার্যকর।
ত্বক ভালো রাখতে নানা আয়োজন করে থাকে অনেকেই। কিন্তু স্ক্রাব ব্যবহার না করলে পুরো আয়োজন থেকে যাবে অসম্পূর্ণ। কারণ, স্ক্রাব ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে নিশ্বাস নিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রুক্ষ ত্বক কোমল করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় তথা ত্বক পলিশ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, প্রতিটি উপাদানই ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করে এবং রূপচর্চায় এগুলোর গুরুত্ব সীমাহীন। তবে উপাদানগুলো ত্বকের কতটা উপকার করবে, তা নির্ভর করে কীভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন ত্বকের ধরন অনুযায়ী স্ক্রাব বেছে নিতে হবে। সব ত্বকে একই স্ক্রাব উপযোগী নয়।
কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে তুলে রাখেন অনেকেই। এবং বেটে প্যাকে মিশিয়ে ব্যবহার করে বা চাল-মুসুুরডাল বাটা তৈরি করে স্নানের আগে শরীরে দিতেন। তা-ই হচ্ছে আদি স্ক্রাব। আপনার রোজের প্যাকে যদি খানিকটা মিহি গুঁড়ো নুন, চিনি বা সুজি মিশিয়ে নিতে পারেন তা হলে সেটাও স্ক্রাবার হিসেবেই কাজ করবে।
ঘরোয়া বা দোকান থেকে কেনা – যে কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করার সময়ে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। স্ক্রাবার একটু দানা দানা হওয়াই বাঞ্ছনীয়, তাই বাদাম, মুসুরডাল বা কমলালেবুর খোসা – যাই ব্যবহার করুন না কেন, বাটার সময় কচকচে ভাব বজায় রাখবেন। । ঠান্ডা দুধ বা দইয়ের বেস ত্বকের লালচেভাব কমাতে সাহায্য করবে। ত্বকে ব্রণ বা র্যাশ থাকলে ঘরোয়া স্ক্রাবও ব্যবহার করবেন না। ব্রণ কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতিদিন স্ক্রাবার ব্যবহার করারও কোনও দরকার নেই, সপ্তাহে তিনদিন করলেই ত্বক যথেষ্ট ভালো থাকবে।
লেবুর রস, চিনি, মধু, কফির গুঁড়ো, চালগুড়ি, বেসন, কাঁচা দুধ আর হলুদ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিহি পেস্ট তৈরি করুন। এবার হাতে, মুখে, গায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরপর কয়েকদিন করুন। সপ্তাহে তিনদিন করতেই পারেন। একমাসেই পাল্টে যাবে পুরনো চেহারা। ত্বকেও আসবে নতুন ছোঁওয়া
পাকা কলার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব বানান। এরপর তা ভালো করে লাগিয়ে নিন পুরো শরীরে। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিিন। চিনিতে আছে আলফা হাইড্রক্সাইড অ্যাসিড। যা চামড়া কুঁচকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
গ্রিন টিয়ের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।আর তাই চিনি গুড়ো করে গ্রিন টি পাতার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে অলিভ অয়েল আর মধু মেশান। এবার এই মিশ্রণ ভালো করে মুখে লাগিয়ে নিন। ১o মিনিট রেখে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের মরা কোষ উঠে আসবে।
যাদের ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির তাদের জন্য এই স্ক্রাব খুবই ভালো। মুখের অতিরিক্ত অয়েলকে শুষে নিতে পারে এই স্ক্রাব। ওটস, চিনি আর মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এই স্ক্রাব বানিয়ে নিন।
নারকেল তেল, চিনি আর কফি পাউডার মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফুট স্ক্রাবার। এই মিশ্রণটি বানিয়ে কৌটোতে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
স্ক্রাব ব্যবহারের নিয়ম
*ফেসওয়াশের মতো প্রতিদিন স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত নয়। দুই সপ্তাহে এক বা দুবারের বেশি স্ক্রাবিং করা ঠিক হবে না। মুখের সঙ্গে গলা এবং ঘাড়েও স্ক্রাব করা ভালো।
* স্ক্রাব করার আগে মুখ পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর কিছু পরিমাণ স্ক্রাব হাতে নিয়ে পুরো মুখে সার্কুলার মোশনে মুখের ত্বকে ঘষতে হবে।
* মনে রাখতে হবে, স্ক্রাব ব্যবহারের পর ত্বক অনেকটা শুকনো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
* ওয়্যাক্সিং করার পর কয়েক দিন স্ক্রাবিং না করাই ভালো। এ জন্য ওয়্যাক্সিং করার আগে স্ক্রাবিং করে নিতে হবে।
কোন কোন সময় স্ক্রাব করবেন না-
ত্বকের ট্যান দূর করতে, মরা কোষ তুলে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ও আরও হাজারটা সমস্যার সমাধান রয়েছে ফেস স্ক্রাবিংয়ে। তবে যদি ত্বক খুব রুক্ষ বা শুষ্ক হয়ে থাকে কিংবা ত্বকে কোনও র্যাশ বা অ্যালার্জি দেখা দেয়, তাহলে সেই অবস্থায় একেবারেই স্ক্রাব করবেন না।
Tags – Skin Tips Skin Care Homemade Scrubbers
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment