রান্নাঘর সমস্ত মা ঠাকুমা কাকি সবার কাছে খুব প্রিয়। তারা সকলেই চান রান্না ঘরটি নিজের মনের মত করে সাজাতে।। রান্নাঘর সুন্দর হলে মনও ভাল থাকে, রান্নাকরতেও বেশ ভালোলাগে।। তাছাড়া মা অন্নপূর্ণার বাস সেখানেই। যে কারণে বাড়িতে মা-ঠাকুমারা রান্নাঘরে ওতো সহজে কাউকে ঢুকতে দিতে চাইতেন না। সব সময় নিজের মত করে আগলে রাখতেন।মডিউলার কিচেনের জন্যে সুন্দর সুন্দর মশলাদানি, কৌটো, আলো, গাছে অনেকেই সাজিয়ে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে রান্নাঘরের রঙও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। রান্নাঘরে অগ্নিদেবের বাস। তাই রান্নাঘরে হালকা রং না করাই ভাল। এছাড়াও রান্নাঘরে তেলচিটে বেশি পড়ে। সেক্ষেত্রে রং গাঢ় হলে সেই সমস্যা কম হয়। হলুদ কিংবা লাল রং সবুজ রং করতে পারেন। এতে দেখতেও ভাল লাগে।
রান্নাঘরের বাস্তুদোষের কারণে অর্থহানি, ব্যবসায়ে ক্ষতি, সম্পর্কে তিক্ততা আসতে পারে।
বাস্তু শাস্ত্র বলছে উত্তর দিকে কোনওভাবেই রান্না করা উচিত না। রান্না ঘরের সবচেয়ে ভাল দিক হল পূর্ব। বাড়িতে রান্নাঘর করার সময় সবসময় পূর্ব দিক মাথায় রাখতে হবে। পূর্ব দিকে রান্নাঘর করা সবথেকে ভাল। কারণ সূর্যের প্রথম রশ্মি পূর্ব দিকে পড়ে। দিনের শুরুটাও সকলের রান্নাঘর দিয়েই হয়।
উত্তর দিকে মুখ করে রান্না করলে সংসারে শান্তি থাকেনা। অকারণে অশান্তি তৈরি হয়। মনে অস্থিরতা বাড়ে। এছাড়াও উত্তুরে হাওয়ার দাপটে গ্যাস বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
থালা-বাসন ধোয়ার জন্য বেসিন উত্তর-পূর্ব দিক সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।রান্নাঘরে রাখা ইন্ডাকশন-মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি সবসময় দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রাখতে পারেন।।রান্নাঘরের জানালা বা লাইট এর ব্যবস্থা পূর্ব ও উত্তর দিকে রাখতে হবে।রান্নাঘরে ফ্রিজ সবসময় উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখা উচিত।রান্নাঘরে ব্যবহৃত খাদ্য সামগ্রী যেমন আটা, চাল, ডাল ইত্যাদি পশ্চিম বা দক্ষিণ দিকে রাখুন।
আর রান্নাঘরের ভিতরে কখনও মন্দির তৈরি করবেন না। এটি পরিবারের যেকোনো সদস্যে ক্ষতি হতে পারে।। রান্নাঘর এবং বাথরুম কখনই এক সরলরেখায় থাকা উচিত নয়। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না।রান্নাঘরে ওষুধ রাখবেন না।বাড়ির প্রবেশদ্বারের সামনে রান্নাঘর থাকলে, তা বাস্তুদোষের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে অন্যতম। রান্নাঘরের পর্দা লাগানো উচিত।
সকালে উঠে সবার আগে রান্নাঘর পরিষ্কার করে, স্নান করেই রান্না করা উচিত। এমন করলে অর্থাভাব হবে না।রান্নাঘরেই পুজোর স্থান হলে তা-ও বাস্তুদোষের কারণ।এর ফলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসার অভাব ও অর্থাভাবও দেখা দিতে পারে।রান্নাঘরে অপ্রয়োজনীয় জিনিস থাকলে সদস্যদের উন্নতি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সরিয়ে ফেলাই ভালো।
রান্নাঘরের সামনে বা পাশে বাথরুম থাকা উচিত নয়। যদি বাথরুম থাকে, তা হলে সেটি সবসময় বন্ধ রাখা উচিত। না-হলে সেখান থেকে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে। নিয়মিত রান্নাঘর পরিষ্কার করুন। মেঝেটি পুরোপুরি পরিস্কার করে রাখবেন।
রান্নাঘরের উইন্ডো অঞ্চলে তুলসী, পুদিনা, বাঁশ বা কোনও ভেষজ উদ্ভিদ রাখুন। কাঁটাযুক্ত গাছগুলি এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলি পরিবেশে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।রান্নাঘরের চুলার বার্নারগুলিকে পরিষ্কার রাখুন, কারণ এটি পরিবারে অর্থের প্রবাহকে নিশ্চিত করে।।।
Tags – Vastu Shastra
মেয়েদের কাছে চুল হলো অমুল্য রত্ন ,, কিনতু আজকাল দূষণের কারনে, শারীরিক প্রবলেমের জন্য সকলের…
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
Leave a Comment