Spread the love

বেশি বয়সে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে! জেনে নিন বিস্তারিত – Older Men’s Fertility Decreases! Know The Details


ছেলেদের শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কখনও বন্ধ হয় না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাঁদের মহিলাদের মতো ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ নেই।গত কয়েক দশকে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গিয়েছে। এক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ঘটনা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের (Male infertility) কারণে হয়।


ky-2107030808-1660574240182 বেশি বয়সে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে! জেনে নিন বিস্তারিত - Older Men's Fertility Decreases! Know The Details

পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এই বদভ্যাস, জেনে নিন


অনেকের ধারণা, সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের বয়স কখনওই বাধা হতে পারে না। কেবল মেয়েদের বয়সই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে। পুরুষরা গড়ে প্রায় ৩৪ বছর বয়সে পিতা হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। জীবনে সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে অনেকেই সন্তান নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।


পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়স হল পিতা হওয়ার জন্য আদর্শ। তবে এ কথাও ঠিক যে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সি পুরুষও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। ৪০ বছরের পর থেকে কমতে থাকে প্রজনন ক্ষমতা।

তামাক এবং ধূমপান বীর্যের গুণমান হ্রাস করে

প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যান

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়। পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের (Male infertility) কারণে হয়। খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, ল্যাপটপ ও মোবাইলের বিকিরণ, ধূমপান, অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদিও প্রজনন হারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দৈনন্দিন কাজকর্মের উন্নতি এবং লাইফস্টাইলের পরিবর্তন করে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে।


বেশি বয়সে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে! কোন বয়সি পুরুষদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা বেশি


পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার ক্ষতি করে এমন ৫টি খারাপ অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিন

১. ধূমপান এবং মদ্যপান (Smoking and Drinking) : তামাক এবং ধূমপান বীর্যের গুণমান হ্রাস করে এবং শুক্রাণুর ডিএনএকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।


২. স্থূলতা (Obesity) : সাধারণ BMI বিভাগের পুরুষদের তুলনায় স্থূল পুরুষদের বীর্যের গুণমান কম। আসলে, স্থূল মানুষের শুক্রাণুর ডিএনএ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা প্রজননের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।


৩. স্ট্রেস টেস্টোস্টেরনকে ভারসাম্যহীনতার দিকে পরিচালিত করে এবং তারপরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।


৪. ওষুধের ব্যবহার (Drug Use) : অনেকে পেশী এবং স্ট্যামিনা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করেন। এটি অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত করতে পারে এবং শুক্রাণু উৎপাদন কমাতে পারে।


৫. বসে থাকা জীবনধারা (Sedentary Lifestyle) : বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বসে থাকা জীবনযাপনের ফলে শুক্রাণুর গুণমান, পরিমাণ এবং স্ট্যামিনা কমে যায়।

বাড়তি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জীবনধারায় অনিয়ম পুরুষদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, স্থূলতা— পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।


Tags: Male Fertility

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *