ময়শ্চারাইজারের কাজ করবে এই তিনটে জিনিস – Moisturizer Will Work These Three Things
রোজ মুখ ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগানো প্রয়োজন। ত্বকের যত্নে এতটুকুও না করলে কম বয়সেই পড়তে পারে বলিরেখা। ডার্ক স্পট।। এ সব কথা তো জানাই। কিন্তু যখন ময়শ্চারাইজার আপনার হাতের কাছে না থাকবে তখন আপনি ময়শ্চারাইজার এর পরিবর্তে কি এমন দিলে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে।। সেটির কথাই আজকে আপনাদের জানাবো – আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে টোনার ও ময়শ্চারাইজার লাগানো প্রয়োজন। এতেই একমাত্র আপনার ত্বক ভালো থাকবে। কিন্তু বাজারচলতি ময়শ্চারাইজারের পরিবর্তে আপনি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারও ব্যবহার করতে পারেন। কীভাবে? পড়ুন বিস্তারিত…
ময়শ্চারাইজার কখন ব্যবহার করা উচিৎ
মুখে ময়শ্চারাইজার লাগানোর নিয়ম কী?
বাইরে থেকে ফিরে সরাসরি মুখে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন, এমনটাই ভাবছেন না তো? তাহলে আর আপনার মতো ভুল কেউ করছেন না। কারণ, ময়শ্চারাইজার লাগানোর একটা নিয়ম আছে। তাহলেই তা ত্বকে ভালো করে কাজ করতে পারে। নাহলে ক্ষতিও হতে পারে। প্রতিদিন সকালে উঠে মুখে ক্লিনজার লাগিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর টোনার লাগিয়ে নিন। এরপর ময়শ্চারাইজার লাগান।
একইভাবে, রাতেও আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ব্যবহার করতে হবে ক্লিনজার। তারপর টোনার লাগান এবং শেষে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার ত্বক তৈলাক্ত, তাই হয়তো আর আপনার ময়শ্চারাইজার লাগানোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই ধারণা সত্যিই খুব ভুল। বরং, সব ধরনের ত্বকেই ময়শ্চারাইজার লাগানো দরকার। তাহলেই একমাত্র ত্বক ভালো থাকতে পারে আপনার। কারণ, ময়শ্চারাইজার আপনার মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখে। তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে না।
বাজার চলতি ময়শ্চারাইজারের পরিবর্তে আপনি কী কী প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন দেখে নিন –
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই ভালো। ত্বকের নানা সমস্যা সারিয়ে তুলতে পারে এই অ্যালোভেরা জেল। আপনি মুখে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে যাঁদের ত্বকের ধরন তৈলাক্ত, তাঁরা চোখ বন্ধ করেই ব্যবহার করতে পারেন এই অ্যালোভেরা জেল।
ময়শ্চারাইজার এর কাজ কি
আমন্ড অয়েল আমন্ড অয়েল আপনার চুলের জন্য যতটা ভালো, ঠিক একইভাবে আপনার মুখের জন্যেও খুবই ভালো। আমন্ড অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থকে। আর এই ভিটামিন ই ত্বকের যত্নে কতটা উপকারী, তা নতুন করে বলে দিতে হবে না।। তবে এই আমন্ড অয়েল মেখে রাস্তায় না বেরনোই ভালো। রাতে মাখতে পারেন। আর হ্যাঁ, অতিরিক্ত পরিমাণে মাখবেন না। অল্প লাগালেই হবে।
দুধ
প্রদাহ দমন করার ক্ষমতা আছে দুধে। একটি পরিষ্কার কাপড় দুধে ভিজিয়ে নিয়ে তা ভাল ভাবে মুখে বুলিয়ে নিন। তার পর কিছু ক্ষণ মুখে সেই দুধ শুকোতে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন এতে আপনার ত্বক নরম কোমল হবে।।
গরমে ত্বকের যত্ন
অলিভ অয়েল অলিভ অয়েলও ত্বকের জন্য খুবই ভালো। সে জন্যই নানা স্কিন প্রোডাক্টে এখন এই অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়। এটি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনিও ব্যবহার করুন এই অলিভ অয়েল। কয়েক ফোটা নিয়ে ভালো করে মুখে মাসাজ করে নিন। এটি আপনার ত্বকের ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে। ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
মধু মধুতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। রয়েছে ব্যাক্টিরিয়া নাশ করার ক্ষমতাও। মুখে ভাল ভাবে মধু লাগালে তা লোমকূপের ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। সরাসরি মুখে মধু দেওয়া যেতে পারে। তা ছাড়াও দুধের সঙ্গে একটু মধু আর লেবুর রসও মেশানো যেতে পারে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের নিয়ম, উপকারিতা এবং কেনার কৌশল
হাতে ও মুখের ট্যান দূর করতে একটি বাটিতে কফি নিন। তাতে মেশান মধু। এই মিশ্রণটি প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। কফি হাত-মুখ পরিষ্কার করবে। মধু ত্বকের ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। সান ট্যান দূর করতে এটা দারুণ কার্যকর।
কফি এবং লেবু
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ত্বক পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা হয়। কফির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। সামান্য কফির সঙ্গে লেবুর রস মেশান। সেই মিশ্রণ হাতে ও মুখে লাগিয়ে নিন। হাত দিয়ে ঘষে নিন। ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে।