মায়ের মধ্যে এই গুণগুলো সন্তানকে সফল করে – These Qualities In The Mother Make The Child Successful
সকল বাবা-মায়েরাই চান যে তার প্রিয় সন্তানটি মনের মতো করে বড় হয়ে উঠুক। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তাদের সন্তান সর্বোচ্চ সাফল্য লাভ করুক। এমনটা কিন্তু সকলে সন্তানের বাবা-মায়ের একান্ত কাম্য। একজন সন্তান কে সুশিক্ষিত ভাবে বড় করে তোলার জন্যে কোন নিয়ম অথবা কোন প্রভাবকের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই একেবারেই। তবে আপনি ভুল। এই বৈশিষ্ট্য যা বাবা-মায়েদের মধ্যে থাকলে সন্তানদের সফলতার হার বেড়ে যায় অন্য সকল সন্তানদের থেকে অনেক বেশী।
মায়ের যে গুণগুলো সন্তানকে সফল করে
সন্তানের সবচেয়ে কাছের মানুষ তার মা। তাই মা না চাইতেও সন্তান অনেককিছু তার কাছ থেকে শিখে নেয়। সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক যত সুন্দর হবে, তার জীবনের সফলতাও তত এগিয়ে আসবে। মায়ের কিছু বৈশিষ্ট্য বা গুণ সন্তানকে সফল হতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সন্তানের সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনা
সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী বা উন্নত করতে হলে প্রথমেই তাদের কথা মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করতে হবে। কারণ প্রত্যেক মানুষই নিজের কথাগুলো বলতে চায়। মায়ের কাছে সেই নিশ্চয়তাটুকু পেলে তারা নিশ্চিন্ত মনে বলতে পারে।
মানসিক চাপ দেবেন না
সন্তানের কোনো কোনো আচরণে আপনার বিরক্ত লাগতে পারে। শিশুরা সবকিছু বুঝেশুনে করে না। তাই বিরক্ত হলেও সন্তানকে তা নিয়ে চাপ দেবেন না। বরং সুন্দর করে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
বন্ধু হয়ে উঠুন
যেকোনো সম্পর্ক শক্ত করার জন্য প্রয়োজন হয় সময়ের। মা-বাবা দুজনেই কর্মজীবী হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সন্তানের ভাগে সময় কম বরাদ্দ থাকে। তাই যত ব্যস্ততাই থাকুক, সন্তানের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় রাখুন।
সফল সন্তানদের পিতা-মাতার মাঝে অবশ্যই থাকে এই বৈশিষ্ট্য!
তার সঙ্গে কেনাকাটা করুন
কেনাকাটা মানেই অপচয় নয়। সন্তানের প্রয়োজনীয় এবং শখের টুকিটাকি কেনাকাটার সময় তাকে সঙ্গ দিন। আপনাকেই যদি সে বন্ধু হিসেবে সবার আগে কাছে পায়, তবে ভুল বন্ধু বেছে নেওয়ার ভয় থাকবে না। তার বয়সটিই এমন, যে বন্ধুদের সঙ্গ চায়। আপনিও তার অন্যতম বন্ধু হয়ে উঠুন।
সহানুভূতিশীল হোন
আপনার সহানুভূতিশীলতা পারে সন্তানের জীবনকে আরও সহজ করে দিতে। সে যেন যেকোনো কষ্টের কথা নির্দ্বিধায় আপনাকে জানাতে পারে। তাকে ভরসা দিন। তার আস্থার জায়গা হয়ে উঠুন।
তারা তাদের বাচ্চাদের ঘরের কাজ করতে দেন
“আপনার সন্তান তার এঁটো থালাবাসন যদি না ধুয়ে থাকে, তার মানে অন্য কেউ সেই কাজটা করে দিচ্ছে।“ তিনি আরো বলেন, “তারা ছোট থেকেই বুঝতে শিখে যায় যে তাদের কে যেকোন ধরণের কাজ করা থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে সে শিখতে পারে না, ঘরের কাজে নিজের কিছু অবদান রাখার জন্যে নিজের কাজটুকু নিজের করা উচিত।
বাচ্চারা বুজতে পারেন কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
সামাজিকতা
স্কুলে বন্ধুদের সাথে গ্রুপ তৈরি করে কাজ করতে শেখান, একে অন্যের ভালো-খারাপ সময়ে পাশে থাকতে বলুন- তারা পরবর্তি জীবনে খুব দ্রুত ডিগ্রী নিয়ে ভালো কোন চাকরীতে ঢুকে যেতে পারে। কারণ, তারা খুব ভালোমতো জানে কীভাবে মানুষের সাথে মিশতে হবে।
সন্তানদের উপর অনেক বেশী প্রত্যাশা রাখেন
সন্তানেরা জেনে থাকে, বাবা-মা তার কাছ থেকে কতটুকু আশা করছে। এবং তারা সেইভাবেই কাজ করার চেষ্টা করে যেন প্রত্যাশিত ফলাফলের কাছাকাছি ভালো তারা করতে পারে।
যেসকল বাবা-মায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকে
যে সকল পরিবারের বাবা এবং মায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকে না সে সকল অভিভাবকদের সন্তানরা খুব বেশী সাফল্য লাভ করতে পারে না। বাবা এবং মায়ের ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ফলে একটা সংসার ভেঙে যায় এবং সাথে ভেঙে যায় পারিবারিক আবহ। এর প্রভাব পড়ে সন্তানের মনের উপর প্রবলভাবে।, ঝামেলা যুক্ত সম্পর্ক নিয়ে একসাথে থাকা বাবা-মায়ের সন্তানদের থেকে, সিঙ্গেল অভিভাবকদের সাথে থাকা সন্তানরা ভালো ফলাফল করে থাকে।
যে বাবা-মা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে থাকেন
ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের মনস্তত্ববীদ স্যান্দ্রা ট্যাং জানান, “যে সকল মায়েরা তাদের সময়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে ছিলেন, তাদের সন্তানেরাও পরবর্তিতে তাদের মায়ের মতোই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।“
খুব ছোট বয়স থেকেই সন্তানদের অংক শেখান
যে সকল শিশুরা খুব ছোট থেকেই অংক শিক্ষা পেয়ে বড় হয় পরবর্তিতে তারা অংকের ক্ষেত্রে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে এবং পড়ালেখায় অনেক ভালো হয়।
সাফল্য নয়, প্রচেষ্টাকেই তারা বেশী গুরুত্ব দেন
মানুষেরা ভেবে থাকেন তাদের সকল বুদ্ধিমত্তা এবং ক্ষমতা জন্ম থেকেই একদম নির্দিষ্ট করে দেওয়া। তাই তারা তাদের বুদ্ধিমত্তা এবং ক্ষমতার সাথে মিল থাকে এমন ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র সাফল্য লাভ করতে কাজ করতে চান এবং যে কোন উপায়ে হোক হেরে যাওয়াকে এড়িয়ে চলতে চান।