হাসতে ভুলে যাচ্ছেন? টেনশন, চাপ আপনার হাসি শুষে নিয়েছে? মন খুলে হাসুন। যত পারেন হাসুন। প্রাণ খুলে হাসুন। যত হাসবেন, তত বাড়বে আয়ু। হার্ট থাকবে চাঙ্গা।
হাসলে আয়ু বাড়ে। হার্ট ভাল থাকে। ওজন কমায়। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হজম ভাল হয়। ভাল থাকে ফুসফুস। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়। ব্যথা কমায়। দিনে ১৫ মিনিট হাসুন। ফলে, শরীরে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ হয়। ডিপ্রেশন কমে। সম্পর্কের উন্নতি হয়। সম্পর্ক ভাল থাকে। মন খুলে হাসলে স্ট্রেস হরমোন কমে।
শরীরের অনেক নিয়ন্ত্রকের মধ্যে অন্যতম হল হরমোন, তেমনই কিছু নির্দিষ্ট হরমোনের কম-বেশি প্রভাব সরাসরি পড়ে মানসিক স্থিতিতে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, অক্সিটোটিন, এন্ডরফিন্স ও নরএপিনেফ্রিনের মতো পরিচিত নামগুলি আদতে মস্তিষ্ক ও শরীরের উপরে কতটা কার্যকর।
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কিছু হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেই মুশকিল। কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন? কারও যদি মনঃসংযোগে সমস্যা হয়, অবসন্ন লাগে, কাজের ইচ্ছে চলে যায়, ধরে নেওয়া হয় মস্তিষ্কে ডোপামিনের মাত্রা কমে গিয়েছে। নরএপিনেফ্রিনের ক্ষেত্রে শারীরিক উপসর্গ বেশি প্রকট। সারা শরীরে ব্যথা বা জ্বালা করা, চিনচিন করার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
কোনও কোনও দিন মনে হতেই পারে, একদম কাজ করতে ইচ্ছা হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে মন খারাপ হওয়াটাও স্বাভাবিক। তার মানেই কিন্তু অবসাদ বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে কিছু হরমোনের তারতম্য। এর জন্যে যা করবেন –
১) দিনে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম ভীষণ দরকার। রাত জেগে মোবাইল ঘাটা, ওয়েব সিরিজ দেখার অভ্যাসে বদল আনতে হবে।
২) শরীরচর্চা শুরু করুন। কেবল ওজন কমাতেই নয়, শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যেও ব্যায়ামের অনুশীলন করতে হবে।
৩) খাবারে প্রোবায়োটিকের মাত্রা বাড়ান। প্রোবায়োটিক থেকেই ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয়। এই হরমোন স্নায়ুকে শান্ত করে।
৪) মেডিটেশন করুন। ধ্যান করুন। কোনও শান্ত শব্দে একই ধাঁচের একটি মিউজিক (ইন্সট্রুমেন্টাল) চালিয়ে চোখ বুজে থাকুন ২০ মিনিট।
৫) ডার্ক চকোলেটও অবশ্যই রাখুন রোজকার ডায়েটে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে চকোলেটের মধ্যে যে কোকো থাকে তা আমাদের এন্ডোরফিন নিঃসরণে সাহায্য করে।
৬) মনের মতো খাওয়া দাওয়া করুন। সুষম খাদ্য খান। বাদামি চাল, দুধের পনির, সাদা রুটি এবং আনারস আপানার শরীরে হ্যাপি হরমোনের ভাগ বাড়িয়ে দেবে।
৭) কাজের মাঝেও বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য সময় বার করে নিতে হবে। আড্ডা, আলাপ-আলোচনা করলে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে।
Tags – Happy Hormone’ In The Body Health Tips Health Care
দেশে যেনো বেড়েই চলেছে এই স্তন ক্যান্সারের সংখ্যা……এটি এমন একটি রোগ যেখানে অস্বাভাবিক স্তন কোষগুলি…
দিন যতো যাচ্ছে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দিনদিন আমাদের দেশে বেড়েই চলেছে। এর মুখ্য কারণ জানেন…
রান্না ঘরের মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে এই হলুদ,,,যেকোনো রান্নায় হলুদ তার রং দিয়ে সৌন্দর্য…
অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না,, ত্বক গ্লো করা থেকে শুরু করে,…
ক্লিনিং টোনিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজার লাগানো অত্যন্ত জরুরী। নয়তো ত্বক তার নিজস্ব আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে,,, প্রতিবার…
এখনকার মহিলা পুরুষদের বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই…
Leave a Comment