শরীর দুর্বল কাটাতে একটি মাত্র শাক পাতে রাখুন – Eat Only One Vegetable To Keep The Body Weak
বাজারে দোকানে পাওয়া যায় কলমি শাক। কেউ প্রায়শই খান। কেউ আবার কখনও না কখনও এই শাক চেখে দেখেছেন। সারাদিন ছিম ছিম ভাল। শরীর ক্লান্ত লাগছে। মাথা ঘুরছে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ে আমরা প্রত্যেকেই জেরবার। সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর শরীর যেন আর দিচ্ছে না। আর তখনই আমরা ভরসা করি ওষুধের উপর। শরীরে কিছু হোক না হোক ওষুধ যেন মাস্ট। ওষুধ খেলেই শরীর সুস্থ। এবার থেকে ওষুধ ভুলে ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখুন।
পালং শাকের যেমন উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, কিন্তু কলমি শাকের সম্পর্কে খুব বেশি জানা নেই বহু মানুষেরই।
শরীর দুর্বল, একটি মাত্র শাকেই হবে সমস্যার সমাধান
কলমি শাক একটি আঁশজাতীয় খাবার। পুষ্টি গুণে কলমি শাক অনন্য। এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে খাদ্যউপাদান। এই শাক দামে সস্তা ও সহজলভ্য, কিন্তু পুষ্টিতে পরিপূর্ণ।
ভর্তা কিংবা ভাজি করে খাওয়া হয় কলমি শাক। এছাড়া পাকোড়া, বড়া ইত্যাদি তৈরি করেও খাওয়া যায়। এই শাকে রয়েছে অনেক ঔষধী গুণ। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে।
প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পাওয়া যায় ২৯ কিলো ক্যালোরি।
কলমি শাকে আয়রন বেশি থাকায় রক্তশূন্যতায় খুবই উপকারী
বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে এই শাক খুবই উপকারী চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখতে কলমি শাক উপকারী।কলমি শাকে ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
শরীর ও মন সুস্থ রাখতে এই শাক খুব উপকারি
একটি মাত্র শাক খেলেই হাজারো সমস্যার সমাধান। সেটি হল কলমি শাক।
** শারীরিক দুর্বলতা কমায়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে এই শাক আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন। শরীরের দুর্বলতা ঠিক করার জন্। এই শাক খুবই উপকারী।
**কলমি শাকের মধ্যে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড়কে মজবুত করে।
** মহিলাদের শারীরিক সমস্যা দূর করতে জুড়ি মেলা ভার কলমি শাকের।
** কলমি শাকে আয়রন বেশি থাকায় রক্তশূন্যতায় খুবই উপকারী।
**কলমি শাকে ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
**কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। তাই এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ালে তাদের হাড় শক্ত হয়। হাড়ের বিভিন্ন রোগেরও ঝুঁকি কমে।
**রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক প্রভৃতি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
**মধুমেহ রোগীদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী কলমি শাক। মহিলাদের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
**চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে এবং চোখের বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
**ত্বক এবং চুলের জন্যও দারুণ কাজ করে কলমি শাক। ত্বকের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে, এগজিমার সমস্যা দূর করতে, ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে এর জুড়ি মেলা ভার।
**জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে কলমি শাক রান্না করে মাকে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে। এক্ষেত্রে কলমী শাকের সঙ্গে ছোট মাছ দিয়ে রান্না ।।করে খেলে মায়ের দুধ বৃদ্ধি পাবে এবং তখন বাচ্চা বেশি দুধ পাবে।
**যদি কারো ফোড়া হয়, তবে এই কলমী পাতা তুলে একটু আদাসহ পাটায় বেটে ফোড়ার চারপাশে লেপে দিয়ে মাঝখানে খালি রাখতে হবে।
** রাত কানা রোগে এই কলমী শাক কয়েক সপ্তাহ প্রতিদিন একবেলা ভাজি রান্না করে খেলে ভালো হয়।
* হাত-পা বা শরীর জ্বালা করলে কলমী শাকের রসের সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
* পিঁপড়া, মৌমাছি, বিছা বা কোন পোকা-মাকড় কামড়ালে এই কলমী শাকের পাতা ডগাসহ রস করে লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়।
* আমাশা হলে কলমী পাতার রসের সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল নিয়মিত খেলে আমাশার উপশম হয়।
* মাথার খুশকি দুর করতেও কলমি শাক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
Tags – Life Style Food Health Tips Health Care