শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ৯ টি খাবার – 9 Foods That Help Boost Immunity In Children
বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার দিকে প্রথম থেকেই নজর দেওয়া জরুরি। এমন কয়েকটি খাবার সন্তানের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন, যাতে ওদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্ত সবল থাকে।
বাড়ন্ত বাচ্চাদের সঠিক বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য অত্যন্ত জরুরি। অনেক বাচ্চাই শাক-সবজি খেতে ভালোবাসে না। কিন্তু অল্প বয়সে পুষ্টিকর উপাদান জোগানের জন্য সমস্ত ধরনের খাবারই খাওয়া উচিত। বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য সঠিক খাওয়া-দাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী খাবার
বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, সে ততো বেশি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম এবং সংক্রমণের ঝুঁকি ও রোগের তীব্রতা তার জন্য কম। তাই ছোট থেকেই দরকার স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খুব দামি খাবার নয় বরং সাধারণ খাবার যেমন- বাদাম, মৌসুমি ফল, শাক-সবজি, দই, মাছ, মাংস, পনির, ডিম, দুধ, দিতে হবে।
বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজ খাওয়ান এই খাবারগুলি
চলুন জেনে নেয়া যাক বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কোন খাবারগুলো সাহায্য করে
বাদামঃ
বাদামে রয়েছে জিংক যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিংকের ঘাটতি হলে রক্তে শ্বেতকণিকার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা আখরোট, পেস্তা, খেজুর, কিশমিশ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
দুধ
হাড় মজবুত করার জন্য দুধ আবশ্যকীয় একটি পানীয়। দুধে উপস্থিত ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। অনেক বাচ্চাই দুধ খেতে ভালোবাসে না। তার পর দুধের গ্লাস নিয়ে তাদের পিছনে ছুটতে হয়। এমন হলে নানান ধরনের মিল্কশেক বানিয়ে দিতে পারেন।
ডিম
প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ালে প্রোটিনের জোগান পূর্ণ হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের উন্নতি হয়। এ ছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে। এর পাশাপাশি ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলিন নামক পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জরুরি।
ভিটামিন সিঃ
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার দারুণ কার্যকর। ভিটামিন সি শরীরের অতি প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি-ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।
পালং শাক
শাকসবজি খেতে ভালোবাসে না প্রায় সব বাচ্চাই। সেই শাকটি যদি পালং শাক হয় তো কথাই নেই। সবার আগে মুখ ঘুরিয়ে নেয় তারা। কিন্তু এই পালক আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি-র উল্লেখযোগ্য উৎস। বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ও মজবুত হাড়ের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি।
তুলসী
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন, পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ তুলসী। এটি বাচ্চাদের পাচন তন্ত্রকে সুস্থ রাখে। নানান সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, মাথা ব্যথা থেকে স্বস্তি দিতে তুলসী সক্ষম।
পিনাট বাটার
সাধারণ মাখনের তুলনায় পিনাট বাটার অধিক পুষ্টিকর। এতে আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার ও ভিটামিন থাকে। ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটারে প্রায় ২৮ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়।
ওটমিল
একাধিক সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, যে বাচ্চারা ওটমিল খায়, তারা পড়াশোনায় ভালোভাবে মনোনিবেশ করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটমিল ধীরে ধীরে হজম হয়।
বেরি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও রাস্পবেরি পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এতে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকে না।
Tags – Health Tips Health Care Immunity In Children Baby Care