স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করুণ – Control Screen Time
বাচ্চা স্কুল করছে অনলাইনে, আপনি অফিসের ফাইল সামলাচ্ছেন ল্যাপটপে, এর বাইরে বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারও সঙ্গে যখন কথা বলছে, তখনও ভিডিয়ো কলের আশ্রয় নিচ্ছেন তার পর আছে ভিডিয়ো গেম খেলা, নানারকম সিনেমা দেখা নেট ছাড়া মনেহয় আমরা অচল। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে হু হু করে, শহরকে ছাপিয়ে গ্রামে বাড়ছে নেটের ব্যবহার।
পরিবারের অনেকটা সময় কাটছে অনলাইন ডিভাইসে? স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি
প্রযুক্তি আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। তবে সেই সাথে ডেকে এনেছে অসুস্থতাও। আমাদের দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময় কাটে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে।
প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও বহুল ব্যবহার হাতের মুঠোয় পুরো বিশ্বকে এনে দেওয়ার সাথে নানাবিধ শারীরিক সমস্যাকেও এনে দিচ্ছে। জেনে রাখুন স্ক্রিন টাইমের ফলে যে ক্ষতিগুলো হচ্ছে আপনার অজান্তে।
বলা হয়- বিনোদনের জন্য যারা দৈনিক চার ঘণ্টা কিংবা তার চেয়ে বেশি সময় কাটান স্ক্রিনের সামনে, তাদের বড় ধরনের হৃদরোগের প্রভাব দেখা দেয়।
টেক-নেক বলতে বোঝানো হচ্ছে- মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে অস্বস্তিকর ভঙ্গিতে ৪৫ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে তাকিয়ে থাকার ভঙ্গী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমন ভঙ্গীতে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে ঘাড়ের উপর চাপ পরে।
শুধু এটাই নয়। হাতে থাকা মোবাইলের দিকে এভাবে নিচু হয়ে তাকিয়ে থাকার ফলে পুরো মেরুদণ্ডের উপরেই চাপ পরে। ফলে মেরুদণ্ডজনিত সমস্যাও দেখা দেয়।
সময়ের সাথে সাথে মোবাইল ফোনের আকৃতি বড় হচ্ছে। হাতের মুঠোয় মোবাইল দীর্ঘসময় ধরে রাখার ফলে হাতের তালুয় ও আঙুলে ব্যথাভাব তৈরি হয়।
দেখা দেয় ‘আই স্ট্রেইন’
ক্রিন টাইমের সবচেয়ে বড় ও প্রধান সমস্যাটি হলো আই স্ট্রেইন দেখা দেওয়া। দিনের সিংহভাগ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেই সাথে অক্ষিগোলকের ভেতরের অংশ শুষ্ক হয়ে চোখে জ্বালাপোড়া শুরু করে।
স্ক্রিন টাইম যেভাবে ক্ষতি করছে আপনার
বদলে যায় ঘুমের সময়
ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নিঃসৃত ব্লু লাইট খুব ধীরে ঘুমের সময়কে বদলে দেয়। বিকাল ও সন্ধ্যার দিকে যতবেশি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, রাতে ঘুমাতে তত বেশি কষ্ট হয়
অতিরিক্ত সময় কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইসে লগ ইন হয়ে থাকার অনেক সমস্যা আছে। তীব্র আলোর চোখধাঁধানিতে ঘুম আসবে না চট করে, মুখে বলিরেখা পড়বে তাড়াতাড়ি, ড্রাই আই সিনড্রোম বাড়তে পারে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরের এক ঘণ্টা এবং রাতে শুতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সমস্ত ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিন। এক-আধদিন রাত পর্যন্ত মিটিং চলতেই পারে, তবে ডেইলি নয়। ভিডিয়ো গেম নয়, প্রতিদিন নিয়ম করে খানিক্ষণ বাচ্চার সঙ্গে খেলাধুলো করুন, তার হোমওয়ার্কের সময় সাহায্য করুন। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের উপর আস্থা থাক, সেই সঙ্গে সবাই মিলে একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করুন।
Tags – Control Screen Time Life Style