স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণে ঋতুস্রাব হচ্ছে? এর কারণ কি হতে পারে জেনে নিন – Having Less Menstrual Flow Than Usual? Find Out What Could Be The Reason
আপনি সুস্থ আছেন কিনা তা আপনার ঋতুস্রাবই বলে দেবে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা ঋতুস্রাব জনিত শারীরিক সমস্যা আপনার প্রজনন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এগুলিকে অবহেলা করা উচিত নয়।
প্রত্যেক মহিলার মেন্সট্রুয়াল চক্র আলাদা হয়। কারোর ২ দিন তো কারোর ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
স্বাভাবিকের চেয়ে কম পরিমাণে ঋতুস্রাব হয়? এর পিছনে কোন কারণগুলি দায়ী, জেনে নিন
মাসের নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব হল না?
এমনিতে পেটে ব্যথার ধাত থাকলে ঋতুকালীন সময়টাকে কোনও রকমে কাটাতে পারলেই বেঁচে যায় মেয়েরা, কিন্তু আবার না হলে বা কম হলেও তো সমস্যা! কারণ নারীর প্রজনন ক্ষমতার সঙ্গে ঋতুস্রাবের যে সরাসরি যোগ আছে! কাজেই সামান্য হেরফের হলেই চিন্তা হওয়াটা জরুরি।অনেক ক্ষেত্রে খুবই অল্প ঋতুস্রাব কিংবা ‘স্পট ব্লিডিং’-য়ের মতো তাৎক্ষণিক রক্তপাতও দেখা দিতে পারে।
কেন কম হয় ঋতুস্রাব?
ঋতুস্রাব কম হওয়ার পিছনে মানসিক চাপ, হরমোনের তারতম্য ইত্যাদি নানা বিষয় জড়িয়ে আছে। থাইরয়েড কিংবা পিসিওডির মতো সমস্যা থাকলে অল্প ঋতুস্রাবের সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের অসুখ যেহেতু হরমোনের সমতা না থাকার কারণে হয়, তাই এটি সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতাকেও কমিয়ে দিতে পারে।
পিরিয়ডসে ব্লিডিং কম? জেনে নিন, কারণ ও প্রতিকার..
যদি আপনার ভারী এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঋতুস্রাব হয়, তাহলে এটি বিশেষ কিছু সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়। এই কারণে পেলভিক সংক্রমণ বা কিছু রক্তের সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি অতিরিক্ত কম ঋতুস্রাব হয় তাহলে অন্যান্য অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
যদি আপনার হঠাৎ করে স্বাভাবিকের চাইতে কম ঋতুস্রাব হয়, তাহলে এটি প্রাথমিক গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে।
, এটি গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে দাগ বা বিলম্বিত ইমপ্লান্টেশন রক্তপাতকে ইঙ্গিত করতে পারে, বিশেষত যখন পিরিয়ডের সময় কাছাকাছি থাকে। আবার অনেক সময় এটি দেরিতে হতে পারে কিংবা পিরিয়ড মিস হওয়ার পরেও হতে পারে।
কারণ হিসেবে যা যা উঠে আসছে-
কম ঋতুস্রাবের সমস্যা মেনোপজের সময়ও দেখা দেয়। ৫০ বছরের আশেপাশে কম ঋতুস্রাবের হলে জানবেন আপনার মেনোপজের সময় এগিয়ে এসছে। এই সময় অনেকেই এক-দু মাস করে ঋতুস্রাব মিস করতে যান।
এছাড়াও কম ঋতুস্রাব হলে আরেকটি সমস্যা তৈরি হতে পারে, যা হল পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা, ডিম্বস্ফোটনের সমস্যা বা মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্যের কারণে দেখা দিতে পারে।
কম ঋতুস্রাব হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। তবে ভাল হয় যদি সময় থাকতেই আপনি কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ঋতুস্রাব হওয়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনই কম পরিমাণ ঋতুস্রাবও শরীরে প্রভাব ফেলে। তাই আপনিও যদি এমন কোনও সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বয়ঃসন্ধিকালে পিরিয়ডসের নানা সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও নানা বয়সে এখন বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের জন্যও পিরিয়ডসে তার প্রভাব পড়ে।
ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে ব্লিডিং কম হয়। আবার বেশি হলেও সেক্ষেত্রে সমস্যা হয়। সঙ্গে আপনার খাদ্যাভ্যাসে যদি অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চিকেন, মাটন, ডিম থাকে তাও পিরিয়ডসে প্রভাব ফেলে।
কোনও কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে প্রথমদিকে স্পটিং হয়। যা অনেকেই পিরিয়ডস বলে ভুল করেন।
ব্রেস্ট ফিডিং করালেও পিরিয়ডস হতে সময় লাগে। কারণ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ওভ্যালুশন শুরু হতে দেরি হয়।
যাঁরা নিয়মিত পিল কান তাঁদের ক্ষেত্রেও পিরিয়ডসে এই সমস্যা দেখা যায়। কারণ এই পিল ওভ্যালুশনে বাধা দেয়।
স্ট্রেসও নানা প্রভাব ফেলে। কারণ আপনি খুব স্ট্রেসড থাকলে হয় খুব বেশি ব্যথা হয় বা পিরিয়ডসের পরিমাণ কমে যায়। নানারকম শারীরিক অসুবিধে লেগেই থাকে।
অতিরিক্ত পরিশ্রম করলেও পিরিয়ডসে তার প্রভাব পড়ে।
প্রতিদিন সুষম আহর করলে অনেকরকম সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। ফল, শাকসব্জি অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখবেন।
যাঁদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম রয়েছে তাঁদের এই সমস্যা খুব বেশি। কারণ তাঁদের ওবেসিটটির মতো সমস্যা থাকে, হরমোনাল সমস্যা থাকে সেখান থেকেই যাবতীয় সমস্যা হয়।
Tags- Abnormal Period Menstrual Cycle Menstrual Problem