স্বামীর উপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল আপনি – Are You Emotionally Dependent On Your Husband
দাম্পত্য সম্পর্কে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা থাকা খুব স্বাভাবিক। তাতে সম্পর্ক মজবুত হয়, প্রেমের মাধুর্য স্থায়ী হয় সারাজীবন। কিন্তু জানেন তো জীবন যেমন সবসময় সরলরেখায় চলে না, তেমনি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও সবসময় ইতিবাচক হয় না!
কীভাবে বুঝবেন আপনি পার্টনারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন কিনা? ভেবে দেখুন নিচের পয়েন্টগুলো।
স্বামীর উপর মানসিকভাবে খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন? সময় থাকতে সচেতন হোন
পার্টনারের মুডের উপর আপনার আনন্দ নির্ভর করে
পার্টনার খুশি হন এমন কাজ করতে সারাক্ষণ তৎপর থাকেন? তার জন্য নিজের আনন্দের সঙ্গে আপস করতে হলেও পিছপা হন না? তেমন হলে একটু সচেতন হোন।
পার্টনারকে বাদ দিয়ে আপনি কিছু করেন না
সে সিনেমা দেখতে যাওয়াই হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক, স্বামী বা পার্টনার সঙ্গে না গেলে আপনি কি কোথাও যান না? এমন হলে সতর্ক হোন।
দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা থাকা খুব স্বাভাবিক। এতে সম্পর্ক মজবুত হয়, ভালোবাসা হয় আরও গাঢ়। প্রেমের মাধুর্য স্থায়ী হয় সারাজীবন। তবে সমস্যা হল, অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও সবসময় ইতিবাচক হয় না।
স্বামী বা সঙ্গীর উপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল হওয়ার মধ্যে ক্ষতিকর কিছু নেই, কিন্তু আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে তা ক্ষতিকর হয়ে উঠতেও বেশি সময় লাগে না।
দুইজনের মধ্যে কিছু না কিছু পছন্দ-অপছন্দে মিল থাকবে। কিন্তু অন্ধের মতো স্বামীর পছন্দকেই যদি নিজের পছন্দে বদলে নিতে থাকেন, তা হলে আপনার নিজস্বতা বলে কিছু থাকবে না তখন। নিজের ভালো লাগার কাজগুলোর উপরে জোর দিন, না হলে পরে অভাববোধে ভুগবেন, শূন্যতাও ঘিরে ধরতে পারে।
ওয়েস্টার্ন পোশাক বা একেবারি বাঙালি পোষাক হোক-স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না হলেও কি শুধু স্বামী পছন্দের কারণে পোশাক পরেন? তা হলে এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। শুধু পোশাক নয়, চুলের স্টাইল, সাজগোজের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নিজেকে নিজের মতো করে সাজান, নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে শিখুন।
স্বামীর উপর অতিরিক্ত মানসিক নির্ভরশীলতা কীভাবে কমাবেন
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে নারীরা অনেকসময় স্বামীর মন জুগিয়ে চলতে বাধ্য হন এবং নিজের মানসিক অবস্থানটাও তারা সেভাবেই করে নেন। বলা যায়, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার ওপর নির্ভর করে মানসিক নির্ভরশীলতাও।
শুরুতেই চাকরি পাওয়া মুশকিল, তাই পার্ট টাইম বা ফ্রিল্যান্স কোনও কাজ শুরু করতে পারেন। স্বাধীন ব্যবসাও করা যায়। প্রথমেই বড় কিছু না ভেবে একদম ছোট কিছু দিয়ে শুরু করুন। আপনি যে কাজটা সবচেয়ে ভালো পারেন, সেটাই আপনার ব্যবসার ভিত হতে পারে।
স্বামীর যা পছন্দ আপনারও তাই?
স্বামীর পছন্দকেই যদি নিজের পছন্দে বদলে নিতে থাকেন, তা হলে আপনার নিজের পরিচিতি বলে কিছু থাকবে না। নিজের ভালো লাগার কাজগুলোর উপরে জোর দিন, না হলে পরে অভাববোধে ভুগবেন।
Tags – Dependent On Your Husband Life Style