Spread the love

স্বাস্থ্যকর খাবার বাচ্চা খেতে চাইছে না এই উপায় গুলো প্রয়োগ করুণ – Apply These Ways If The Child Does Not Want To Eat Healthy Food

শিশু সবসময় অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার খাওয়া প্রতি ঝোক থাকে।! তাই ধৈর্য না হারিয়ে ধীরে ধীরে বাচ্চাকে সবজি খাওয়ানো অভ্যেস করতে হবে। বকুনি দিলে জিনিসটা খাওয়া নিয়ে তার মনে ভয় আর অনিচ্ছা বাড়বে বই কমবে না। বাইরের লোভনীয় খাবারে শিশুকে অভ্যস্ত করে তুলেও কেউ কেউ শিশুর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নষ্ট করেন।


IMG_20220812_230933-1660325984430 স্বাস্থ্যকর খাবার বাচ্চা খেতে চাইছে না এই উপায় গুলো প্রয়োগ করুণ - Apply These Ways If The Child Does Not Want To Eat Healthy Food

স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি বাচ্চার ঝোঁক নেই? কাজে দেবে এই পন্থাগুলো!


অনেক অভিভাবক খাওয়ার মাঝে শিশুকে বিস্কুট, ফল, লজেন্স, আইসক্রিম ইত্যাদি খেতে দেন। অনেকে আবার সময় ধরে খাওয়ান—লক্ষ করেন না শিশুর পেটে ক্ষুধা আছে কি নেই। অনেকে শিশুর কান্না শুনলেই মনে করেন, তার বুঝি ক্ষুধা পেয়েছে।

কিভাবে খাওয়াবেন স্বাস্থ্যকর খাবার সেটাই বলবো –


খাবারের স্বাদ


শিশুর পছন্দসই খাবার রান্না করুন। শিশু খাবারের যথাযথ স্বাদ অনুভব করতে পারবে না। খেতে পারছে না বলে ওই খাবারের প্রতি তার এক ধরনের বিরক্তি তৈরি হবে।


সময়সূচি অনুযায়ী খেতে দিন


বয়সভেদে শিশুর ক্ষুধা লাগার সময়ে কিছুটা পার্থক্য আছে। আপনার শিশুকে সব সময় নিয়ম বা সময়সূচি অনুযায়ী খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন।


খাবারের বিরতি


সাধারণত দুই থেকে তিন বছর বয়সী বাচ্চাদের প্রতিবেলা খাবারের মাঝে দুই থেতে তিন ঘণ্টা বিরতি থাকা উচিত।


তিন থেকে চার বছর বয়সীদের জন্য তিন থেকে চার ঘণ্টা বিরতিতে খাবার দেওয়া উচিত। এভাবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কিশোর বয়স পর্যন্ত প্রতিবেলা খাবারের মাঝের বিরতি একটু করে বাড়বে। এরপর বড়দের সঙ্গে তিন বেলা খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।


শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে কিভাবে আগ্রহী করবেন



খাবারে ভিন্নতা আনুন


প্রতিদিন এক ধরনের খাবার না দিয়ে খাবারে ভিন্নতা আনুন। যদি তার মনের ভাব সে প্রকাশ করতে পারে, তবে সে যা খেতে চায় তা জেনে নিন। তার পছন্দমতো খাবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি করে খেতে দিন।



IMG_20220812_230926-1660325984635 স্বাস্থ্যকর খাবার বাচ্চা খেতে চাইছে না এই উপায় গুলো প্রয়োগ করুণ - Apply These Ways If The Child Does Not Want To Eat Healthy Food


একবার শক্ত খাবারে আপনার বাচ্চাকে রূপান্তরিত করার পর, আপনি ধীরে ধীরে খাদ্যের গঠণের সাথে তার পরিচয় করানো নিশ্চিত করুন।আপনার ছোট্টটিকে যেন খুব বড় টুকরোর খাবার খাওয়াবেন না, সে সেগুলিকে গিলতে সক্ষম হবে না।


তাকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করুন পিউরি দিয়ে বা এর জন্য বেছে নিতে পারেন স্যুপগুলিকেও।


বাচ্চাদের একটু শারীরিক পরিশ্রম না করালে কিন্তু খিদে বাড়ানো সম্ভব নয়। এই করোনাকালে তাদের খেলাধুলো একদম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিকেলবেলা খেলতে যাওযা, পার্কে হুড়োহুড়ি করার অবকাশ নেই। ঘরের মধ্যে ছুটোছুটি করলে বকাবকি করবেন না।

বাচ্চাদের অভ্যাস ঠিক করতে হলে নিজেরটা আগে করা দরকার

বাচ্চারা সব সময়েই বাবা-মাকে কপি করে থাকে। বাবা-মা যা করেন, ছোট থেকে সেগুলোর বেশিরভাগটাই শেখে বাচ্চা। তাই তাদের অভ্যাস ঠিক করার আগে নিজেদের অভ্যাস ঠিক করা দরকার। বাচ্চারা যদি দেখে বাবা বা মা সারা দিন বিছানায় শুয়ে রয়েছেন, কাজ করছেন না, ফোন ঘাঁটছে বা সিরিয়াল দেখছেন, তা হলে তারাও তাই করবে। তাই নিজেরাও স্বাস্থ্যকর খাবার খান বাচ্চাদের সামনে।

রান্নায় বাচ্চাদের সাহায্য নেওয়া

খাবারে অনীহা থাকে অনেকে বাচ্চারই। ঘরে তৈরি রুটি-তরকারি দেখলেই তারা পালিয়ে যায়। তাদের থেকে যদি রান্না করতেই সাহায্য চাওয়া হয়, তারা কিন্তু খুশি হতে পারে।

বাড়িতেই ভালো ভালো খাবার বানানোর চেষ্টা


অনেক সময়েই অসচেতন অবস্থায় অনেক বাবা-মা বলে ফেলেন, কাজ শেষ করলে মিলবে চকোলেট বা বাচ্চার পছন্দের বাইরের কোনও খাবার। এতে বাবা-মায়েরাই তাকে চকোলেটের প্রতি লোভ দেখান, ফলে চকোলেট খাওয়া যে বেশি ভালো নয় সেটা তারা বুঝতে চাইতে না-ও পারে। তাই চকোলেট বা এই ধরনের বাজার থেকে আনা খাবারের বদলে তাদের উপহার হিসেবে বাড়িতেই কিছু বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

পছন্দের খাবারের মাঝেই লুকোনো থাক পুষ্টিকর খাবার


কোনও পছন্দের খাবারের মধ্যেই যদি লুকিয়ে পুষ্টিকর খাবার দিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে সেটা বাচ্চারা বুঝতে পারে না সাধারণত। যেমন- মিল্ক শেক খেতে পছন্দ করলে তার মধ্যে বিভিন্ন বাদাম পেস্ট করে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। বা কোনও ফ্রুট স্যালাডের মধ্যে কোনও ড্রাই ফ্রুটস অ্যাড করা যেতে পারে।

মাঝে মাঝে বাইরের খাবার খেতে দেওয়া


গরমকালে একেবারে আইসক্রিম খেতে না দেওয়া বা সিনেমা দেখতে গেলে চিপস না দেওয়া অন্যায় হবে। এতে বাচ্চারা জেদি হয়ে যেতে পারে এবং যা খেতে দেওয়া একদম হচ্ছে না সে দিকেই ঝোঁক বাড়তে পারে।

নতুন খাবার খাওয়ানো


বাচ্চারা নিজেরাই বুঝতে পারে না কোনটা খেতে ভালো লাগবে, কোনটা লাগবে না। তাই একদম ছোটবেলাতেই বেশি নতুন রকম খাবার খাওয়ালে তাদের পছন্দ না-ও হতে পারে। তাই তাদের পছন্দের খাবার দিলে তাদের বাড়ির খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হবে না।


Tags: Children Food Parenting Tips Snacks Parenting Healthy Eating

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *