মেয়েরা যখন প্রথমবার গর্ভধারণ করে তখন তার ওপর কতো দায়িত্ব চলে আসে… তার সঙ্গে ছোটো একটা বাচ্চার ও খেয়াল রাখতে হয়….এই বিশেষ যত্নের অন্যতম প্রধান অংশ হলো খাদ্যাভ্যাস। গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ভালো ভালো খাবার খাওয়া অন্তত প্রয়োজনীয়। অনেকে বুঝতে পারে না গর্ভাবস্থার প্রথম ৩- ৪ মাসের ডায়েট পরিকল্পনা কেমন হবে,, আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিচে তুলে ধরছি..
✓✓ গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাসে খাদ্য তালিকায় ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি প্রোটিন, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এসব পুষ্টি উপাদান আপনার ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে।
✓✓ গর্ভাবস্থায় সবজি বেশি করে খাওয়া উচিতযেমন গাজর, মিষ্টি আলু এবং সবুজ পাতাওয়ালা শাকসবজি- এগুলোর সবকিছুতেই ভিটামিন ‘এ’ থাকে।
✓✓ আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে আখরোট, পেস্তা বাদাম, ডিম, ছোলা, মুগ, ব্রকলি, কমলালেবু ইত্যাদি।
✓✓ আমাদের দেশে মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি খুব বেশি দেখা যায়, কিনতু জানেন কি আয়রনের ঘাটতি হলে গর্ভের শিশুর শরীরে অক্সিজেন কম পৌঁছায়। তাই এই সময় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক, ডিম, মুরগির মাংস, ছোলা, খেজুর, কলা ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
✓✓ এ ছাড়া আপনার খাদ্যতালিকায় জিংকসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, ছোলা, ডিম, আমন্ড, কাজু, চিনা দুধ ইত্যাদি রাখতে হবে।
✓✓ ক্যালসিয়ামগর্ভাবস্থায় শিশুর হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শরীর মায়ের হাড় থেকে গর্ভের শিশুর শরীরে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করবে। এর জন্য – দুধ, দই, পনীর, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, খাওয়া প্রয়োজন।
✓✓ এই সময় প্রচুর ফল খাওয়া উচিত। যেমন – আপেল, কলা, মৌসুম্বি, নেসপাতি ইত্যাদী।
✓✓ ব্রোকলি এবং পালং শাক, পুষ্টিতে ভরপুর, বেশি বেশি করে এগুলো খাবেন। আপনার ডায়েটে গাঢ় শাক-সবুজের পরিমাণ বাড়ানো সহজ। সবুজ শাকগুলিকে মোটা করে কেটে নিন এবং স্মুদি, স্যুপ, অমলেট বা নাড়া-ভাজাতে টস করুন।
আরোও পড়ুন,
Castor Oil: পুজোর আগে চুলের গ্রোথ বাড়াতে ব্যবহার করুন ক্যাস্টর অয়েল