বাবা মায়েরা বাচ্চাদের খাওয়ানো নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকেন,,২ থেকে ৩ বছরের শিশুরা খাবার ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে ও অধৈর্য্যশীল হয়। মায়েরা চায় তার শিশুকে দিনভর পুষ্টিযুক্ত খাবার দিতে। এইসময় অবশ্যই জরুরু বাচ্চার সঠিক পুষ্টিও খুব জরুরি। এই সময় বুদ্ধির বিকাশ খুব দ্রুত হতে থাকে। বুদ্ধির সাথে সাথে শারীরিক বিকাশও বৃদ্ধি প্রায়। তাই বুদ্ধির সঠিক বিকাশের জন্য সব ধরনের পুষ্টিযুক্ত ও বিভিন্ন ভ্যারাইটির খাওয়ার খাওয়ানোর প্রয়োজন।
শিশুর পাকস্থলী হয় খুবই ছোটো তাই অতিরিক্ত তেল–মশলা যুক্ত ফাস্ট ফুড এবং মিষ্টি গোলা কার্বনযুক্ত পানীয়গুলির সাথে আপনার ছোট্টটির পরিচয় ঘটানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব করুন এবং তাজা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যগুলিকে বেছে নিয়ে তার একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করুন।
এবং মনে রাখবেন প্রতিটি খাবার সময় খুব বেশি 20 মিনিটের জন্য স্থায়ী হওয়া উচিত এবং তার বেশি নয়।
২ বছরের বাচ্চা কতটুকু ফল খেতে পারবে
ছোট বাচ্চাদের সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ½ থেকে এক কাপ (বা 120 মিলি) ফল খাওয়া উচিত। ফলের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরের কার্যকারিতাকে সাহায্য করে,।।
অনেক বাচ্চারা এই সময় বাইরের প্যাকেট জাত খাবার খেতে শুরু করে। চিপস ,চকোলেট ,আইসক্রিম এই জাতিয় খাবারগুলো মুখোরোচক উচ্চ নুন,চিনি ও ফ্যাট (সোডিয়াম ,সুগার ও ফ্যাট) যুক্ত হয়, যা বাচ্চার স্বাভাবিক ক্ষুদা নষ্ট করে দেয় ,ফলে বাচ্চারা সাধারণ বাড়ির খাবার আর খেতে চায়না। তাই এই সব খাবার বাচ্চা কে দেবেন না।
প্রোটিন ,মিনারেলস ও ক্যালশিয়াম দ্বারা ভরপুর দুগ্দ্ধ জাতীয় খাদ্য যেমন গরুর দুধ ,দই ,ঘী ,চিজ ইত্যাদি বাচ্চার হাড় ও দাঁত গঠন করতে ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে(৩ বছরের শিশুর খাবার তালিকা)। তাছাড়া ডেয়ারী প্রোডাক্টে আছে ভিটামিন-D যা শরীরকে ক্যালশিয়ামের শোষনে ও সঠিক ভাবে ক্যালসিয়ামকে কাজে লাগাতে সাহায্য করে। এছাড়া –
মাছ
মাছ প্রোটিন ও ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশে,চোখের গঠনে, ইমিউন সিস্টেম গঠন ও মজবুত রাখতে ভীষণ ভাবে জরুরী(২.৫ বছরের শিশুর খাবার তালিকা)। এছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন D, ,সেলেনিয়াম ,ক্যালসিয়াম। অল্প অল্প করে ভাত দিয়ে মাছ খাওয়া শেখাবেন….
ডিম
বেশিরভাগ বাচ্চারা ডিম খেতে খুব ভালোইবাসে। বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলস যুক্ত ডিম আপনার বাচ্চার পুষ্টির অনেকভাগ যোগান দিতে পারে।একটি ডিমে মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩ টি ভিটামিন ও সামান্য পরিমানে হলেও সমস্ত মিনারেলসই পাওয়া যায়। ডিমের মধ্যে থাকা এতো সব গুনাগুন আপনার বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশে ,লিভার কে সুষ্ঠ রাখতে , বিশেষ ভাবে সাহায্য করে(৩ বছরের শিশুর খাবার রেসিপি)।
চিকেন
মাছ ও ডিমের মত চিকেনও প্রোটিনের একটি গুরুত্ব পূর্ন উৎস। চিকেনে বিভিন্ন পুষ্টিকর পদার্থ যেমন আয়রন ,জিঙ্ক ,সেলেনিয়াম ,কোলিন ,ভিটামিনA ও ভিটামিনB12 ইত্যাদি রয়েছে। ,মস্তিষ্কের ও বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে,রক্ত গঠন করে ও কোষে শক্তির যোগান দেয়।
সবজি
সব রকম সবজি যেমন গাজর ,কুমড়ো ইত্যাদি বাচ্চার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন। এই সব হলুদ সবজি উচ্চ ভিটামিনA যুক্ত হয় যা বাচ্চার ইমিউন সিস্টেম ভালো রাখে এবং চোখের দৃষ্টি গঠন ও বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সোয়াবিন:
সোয়াবিন থেকে হেলদি অয়েল পাওয়া যায় যা শিশুর উচ্চতা বাড়ানোর জন্য দরকারি।
সাইট্রাস ফল:
মৌসম্বি, কমলালেবু ইত্যাদি ফল ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ যা স্কার্ভির মতো মারণ রোগের হাত থেকে শিশুকে বাঁচায়। দুপুরের আগে আগে জুস করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।।
Read More,
Vegetable Chart For Kids : Which Vegetable Is Good For Kids
Tags – Baby Food, Health Tips, Food
বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ হলো দুর্গাপুজো…মহালয়া থেকেই এই আমেজ শুরু হয়ে যায়… মহালয়ার দিনে ভোর…
বছর ঘুরে এলো মা…বনে বনে কাশফুলের দোলা লেগে যায়…. এরই মধ্যে চারিদিকে যেনো পুজো পুজো…
পুজোর আগেই চকচকে ত্বক চাইছেন? কিনতু গরমে রোদে পুড়ে আমাদের ত্বকের অবস্থা বারোটা বেজে গেছে,,,…
বছর পেরিয়ে চলে এলো মহালয়া…. মহালয়া মানেই দেবীর আগমন… আর মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের…
বছর পেরিয়ে চলে এলো মহালয়া…. মহালয়া মানেই দেবীর আগমন… আর মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের…
ভিটামিন সি শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি দেহের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে আমাদের রক্ষা করে।…
Leave a Comment