Spread the love

শীতে মাথা ভিজে থাকছে। চুল শুকোচ্ছে না…কাজ থেকে বাড়ি ফিরে যখন বেঁধে রাখা চুল খুলতে যাচ্ছেন ক্লিপে, রাবার ব্যান্ডে মুঠো মুঠো চুল উঠে আসছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার— কিছুই বাদ দিচ্ছেন না। কিন্তু তাতে লাভ তো কিছুই হচ্ছে না, তার জন্য নাকি অনেকেই চাল ধোওয়া জল চুলে অ্যাপ্লাই করছেন? কিনতু আপনি কি জানেন এই জল বেশি পরিমানে মাথার ত্বকে দিলে চুল আরও উঠে যাবে।। নীচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো —-

  • ** কী ভাবে তৈরি করবেন চাল ধোয়া জল?

আধ কাপ চাল পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন, যাতে উপরের ধুলোটা বেরিয়ে যায়। এই ধোয়া চালটা একটা বড়ো পাত্রে নিয়ে তাতে দু’ থেকে তিন কাপ পরিষ্কার জল ঢেলে দিন। এ বার পাত্রটি ঢাকা দিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। দেখবেন চাল নরোম হয়ে গেছে অনেকটা,,, জলটা আরও ঘোলা হয়ে যাবে। এ বার আর একটা পাত্রে এই জলটা ছেঁকে নিন। আপনার চাল ধোয়া জল তৈরি।

চালের জল দিয়ে চুলে গাঁজানোর উপায়?

  • কী ভাবে ব্যবহার করবেন চাল ধোওয়া জল?

শ্যাম্পু করার পর—চুলে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার মাখার পর শেষ বার চুল ধুতে ব্যবহার করুন রাইস ওয়াটার। এ ছাড়া এক কাপ রাইস ওয়াটারের সঙ্গে এক কাপ জল মেশান, তাতে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন। এই জলটা চুলে ঢেলে ধীরে ধীরে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাসাজ করুন।

চাল ধোওয়া জলের উপকারীতা

পাঁচ মিনিট রেখে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন। কিনতু বেশি পরিমানে নয়,,বেশি পরিমানে দিলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়।। কারণ চালের জলে প্রচুর উপকারী উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা আপনার চুলের জন্য ভালো। কিনতু অধিক মাত্রায় নয়…..এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন বি, সি এবং ই।

রাইস ওয়াটারের মধ্য়ে এমন কিছু উপাদান আছে, যা চুলের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়। এর মধ্য়ে ইনোসিটোল নামে একটি কার্বোহাইড্রেট আছে, যা চুলের ড্যামেজ সারায় ও চুলের উপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে। তাই চাল ধোয়া জল চুলে নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন আপনিও। এই জল চুল মজবুত করে ও ঘন করে। এতে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড। যার সাহায্যে চুল লম্বা হতে খুব বেশি সময় লাগে না। সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করলে ফল পাবেন আপনি।

Read More,

How To Use Amla For Hair Growth: নতুন চুল গজাতে ও চুল পড়া কমাতে আমলকির ৫ ব্যবহার

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *