মেনোপজ নতুন কিছু না, প্রত্যেক মহিলার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর এই স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াটি আসে। ৪০ পেরনোর পর থেকে মেয়েদের শরীরে মেনোপজের কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। আর এই অবস্থাকেই পেরিমেনোপজ বলা হয়। পিরিয়ড মেয়েদের একটি অংশ। পিরিয়ড সেই সময় শুরু হয় যখন শরীরের অন্যান্য পরিবর্তন যেমন স্তন বৃদ্ধি, চুলের বিকাশ হওয়া শুরু হয়। পিরিয়ড হবার সঠিক সময় হল ১৩ বছর। তার আগেও যে-কোনও মেয়েরই ঋতুস্রাব শুরু হতে পারে এবং এটা খুব স্বাভাবিক।
মেনোপোজ অর্থাৎ পিরিয়ড স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া এর থেকে শুরু হয় শরীরের নানা অস্বস্তি বা বলতে পারেন মানসিক কষ্ট পেতে থাকে মহিলারা। বাড়িতে অনেক বড়ো মানুষদের দেখবেন তারা শুধু খ্যাঁচ খ্যাঁচ করতে থাকে, এমনটা অনেককেই অভিযোগ করতে শোনা যায়। আসলে এই সব সমস্যা কিন্তু মেনোপজের ফলেই হয়ে থাকে বলে মনে করা হয়।
মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ
আর বেশিরভাগ মহিলাই চিকিৎসক বা মনোবিদের পরামর্শ নেন না। ফল স্বরূপ সমস্যা রোজই বাড়তে থাকে। তাই মেনোপজের আগে যে লক্ষণগুলি আসে। তখন ২-৩ মাস অন্তর-অন্তর পিরিয়ড হতে পারে। মেনোপজ ৪-১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন-ও দেখা যায়, হয়তো চার বছর আপনার পিরিয়ড বন্ধ, আচমকাই চার বছর পর শুরু হয়েছে পিরিয়ড। হরমোনের হঠাৎ এমন পরিবর্তনে শারীরিক, মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় অনেক মহিলারই।
✓✓ মেনোপজের অন্যান্য উপসর্গগুলি হল– শুষ্ক যৌনাঙ্গ, বার বার প্রস্রাব পাওয়া, স্তনে ব্যথা, ঘুমে ব্যাঘাত হওয়া।
মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ কি কি
✓ আর ইস্ট্রোজেন হরমোনের উৎপাদন যখন শরীরে একেবার বন্ধ হয়ে যায় ।
✓ এর প্রভাব দেখা দেয় নারীদের হাড় ও।
✓ মেনোপজের ফলে কারোর কারোর মাথা ব্যথা, ওজন বৃদ্ধি, চুল পড়া বা সাদা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়েন।
মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয়
✓ আয়নায় নিজের চেহারার বদল দেখে অনেকে অবসাদে ভুগতে শুরু করেন।
✓ এই পরিস্থিতিতে এসে স্বামী হিসেবে আপনি বরং তাঁর খেয়াল রাখার দায়িত্বটা নিজেরই হাতে তুলে নিন। শরীরচর্চায় উৎসাহ দিন। জিম, যোগা কিংবা হাঁটার সময় তাঁর সঙ্গী হন। মন খারাপ লাগলে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।এক সঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভালো থাকুন।
আরোও পড়ুন,
Face Cream: ৩ বেস্ট ফেস ক্রিম যা ব্যবহারে মুখ একদম ঘামবে না