Double Cleansing At Night: প্রাকৃতিক উপায়ে রাতের ডাবল ক্লিনজিং
ত্বক ভাল রাখার প্রথম ধাপ ক্লিনজিং বা পরিষ্কার করা। সময়ের অভাবে অনেকেই শুধু জলের ঝাপটা দিয়েই মুখ ধুয়ে নেন। কিন্তু, ত্বক দূষণমূক্ত রাখতে রাখতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজ কিন্তু ক্লিনজিং। আর যদি অ্যাকনে, পিগমেন্টেশন, বলিরেখা থেকে ত্বক দূরে রাখতে চান তা হলে অবশ্যই করুন ডাবল ক্লিনজিং করতে হবে।।
ডাবল ক্লিঞ্জিং কী?
“ত্বকের ময়লা ভালোভাবে অপসারণ করতে এবং ব্রেকআউট প্রতিরোধ করার জন্য ডাবল ক্লিনজিং প্রয়োজন।” বাম বা তেল ভিত্তিক কোনো পরিষ্কারক, মাইসেলার ওয়াটার বা মেইকআপ অপসারণ করে এমন কোনো পণ্য দিয়ে ভালো মতো মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া।
প্রথম ধাপেই চোখের মেইকআপ তুলতে এই ধরনের পণ্য তুলা বা পাতলা কাপড়ে নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড চাপ দিয়ে ধরে আলতোভাবে গোলাকার মালিশ করে মেইকআপ তুলে নিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে উপযুক্ত ফেইশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এর ফলে মুখ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হবে।
ডাবল ক্লিনজিং করার নিয়ম
জানা জরুরি
“দিনের অতিরিক্ত তেল, ময়লা এবং মেইকআপ দূর করার জন্য রাতে একবার ‘ডাবল ক্লিনজিং’ করা যথেষ্ট। সকালে নিয়মিত মুখ ধোয়া ত্বক পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ।।
কখন করবেন ডাবল ক্লিনজ?
সকাল, সন্ধ্যা দুই সময়ের জন্যই ডাবল ক্লিনজিং উপকারী। যেহেতু ত্বকের রোমকূপে ধুলো, বালি ময়লা জমে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, তাই ডাবল ক্লিনজিং নিয়মিত রুটিনের অংশ করে ফেলুন।
কী ভাবে কাজ করে ডাবল ক্লিনজিং
ডাবল ক্লিনজিং ত্বকের রোমকূপের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করে। যা অ্যাকনের সমস্যা দূর করে। ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখায়। আবার “ভারী মেইকআপ ব্যবহার করা না হলে শুষ্ক, সংবেদনশীল বা র্যাশ-প্রবণ ত্বকে ‘ডাবল ক্লিনজিং’ এড়ানো উচিত। এতে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।
ডাবল ক্লিনজিং কি
ক্লিনজিং ব্যবহার করার নিয়ম
ত্বকে আমরা ক্লিনজিং করি সাধারণত ত্বক থেকে যেন বাইরের ধুলো-বালি এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ পরিষ্কার করে মুখের স্বাভাবিক সৌন্দর্য অক্ষত রাখতে পারি। কিন্তু বাজারের ক্লিনজার বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়েই তৈরী। সেটা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা মানে ত্বকে আরো কিছু রাসায়নিক পদার্থ যোগ করা। এর জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে বাড়িতেই ক্লিনজার করে নিতে পারেন –
নারিকেল তেল প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে অসাধারণ কাজ করে। যখন নারিকেল তেল দিয়ে আপনি ডাবল ক্লিনজিং শুরু করবেন তখন এটি আপনার ত্বক থেকে যাবতীয় ময়লা এবং তৈলাক্ত পদার্থ বের করে নিয়ে আসবে। নারিকেল তেল এন্টিমাইক্রোবিয়াল, এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং ত্বকের আর্দ্রতা সহজেই ধরে রাখে। সব ধরণের ত্বকেই নারিকেল তেল ব্যবহার করা যায়। তবে coconut অয়েল ভালো।।
প্রথম ধাপে তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হয়। এতে মুখের গ্রন্থিকোষের গোড়ায় গোড়ায় যে তৈলাক্ত ময়লা লুকিয়ে থাকে তা বের হয়ে আসে
দ্বিতীয় ধাপে জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হয় যাতে মুখের ধুলো-ময়লা এবং ঘাম পরিষ্কার হয়।।
ধাপ ১:
আপনার মেকআপটি উঠিয়ে নিন এবং তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে শুরু করুন। এটি আপনার লোমকূপগুলো খুলবে এবং পণ্যটি গভীরভাবে প্রবেশ করতে সহায়তা করবে।
এক মিনিটের জন্য আপনার মুখে নারিকেল তেল ঘষুন। কাজটি কোমলতার সাথে করতে হবে। তবে আপনার ব্রণ-প্রবণ ত্বক হলে নারিকেল তেল এর বদলে চা গাছের তেল বা অন্য কোনও এসেনশিয়াল তেল ব্যবহার করুন।
ধাপ ৩:
আপনার পছন্দসই ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে হাইড্রেটিং এবং ময়শ্চারাইজিং অবশ্যই ব্যাবহার করুণ।।।