ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার – Skin Brightening Foods
যেসব খাবারে ত্বক থাকবে ভালো
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ভেতরকার পরিবর্তনের ছাপ পড়ে ত্বকের ওপরে। ফলে স্বাভাবিক সমস্যা রূপ নেয় বলিরেখায়। ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে প্রয়োজন পরিমিত পুষ্টি, নিয়মিত যত্ন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
আধুনিক সময়ে সৌন্দর্যের গভীরতা বদলাচ্ছে রোজ রোজ। গায়ের রং যেমনই হোক, মুখের ঔজ্জ্বল্য কিন্তু আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখার দিকেই ঝুঁকছে আজকের প্রজন্ম।ভালো খাবার খেলে, তার ছাপ মুখে পড়বেই।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে কি কি খাবেন দেখে নিন
সঠিক খাবার ত্বকের বাহ্যিক সমস্যা কমিয়ে আনে অনেকটাই। এমন কিছু খাবার আছে, যা থেকে আপনার ত্বক পুষ্টি পাবে, উজ্জ্বলতা পাবে। শরীরে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিও ত্বকের ক্ষতির আরেকটি কারণ। বাহ্যিক এসব ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ত্বকের দরকার অভ্যন্তরীণ পুষ্টি। প্রতিদিন যেসব খাবার খাওয়া হয়, তা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া বা না পড়ার ক্ষেত্রে খাবারের ভূমিকা রয়েছে।
ত্বক ফর্সা করার খাবার
ত্বক ভালো রাখতে উজ্জ্বল রঙের সবজি, টকজাতীয় খাবার, পরিষ্কার পানীয়, প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশ কার্যকর। কোনো কারণে এগুলো পাওয়া না গেলে ভিটামিন সি ট্যাবলেট, মাছের তেলের ট্যাবলেট ও কোলাজেন পাউডার খাওয়া যেতে পারে বিকল্প হিসেবে।
যা খেলে ত্বক উজ্জল ও ফর্সা হয়
ত্বকের আর্দ্রতা ও সজীব ভাব বাড়াতে
প্রতিদিন পাতিলেবুর রস মুখে লাগালে দাগ-ছোপ হালকা হবে। লেবু, হলুদ, বিট খাবার তালিকায় থাকলে ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। হলুদের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বয়সের ছাপ কমতে সহায়তা করে। খাবারে বাদাম যোগ করা হলে তা ত্বক সুন্দর এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। এতে বয়সের ছাপ দূর হয় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
ত্বক উজ্জল হয় যেসব খাবারে
মিষ্টি আলুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল করে। এর অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদান ত্বকের দাগছোপ কমায়। কলায় রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও প্রচুর জল। এতে আপনার ত্বক আর্দ্র থাকে এবং ব্রণের সমস্যাও কমে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় যেসব খাবার
টমেটোতে রয়েছে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের গুণ। সূর্যের প্রতি সংবেদনশীলতা কমাতেও টমেটো সহায়তা করে। ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ব্রণ কমায়। সালাদ এবং রান্নার তেল হিসেবেও জলপাই তেল বেশ উপকারী। প্রতিদিন গ্রিন–টি পান করলে ত্বক মসৃণ ও নমনীয় হয়। গ্রিন–টিতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক সুস্থ রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন ই সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর বীজও ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
কোন খাবার খেলে চেহারা সুন্দর হয় জেনে নিন
ইয়োগার্ট / টকদই
আপনি জানেন কি, ত্বকের বিভিন্ন ছোটখাটো সমস্যার সাথে অন্ত্রের বা Gut এর একটি সম্পর্ক আছে! টকদইয়ে আছে বিভিন্ন ধরণের প্রোবায়োটিকস, যেটা হজমে সাহায্য করে। স্কিনের অনেক ধরনের সমস্যার সল্যুশন দেয় এটা। ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়, ডায়েটে টকদই রাখতে পারেন।
গ্রীন টি
শরীরকে ডিটক্স করার জন্য গ্রীন টি নিঃসন্দেহে একটি দারুন উপাদান। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে হেলদি রাখতে ও স্কিনটোন ব্রাইট করতে দারুন কার্যকরী।
গাজর চোখের সুস্থতার জন্য ভালো কাজ করে। কিন্তু এটি নানা রকম পুষ্টি উপাদানের অসম্ভব ভালো একটি উৎস, যেটি হেলদি এবং গ্লোয়িং ত্বকের জন্য সহায়ক। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন। স্কিনের আউটার লেয়ারে কোষের বৃদ্ধি করে।
কাঠবাদাম / আমন্ড
আমার পরিচিত অনেকেই স্মৃতিশক্তি বর্ধক হিসাবে প্রতিদিনই কয়েকটা কাঠবাদাম খেয়ে থাকেন। কিন্তু জানেন না যে, এটা স্কিনের জন্যও দারুন উপকারি! কাঠবাদাম ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস। এতে থাকা Linoleic acid বা প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কভাব কমিয়ে ফেলে।
আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া খুব ভালো,আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এ, সি আর অন্যান্য দরকারি নিউট্রিয়েন্ট। আর আমরা তো আগেই বলেছি এসব ভিটামিন স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে এবং উজ্জ্বলও করে তোলে। আনইভেন স্কিনটোন রিপেয়ারে, দারুন কাজ করে।
প্রতিদিন প্রচুর জল পান করুন। খাবারের সময়টা প্রতিদিন নির্দিষ্ট রাখার চেষ্টা করুন। খাবারের তালিকায় যেন প্রতিদিন অন্তত দু’টি করে ফল থাকে।
বিভিন্নরকম মাছ খেতে ভালোবাসেন নিশ্চয়ই? মাছে, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে এই ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
শসায় প্রচুর জল থাকে, সেইসঙ্গে থাকে ভিটামিন এ, সি, কে, ফোলেট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ইত্যাদি খনিজ। শসা খেলে আপনার শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র থাকে।
প্রতিদিন সকালের খাবারে অন্তত দুটি ডিম সেদ্ধ করে খান, মাসখানেকের মধ্যেই আপনার ত্বকে ঝলমল করবে। কুসুম ফেলবেন না একেবারেই, কারণ এর মধ্যেই ফ্যাটের ভাগ সবচেয়ে বেশি।
প্রতিদিন অন্তত এক পদের শাক যেন পাতে থাকে। কারণ শাকের রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। যেকোনো সবুজ শাক ভালো করে ধুয়ে নিয়মিত খাওয়া উচিত। শাকের পুষ্টিগুণ আপনার ত্বককেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পুজোর আগে ত্বক উজ্জল করার টিপস্
পেপে
পেপেতে প্রচুর পরিমাণে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড রয়েছে। পেপে স্ম্যাশ করে থকথকে পেস্ট বানিয়ে ২০ মিনিট মতো মুখে লাগিয়ে রেখে তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
টমেটো
মুখের ডার্ক স্পট মেলাতে গেলে টমেটো মাখলে বেশ কাজ দেবে। দৈনিক ডেড স্কিন মারতেও টমেটো খুব উপকারী।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর ভিটামিন যা শুধু ত্বকের জন্যই না বরং দেহের জন্য অনেক ভালো। সবুজ শাকসবজিতে আছে মিনারেল, ভিটামিন, নিউট্রেন্টস এবং সবুজ শাকসবজির মধ্যে পালং শাক খুব স্বাস্থ্যকর। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন সবজি।
Tags – Skin Care Skin Tips Beauty Tips