প্রেশার কুকারে রান্না করছেন জেনে নিন নিরাপদে ব্যবহার করার উপায়! – Learn How To Use A Pressure Cooker Safely!
সময় বাঁচাতে রান্না করার সময় আমরা প্রেসার কুকার ব্য়বহার করি। কিন্তু আমরা কিছু বিষয় ভেবে ভয়ও পাই। প্রেসার কুকারের ঢাকনা উপছে ঝোল বেরিয়ে এল! না এরকম ভাবার আর কোনও কারণ নেই। এখন প্রেসার কুকার অনেক উন্নত। অনেক উন্নত জিনিস এখন প্রেসার কুকারে যোগ হয়েছে। তাই তাতে রান্না করাও যথেষ্ট সহজ। রান্নার কাজ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে প্রেশার কুকার। যেসব খাবার সেদ্ধ হতে বেশি সময় লাগতো, সেগুলো এখন খুব দ্রুত সেদ্ধ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে রান্নার জন্য কম সময় বরাদ্দ করলেই চলছে। এদিকে অল্প সময়ে রান্নার কারণে সাশ্রয় হচ্ছে গ্যাসেরও। তবে একটি সমস্যা, আপনি যদি ঠিকভাবে এই প্রেশার কুকার ব্যবহার না করেন তবে ঘটতে পারে বিপদ।
প্রেসার কুকারে রান্নার সময় এই কয়টি বিষয় খেয়াল না রাখলেই কিন্তু বিপদ!
কুকারে ঠেসে রান্না সামগ্রী ঢোকাবেন না
প্রেসার কুকার সব সময় দুই তৃতীয়াংশ ভর্তি করবেন। তার বেশি কুকারে কোনও খাবার ঢোকাবেন না। এতে রান্না খারাপ হয়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল দিয়ে প্রেসার কুকারটি গ্যাস ওভেনে বসান
রাবার বেল্ট সঠিকভাবে ব্যবহার
প্রেশার কুকারে থাকা রাবার বেল্টের কাজ হলো কুকারের প্রেশার বা চাপ নিয়ন্ত্রণ করা। সেইসঙ্গে এটি তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলে বজায় থাকে রান্নার স্বাদ ও গুণমান।
রাবার বেল্ট ঢিলে হয়ে গেলে
রাবার বেল্ট ঢিলে হয়ে গেলে প্রেশার কুকারে পরানো মুশকিল হয়ে যায়। এরকমটা হলেম রাবার শক্ত করতে প্রেশার কুকার ঠান্ডা করুন। প্রয়োজনে রাবারের উপর ঠান্ডা জল ঢালুন। রাবার ব্যান্ডটি মিনিট দশেকের জন্য রেখে দিন রেফ্রিজারেটরে।
জলের পরিমাণে লক্ষ্য রাখুন
প্রেসার কুকারে রান্না করার জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের প্রয়োজন হয়। কারণ সেই জল থেকে বাষ্প তৈরি করেই প্রেসার কুকারে রান্না হয়। তাই ভালো রান্না করতে গেলে সব সময় এই দিকটাও খেয়াল রাখবেন।
প্রেসার কুকারে রান্নার সময় যেভাবে ব্যাবহার করবেন
প্রেসার কুকারে কতটা তেল ব্যবহার করবেন?
প্রেসার কুকারে রান্না করার সময় অল্প পরিমাণে তেল ব্যবহার করুন। বেশি পরিমাণে তেল প্রেসার কুকারের ক্ষতি করতে পারে। আপনার প্রেসার কুকারের গ্যাসকেট খারাপ করে দিতে পারে।
ঢাকনা ঠিকভাবে বন্ধ করুন
প্রেশার কুকারে প্রতিবার রান্নার সময় খেয়াল করুন এর ঢাকনা ঠিকভাবে বন্ধ হয়েছে কি না। কারণ ঢাকনা ঠিকভাবে আটকানো না হলে তা হতে পারে দুর্ঘটনার কারণ। চুলায় থাকা অবস্থায় কখনো ঢাকনা খুলতে যাবেন না। এতে বিপদের ভয় রয়েছে।
রাবারের বেল্ট পরানোর সময়
প্রেশার কুকারের ঢাকনায় রাবারের বেল্ট পরানোর সময়ও খেয়াল রাখুন। এই বেল্ট যেন কোনোভাবেই ঢিলে অবস্থায় না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজন হলে রাবার বেল্ড বের করে আলাদাভাবে পরিষ্কার এরপর আবার পরিয়ে নিন।
ডাল:
ভাতের পরই চলে আসে ডালের কথা। মসুরের ডাল সিদ্ধ হতে যে সময় লাগে একেও তিন ভাগের এক ভাগে কমিয়ে আনতে পারেন। শুধু একটা ছোট কাজ করতে হবে। ডাল সিদ্ধ বসানোর চার ঘন্টা আগে ডাল ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। দশ মিনিটের মধ্যে ডাল সিদ্ধ হয়ে যায়। এরপর পেঁয়াজ-মরিচ-রসুন তেলে ভেজে বাগার দিয়ে দিলেই হল। পনের মিনিটে ডাল রান্না শেষ। মনে করে ডাল সিদ্ধ করার সময় জল কমিয়ে দিতে হবে।
গরু/খাসীর মাংস: গরু/খাসীর মাংসের জন্যও সেই প্রেসার কুকারই ভরসা। তবে দুইভাবে রান্না করা যায়। একটা হল মাংস আগে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে চর্বির জল টুকু ফেলে দিয়ে এরপর মশলা কষিয়ে রান্না করা যায়। অথবা আগেই মশলা দিয়ে কষিয়ে নিয়ে এরপর জল দিয়ে প্রেসার কুকারে বসিয়ে দেয়া যায়। প্রেসার কুকারে মাংস ভালো মত সিদ্ধ হতে কমপক্ষে বারোটা লম্বা সিটি বাজতে হবে।
শাক-সবজী: এগুলো প্রেসার কুকারে ঠিক সুবিধা হয় না। তাই কড়াইতেই রান্না করি। তবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করি, এতে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়।