খাবারে অ্যালার্জি কিনা তা বোঝার উপায় – How To Find Out If You Have A Food Allergy
নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রতিটি মানুষের সচেতন থাকা জরুরি। রোজকার জীবনে যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো আমাদের নাজেহাল করে তার মধ্যে অন্যতম অ্যালার্জি।খাদ্যে এলার্জি খাদ্য থেকে তৈরি হওয়া এক অস্বাভাবিক ইমিউন প্রতিক্রিয়া । যখন লক্ষণগুলি গুরুতর হয়, তখন তাকে অনাফিল্যাক্সিস বলা হয়।
এমন অনেক খাবারই রয়েছে, যা হয়তো প্রোটিন, ভিটামিন কিংবা উপকারী উপাদানে সম্পন্ন। কিন্তু এটিই আপনার শরীরের নানা সমস্যা সৃষ্টি করছে। আসলে বেশিরভাগ মানুষ বুঝতে পারেন না যে তাদের অ্যালার্জি রয়েছে।
আপনার কি বিশেষ কোনও খাবারে অ্যালার্জি আছে? চিনে নিন তার লক্ষণগুলিকে
জেনে নেওয়া দরকার খাবার থেকে অ্যালার্জি হলে তা কীভাবে বুঝবেন-
কোনো খাবার খাওয়ার মিনিট খানেক থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে যদি আপনার শরীরে কোনো অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝবেন সেই খাবারে আপনার অ্যালার্জি রয়েছে।
*শ্বাসকষ্ট
* হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া
* ত্বকের সমস্যা
* নাক থেকে পানি পড়া
* অতিরিক্ত হাঁচি
* চুলকানি
* বমি
* ডায়েরিয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে সচেতন না হলে পরবর্তী সময়ে তা বিপজ্জনক পর্যায়ে যেতে পারে। এমনকি হতে পারে মৃত্যুও।
কোনও খাবার খাওয়ার পর যদি আপনার শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা সেই খাবারে উপস্থিত কোনও উপাদানকে ক্ষতিকারক বা বিপদের কারণ বলে ভেবে নেয়, তা হলে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণের মাধ্যমে তা বুঝিয়ে দেয়। সেই লক্ষণগুলিই হচ্ছে অ্যালার্জি।
এখানে আরো দু’টি কথা বলে রাখা ভালো। এক নম্বর, বিশেষ বিশেষ ফুড গ্রুপে অ্যালার্জি অনেক সময়েই পারিবারিক সূত্রে উত্তরাধিকার হিসেবে মেলে, আবার শিশুবয়স পেরিয়ে গেলে তা কমেও যায়। দুই, ত্বক, গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ট্র্যাক্ট, কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম এবং শ্বাসনালীতে এই লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে।
যে কারণে খাবারের প্রতি আপনার এলার্জি বাড়তে পারে
যে যে খাবার থেকে অ্যালার্জি হয় সাধারণত সেগুলি হচ্ছে
দুধ, ডিম, বাদাম, সরষে-সূর্যমুখিসহ বীজ, গম, ডাল, সোয়াবিন, সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী (তার মধ্যে চিংড়িও পড়ে)। যাঁদের দুধে অ্যালার্জি থাকে, তাঁদের অনেকেরই গমের প্রোটিন থেকেও সমস্যা হয়।
একেক জনের ক্ষেত্রে একেক খাবারে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। গরুর মাংস, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার যেমন দুধের গুঁড়ো, চিজ, মাখন, মার্জারিন, দই, ক্রিম, আইসক্রিম থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। আবার ডিম, চিংড়ি মাছ, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম, গম, কলা, সয়াবিন থেকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে মাছ কিংবা বেগুন, পুঁই শাকের মতো শাকসবজিতে অ্যালার্জি হতে পারে।
অ্যালার্জি কেন হয়?
এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই শরীর তা সহ্য করতে পারে না। মূলত এই কারণেই অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়।
কারণ যাই হোক, কোনো নির্দিষ্ট খাবারে অ্যালার্জির সমস্যা আন্দাজ করতে পারলে তা এড়িয়ে চলুন।
সকল খাবারে এলার্জি হতে পারে শুরু দিকেই সে সকল খাবারের এক্সপোজার প্রতিরক্ষামূলক হতে পারে। ব্যবস্থাপনা করা হয় যে সকল খাবারে এলার্জি আছে সেগুলো এড়িয়ে চলা এবং এক্সপোজার হয়ে গেলে পরিকল্পনা রাখার মাধ্যমে।
উন্নত বিশ্বে প্রায় ৪% থেকে ৮% লোকের কমপক্ষে একটি খাবারে খাদ্য এলার্জি আছে। এটা প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে বাচ্চাদের মধ্যে বেশি এবং অনুপাতে বাড়ছে। মেয়ে শিশুদের থেকে সাধারণ ছেলে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। কিছু এলার্জি সাধারণত জীবনের শুরুর দিকে বিকশিত হয় কোন দিকে কিছু এলার্জি সাধারণত পরবর্তী জীবনে বিকশিত হয়।
Tags – Food Allergy Life Style