Spread the love

পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা ধরে রাখতে কাজে লাগান এই কৌশল গুলো – Use These Techniques To Maintain Male Fertility

বর্তমানের চূড়ান্ত ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়মিত ডায়েট এবং প্রচণ্ড শারীরিক-মানসিক চাপের কারণে বন্ধ্যাত্ব অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহিলা বা পুরুষ, উভয়ের সন্তানহীনতার সমস্যার পিছনেই একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বর্তমান জীবনযাত্রার মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস।


purush-2-20190416114812-1660574112295 পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা ধরে রাখতে কাজে লাগান এই কৌশল গুলো - Use These Techniques To Maintain Male Fertility

পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা অটুট রাখতে কাজে লাগান এই অব্যর্থ কৌশল

ধূমপান মানব শরীরে প্রায় সাত হাজারেরও বেশি রাসায়নিক এবং আরওএস নিঃসরণ করে। যার ফলে শুক্রাণুর ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং শেষ পর্যন্ত তা বন্ধ্যাত্বের দিকে পরিচালিত হয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন নানান ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজা খাবার ,জাঙ্ক ফুড, অত্যাধিক চিনি কিংবা লবণযুক্ত খাবার স্থূলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য জটিল রোগের অন্যতম কারণ।


গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রক্রিয়াজাত মাংস খান তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা অনেক কম। বিশেষজ্ঞদের মতে স্বাস্থ্যকর সুষম খাদ্য পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাসের অন্যতম একটি কারণ হল অ্যালকোহল সেবন। পাশাপাশি এই অ্যালকোহল পান করলে হরমোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন কিংবা কীটনাশকের মত ক্ষতিকারক পণ্যের বারংবার ব্যবহার পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়াও শাক সবজির ক্ষেত্রে যে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে তা মানবদেহে ক্ষতি ডেকে আনছে।


পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা স্বাভাবিক রাখবেন কীভাবে

বর্তমানে অনেকেই নানান ধরনের ওষুধ ব্যবহার করেন । সেক্ষেত্রে ব্যাথা নাশক বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ শরীরের হরমোনের স্বাভাবিক কাজে নানান ধরনের পরিবর্তন ঘটায় এবং শুক্রাণু উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে।


বর্তমানে বন্ধ্যাত্বের অন্যতম একটি সমস্যা হল স্ট্রেস। স্ট্রেস কোকোর্টিকয়েড কিংবা হরমোনের উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে। শুক্রাণুর গুণমান এবং বন্ধ্যাত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে মানসিক চাপ।


পুরুষদের মধ্যে সমস্যা হলো


শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

অনুপযুক্ত পুষ্টি

বীর্যপাতকে ঘিরে সমস্যা

অ্যান্টি–স্পার্ম অ্যান্টিবডিগুলির উপস্থিতি

প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এমন কিছু ওষুধ

রাসায়নিক এবং ক্ষতিকারক পরিবেশগত পরিস্থিতিতে উন্মুক্ত হওয়া

বেশি অ্যালকোহল গ্রহণ, ধূমপান, ড্রাগ ব্যবহার ইত্যাদির মতো জীবনধারার পছন্দগুলি


এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক পুরুষের সুস্থ-সবল প্রজনন ক্ষমতা ধরে রাখার কয়েকটি অব্যর্থ কৌশল…

১) পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে আমন্ড বাদাম অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। প্রতিদিন সকালে জলখাবারে পাতে অন্তত গোটা পাঁচেক আমন্ড বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। উপকার পাবেন।

২) সুস্থ সন্তানের জন্মের জন্য নীরোগ শরীর এবং স্বাভাবিক ওজন অত্যন্ত আবশ্যক। অতিরিক্ত বেশি বা স্বাভাবিক কম ওজন সন্তান ধারণের পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।


৩) অতিরিক্ত তেলেভাজা বা মশলাদার খাবার-দাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। কৃত্রিম রং ও গন্ধ যুক্ত খাবার না খাওয়াই ভাল।

৪) শীতকালীন চেরি

শীতকালীন চেরি ওষধিটি আপনার পিরিয়ডের প্রায় এক সপ্তাহ পরে খাওয়া উচিত। এই গুঁড়ো ওষধির ছোট এক চা চামচ, দুধের সাথে মেশালে, সেটি হবে আপনার প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করা শুরু করার জন্য একটি উপযুক্ত ডোজ


৫) খাদ্যাভ্যাস


সময়ে খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুম, এই দু’টিকে যত অবহেলা করবেন, ততই বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

৬) খেজুরগুলি কেবল অত্যন্ত সুস্বাদুই নয়, এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি যা গর্ভধারণকে সমর্থন করে। ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি এবং একাধিক খনিজ খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ও স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা ধরে রাখার জন্যও জরুরী। এগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় এবং মলত্যাগ নিয়মিতকরণেও সহায়তা করে।




Tags – Life Style Maintain Male Fertility

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *