Spread the love

ক্রমশই স্বামীর সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছে? কীভাবে পাবেন সমাধান – Increasing Bitterness With Husband? How To Get The Solution


সারাক্ষণ একসঙ্গে গায়ে গায়ে ঘেঁষে থাকার জন্যে খিটিমিটিও যে লেগেই থাকছে। সমস্যা আরও বাড়ছে, যখন প্রেমের ভাগ কমে গিয়ে মতের অমিলের ভাগটাই বেশি হয়ে যাচ্ছে। সত্যি বলতে, এরকম পরিস্থিতিতে বহু দম্পতি আছেন দিনগুলো কেটে যাচ্ছে স্রেফ ঝগড়াঝাঁটিতে। তার কারণও রয়েছে।



IMG_20220807_193820-1659881355518 ক্রমশই স্বামীর সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছে? কীভাবে পাবেন সমাধান - Increasing Bitterness With Husband? How To Get The Solution

ক্রমশই স্বামীর সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছে? কীভাবে ঠিক করবেন

এখন দিনকাল পালটে গেছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করার তাগিদে গত একমাসের উপর ঘরবন্দি রয়েছেন মানুষ। পুরো সময়টা কাছাকাছি থাকতে বাধ্য হওয়ার দরুন পরস্পরের যে দোষত্রুটিগুলো আগে সহ্য করে বা মেনে নেওয়া যেত, আপনিও যদি একই সমস্যায় পড়ে থাকেন, আর চান দাম্পত্য সম্পর্কটা সুস্থ করে তুলতে, তা হলে রিলেশনশিপ কাউন্সেলরের কাছে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন কেন? বরং তার আগেই কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করুন!


অসন্তোষের কারণগুলো খুঁজে দেখুন

একটু ভেবে দেখুন তো, স্বামীর কোন আচরণগুলো আপনার সবচেয়ে অসহ্য লাগছে? একইভাবে নিজের আচরণগুলো সম্পর্কেও সতর্ক হোন। এবার স্বামীর সঙ্গে একটা দিন খোলামেলা কথা বলুন।


IMG_20220807_193859-1659881355316 ক্রমশই স্বামীর সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছে? কীভাবে পাবেন সমাধান - Increasing Bitterness With Husband? How To Get The Solution

দীর্ঘ লকডাউন পিরিয়ডে ক্রমশই স্বামীর সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছে? কীভাবে পাবেন সমাধান


পরস্পরকে স্পেস দিন

দু’জনেই বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করছেন? তা হলে তো নিজেদের আলাদা রুটিন মেনে চলতেই হবে! দু’জনে কথা বলেই এ ব্যাপারটা ঠিক করে নিতে পারেন। এমনকী, কাজের বাইরে অবসর কাটানোর সময়টাও যে একসঙ্গে কাটাতে হবে, তা নয়। বই পড়ুন, সোশাল মিডিয়া করুন, সাজগোজে সময় দিন।

দাম্পত্য আলাপ বাদ দেবেন না

নিজের স্পেস দরকার বলে স্বামীর সঙ্গে বাক্যালাপ একেবারে বন্ধ করে দেওয়াও কাজের কথা নয়! অবসরের পুরো সময়টা ফোন বা নেটফ্লিক্সে কাটিয়ে দেবেন না। দিনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময় স্বামীর সঙ্গে বসে গল্প করুন।

যতই মনোমালিন্য হোক, রাগ করে জীবনসঙ্গীর থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখবেন না। রোমান্স করুন, ভালোবাসা প্রকাশ করুন। তাকে জানতে দিন যে তার কতটা পরোয়া আপনি করেন।


আজকাল মোবাইল ফোন ছাড়া যেন আমাদেও এক মুহূর্তও চলেনা। তাই বলে নিজের একান্ত সময়ে ফোন বন্ধ রাখাই ভালো। মানে ফেইসবুক হোক বা বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা, অফিসের কল হোক বা জরুরি কাজ— দিনের কিছু সময় এই যন্ত্র দূরে রেখে জীবনসঙ্গীকে সময় দিন।


রাতে বাসায় এসে হাতের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করুন। একই সময়ে রাতের খাবার শেষে চেষ্টা করুন শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও একইসঙ্গে বিছানায় যেতে।


সকালে হোক বা সন্ধ্যায়, পাশাপাশি একসঙ্গে বসে চা/কফি পানের পর্ব সারুন। হয়ত বারান্দায়, কিংবা বসার ঘরে— আয়োজন করুন সুন্দর করে। ফাঁকে সেরে নিন সংসারের আলাপ। নিজেদের পুরানো ছবির অ্যালবাম, স্মৃতি বিজড়িত এটা-সেটা নিয়ে প্রায়ই আড্ডা জমান।

রোজ রোজ সেই একঘেয়ে সংসারের প্যাচাল আর খিটমিট, সুন্দর সম্পর্কেও ফাটল ধরাতে পারে। নতুন কিছু বলুন, নতুন বিষয় নিয়ে কথোপকথন চালান। সম্পর্ক নতুন হয়ে উঠবে।


নিজের প্রিয় মানুষকে ধন্যবাদ দিন। তার সেই প্রতিটি কাজের জন্য যা তিনি করেন আপনার খাতিরে।

সব সময় পজিটিভ কথা বলুন। আপনাদের রোজকার কথাবার্তায় যতটা পারবেন খারাপ ঘটনার কথা এড়িয়ে যান। বরং গোটা দিনে আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভাল ভাল ঘটনা নিয়ে আলোচনা করুন। একে অপরের থেকে কোনও কিছু লুকোবেন না।

বিছানায় ঘনিষ্ঠতাও দরকার

জানি সারাদিন বাড়ি আর সংসারের কাজ করেই কেটে যাচ্ছে সময়। কিন্তু তার জন্য যৌনতাকে অবহেলা করবেন না! সেক্সের মাধ্যমে অনেক চাপা টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, তার সঙ্গে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কটা ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগও পাবেন। সেক্স কিন্তু দারুণ ভালো এক্সারসাইজও বটে!


ঘরের কাজ ভাগ করে নিন

সংসারের সব কাজের দায়িত্ব নিজের উপর নেবেন না! বরং দু’জনে মিলে ভাগ করে নিন কাজগুলো! রান্নাঘরের কাজ, ঘর সাফসুতরো রাখা, বাসনকোসন পরিষ্কার করার মতো কাজগুলো যদি দু’জনে মিলে ভাগ করে নেন ।




Tags – Increasing Bitterness With Husband Life Style

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *