স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দিবে দ্বিগুণ পাতে রাখুন এই খাবার – Keep This Food Twice As Long As It Will Increase Memory
সকালে কথা হল আর বিকেলে ভুল গেলেন, কোন ব্যাঙ্কের চেকবইয়ে সই করে রাখতে হবে। কিন্তু আপনি ভূলে গেলেন? দ্রুত গতির জীবনে অনেক সময়ে আমাদের মাথা ঠিক কাজ করে না, স্মৃতিও ফাঁকি দেয়। তখন স্মার্টফোনের অ্যালার্ম, রিমাইন্ডারের মতো নানা জিনিষ বেছে নিতে হয়।
কিছুই মনে রাখতে পারছে না? মস্তিষ্কের উর্বরতা বাড়াতে অবশ্যই পাতে রাখুন এই খাবারগুলো
রোজকার খাবারে যদি এমন কিছু পুষ্টিগুণ রাখতে পারেন, যাতে মস্তিষ্ক থাকবে সচল, তা হলে কিছুটা হলেও আপনার স্মৃতিশক্তি ভাল হতে পারে।
ব্লুবেরি
রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ব্লুবেরির মতো আর ফল হয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এতে মস্তিষ্ক সচল রাখা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে।
কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন। চিন্তাভাবনা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এই পুষ্টিগুণ অত্যন্ত জরুরি। খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলেও কুমড়োর বীজ নিয়মিত খেলে চাপমুক্ত হতে পারেন।
ডার্ক চকোলেট
মানসিক চাপ কমানো, অবসাদ দূর করা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট। নিয়মিত এক টুকরো করে খাঁটি ডার্ক চকোলেট যদি রাতে খেতে পারেন, তা হলে উপকার পাবেন।
কফি
দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কফি দারুণ কাজে দেয়। যদিও ক্যাফেইনের প্রভাব শরীরে নানা ভাবে প়ড়তে পারে, তা হলেও কফির ভাল দিকও প্রচুর রয়েছে।
আখরোট
বয়স বাড়ার সঙ্গে যে ধীরে ধীরে মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, তা খানিকটা রুখতে পারে আখরোট।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে যে সব খাবার রাখবেন রোজকার ডায়েটে
জল
প্রচুর পরিমাণ জল, দুধ খাওয়া-খাদ্যাভাসের সঙ্গে স্মৃতিশক্তির দারুণ একটা সম্পর্ক রয়েছে। ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। গোরুর দুধ, জল বেশি করে খান।
ব্রাহ্মি শাকঃ এই শাক খাওয়ার কথা হয়তো কম বেশি অনেকেই শুনে থাকবেন। বাড়িতে প্রায়ই এই শাক খাওয়ার কথা বলে থাকেন বড়রা। এই শাক নিয়মিত খেলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
মানব শরীরেঅত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপন্ন হতে পারে না। তাই খাবারের মাধ্যমে তা গ্রহণ করতেহয়। তৈলাক্ত মাছ যেমন- স্যামন, সারডিন-সহ মিঠাপানি ও সামদ্রিক মাছ থেকে অত্যাবশ্যকীয়ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করতে পারেন।
গোটা শস্য
শরীরের অন্যান্যঅঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো মস্তিষ্ক-ও শক্তি ছাড়া ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা। মস্তিষ্কে ধীরেশক্তি পৌঁছাতে গ্লুকোজ সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
তাই মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বাড়াতে গোটা-শস্য যেমন- ‘বাদামি’ শস্যদানা, রুটি, ভাত ও পাস্তা যা রক্তেধীরে গ্লুকোজ সরবারহ করে।
বিট
প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিদিনবিটের রস খাওয়ানো হলে তা মস্তিষ্কের স্মৃতিভ্রংশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এলাকায় রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ব্রকলি
ব্রকলি গ্লুকোসিনোলেটস’য়ের ভালো উৎস যা নিউরোট্রান্সমিটার, অ্যাসেটাইলকোলাইন ভেঙে শক্তিযোগাতে সাহায্য করে, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সঠিক কার্যকারিতা পরিচালনা করতে ওআমাদের স্মৃতি তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
ডিমের কুসুমকোলিন নামক অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা কোষে সংকেত পৌঁছাতে সাহায্য করে।আর ‘শর্ট-টার্ম মেমোরি’ স্বল্প সময়ের স্মৃতি উন্নয়নে সাহায্য করে।
এক কাপ পালংশাকেদৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ ভিটামিন ই থাকে। এবং রান্না করা আধা কাপ পালংশাকে দৈনিক চাহিদার২৫ শতাংশ ভিটামিন ই থাকে।
Tags: Memory Food Health