Spread the love

এগজিমার সমস্যা দূর করবেন যেভাবে – How To Get Rid Of Eczema Problem


চামড়ার অসুখ হিসেবে এগজিমা খুবই পরিচিত নাম। চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘অ্যাটপিক ডার্মাইটিস’। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়া এগজিমার লক্ষণ। , ৬০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে ২ বছরের কম বয়স থেকে, ৮০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে ৪ বছরের নীচে এবং ২০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়সের পর এই রোগের লক্ষণ শুরু হয়। বড়দের ক্ষেত্রে এমন রোগকে বলা হয় অ্যাডাল্ট অনসেট এগজিমা।


IMG_20220802_150207-1659432739636 এগজিমার সমস্যা দূর করবেন যেভাবে - How To Get Rid Of Eczema Problem

একজিমা হলে কী করবেন


বিভিন্ন কারণে এগজিমার সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে পরিবারে কারও এগজিমা থাকলে এই সমস্যা আরও বেশি করে দেখা দেয়। তা ছাড়াও অত্যধিক গরমে ঘাম জমে জমে এমন হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা কিংবা ঋতুস্রাবচলাকালীন হরমোনের ওঠানামায় এই রোগ হতে পারে।


যাঁদের একজিমা বা চর্মরোগ আছে, তাঁদের জন্য সময়টা খারাপ। এই রোগীর ত্বক এমনিতেই শুষ্ক ও খসখসে থাকে, শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় তা আরও প্রকট হয়। চুলকানি থাকে প্রচণ্ড, আর নখ দিয়ে চুলকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়। অনেক সময় সংক্রমণও হয়ে যায়। ধুলাবালু, ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস, অনেক সময় ডিটারজেন্ট বা সাবান—এসব জিনিস ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানি ও ফুসকুড়ি—দুটোই বাড়ে।


একজিমা রোগীদের ত্বককে আর্দ্র রাখতে হবে। স্নানের সময় বেশি গরম জল ব্যবহার করবেন না, বেশি বেশি সাবান বা শ্যাম্পুও নয়। স্নানের পর অতিরিক্ত ঘষাঘষি করে না শুকিয়ে তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে জল সরিয়ে নিন ও আর্দ্র অবস্থাতেই ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা তেল মেখে নিন।


পুরু ময়েশ্চার যা দীর্ঘক্ষণ আর্দ্রতা ধরে রাখে, সেটাই ভালো। যেসব ক্রিম বা লোশনে বাড়তি সুগন্ধি বা রাসায়নিক উপাদান নেই, সেগুলোই বেছে নিন।

চুলকানি কমানোর জন্য অ্যান্টি-হিস্টামিন খেতে পারেন। এরপরও যাঁদের ভীষণ চুলকানি হয়, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু স্টেরয়েড মলম ব্যবহার করতে পারেন।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রোজের জীবনে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।


বর্ষায় বাড়ে এগজিমার সমস্যা! এর সমাধান জেনে নিন


প্রত্যেক দিন স্নান করার তিন মিনিটের মধ্যে সারা শরীরে ভাল করে মেখে নিতে হবে ময়েশ্চারাইজার।

এগজিমা হলে সব সময় সুতির জামাকাপড় পরা জরুরি। ব্যবহৃত পোশাক নিয়মিত কেচে পরিষ্কার করা জরুরি।


খেয়াল রাখতে হবে সাবান যেন মৃদু প্রকৃতির হয়। অর্থাৎ, তীব্র ক্ষারযুক্ত সাবান, যা ত্বকের সব জল টেনে নিয়ে ত্বককে খসখসে করে তোলে, তেমন সাবান ব্যবহার করা যাবে না।


বর্ষাতেও ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণের পাশাপাশি এগজিমার সমস্যা দেখা যায়। তবে সব সংক্রমণই এগজিমা নয়। বর্ষার সময়ে ত্বকে যে র‌্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয় তার কারণ সব সময়ে এগজিমা নয়। দু’টি জিনিস গুলিয়ে ফেললে চলবে না।


একজিমা হলে হাত, পায়ের পাতা, গোড়ালি, কবজি, গলা, বুক, চোখের পাতা, কনুই ও হাঁটু, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মুখ ও মাথায় লাল বা বাদামি ছোপ পড়ে। চামড়া পুরু হয়ে যায়, জায়গায় জায়গায় ফেটে যায়।


বাচ্চাদের যদি শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এবং জ্বর থাকে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


সমস্যা আরও বেশি প্রকট হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইমিউন মডুলেটর ওষুধ ব্যবহার করা যায়।চিকিৎসকদের মতে, জিনগত কারণে একজিমা হতে পারে। ত্বকে যদি ব্যাকটেরিয়া থাকে, কোনও কারণে অ্যালার্জি হয়, তাহলেও হতে পারে এই রোগ। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাবারে অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে একজিমা।

সাবান, স্যাভলন বা ডেটল পরিহার করা বা কম ব্যবহার করা বা কম ক্ষারীয় সাবান ব্যবহার করা বা সাবানের পরিবর্তে শরীরে শ্যাম্পু ব্যবহার করা৷ খুব অল্প সময়ে স্নান করা, ৫ থেকে ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে স্নান না করা৷


একজিমা হলে আক্রান্ত জায়গাটুকু শুধু পরিষ্কার ফুটানো ঠাণ্ডা জল কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শমতো লোশন দিয়ে ধোয়া ভালো। নিমপাতার জল বা ডেটল জল দিয়ে কখনোই পরিষ্কার করা উচিত নয়। নিমপাতা বা অন্য গাছগাছড়া, অ্যান্টিসেপটিক, সাবান ইত্যাদি লাগালে একজিমা আরো বেড়ে যেতে পারে। খুব কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।


আবার বরিক এসিডের মলমও একজিমার ওষুধ নয়। এতে অনেক রোগীর ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়, যাতে একজিমা আরো বেড়ে যেতে পারে। মোট কথা, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো মলমই লাগানো উচিত নয়।

ত্বকে অতিরিক্ত সমস্যা হলে, চুলকানির জেরে ঘুম বা প্রাত্যহিক কাজকর্ম নষ্ট হলে, দীর্ঘদিন ধরে উপসর্গ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।




Tags – Skin Problems Salutations Sikn Care

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *