খাওয়ার পরই গলা জ্বালা করে? ভরসা রাখুন এই ভেষজে – Throat Burning After Eating? Trust This Herb!
খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার মানুষের মধ্যে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও ঠিক সময়ে না খাওয়া, বেশি খাবার খাওয়া, অত্যধিক তেল, ঝাল, মশলা খেলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
সমস্ত ধরনের পেটের সমস্যা দূর করতে পারে
পেটে ব্যথা, গ্যাস, বমি-বমি ভাব, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে সমস্ত সমস্যা দূর করতে পারে জোয়ান। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ল্যাক্সাটাইভস থাকে। তাই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও ঠিক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পর অল্প জোয়ান, আদা ও নুন মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
জোয়ান খাওয়ার উপকারিতা
অ্যান্টাসিড খাওয়ার বদলে জোয়ান ব্যবহার করুন। নিয়মিত অ্যান্টাসিড খাওয়ার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। এর চেয়ে আপনি জোয়ানের সঙ্গে সামান্য বিট নুন মিশিয়ে খেতে পারেন। খাবার খাওয়া পর একটু করে এই মিশ্রণ খেলে গ্যাসের সমস্যা কমে যাবে।
জোয়ানের সঙ্গে জিরে মিশিয়েও খেতে পারেন। জিরে, হিং- এই সব উপাদানগুলো জোয়ানের মতোই পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
জোয়ান ভেজানো জলও একই ভাবে উপকারী। ঈষদুষ্ণ জলে ১ চা চামচ জোয়ান মিশিয়ে নিন। এরপর ওই জলটা পান করুন। সারা রাত ধরে ভিজিয়ে রাখলে ভাল উপকার পাবেন।
আরেকটি উপায়ে জোয়ান ভেজানো জল পান করতে পারেন। একটি পাত্রে দু কাপ জল নিন। এবার সেই জলে মিশিয়ে দিন কিছুটা পরিমাণ জোয়ান। ওই জলটা ফুটিয়ে নিয়ে পান করুন। এতে পেটের সমস্যা কমে যাবে।
গোলা বুক জ্বলছে? জোয়ান খান
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জোয়ানের জল পান করা যেতে পারে। এর পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আসলে শরীরের মেটাবলিজম বা মৌল বিপাকীয় হার বাড়িয়ে দেয় জোয়ান। এর জেরে ফ্যাট বার্ন হয়। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে রাতে জলে জোয়ান মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। পরের দিন সকালে খালি পেটে পান করতে হবে এই জোয়ান জল।
পিরিয়ডের সময় অসহ্য ব্যথা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জোয়ান খাওয়া যেতে পারে। উষ্ণ জলে জোয়ান মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। এতে অ্যাবডমিনাল ও লোয়ার ব্যাক পেইন কমে। তবে জোয়ান খেলে পেট গরম হয়। তাই যদি পিরিয়ডের ফ্লো বেশি হয়, তা হলে জোয়ান থেকে দূরে থাকাই ভালো।
Tags – Gas And Acidity Health Care