তেঁতুলের গুণে ফিরবে জেল্লা – The Sheen Will Return With The Quality Of Tamarind
সাধারণত তেঁতুল স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী, তা অনেকের কাছে পরিচিত। শরীরের যদি কোনও অংশ বর্ণের চেয়ে অতিরিক্ত কালো দেখায় তাহলে তা দেখতেও বিশ্রী লাগে। উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বকের জন্য অনেকেই অনেক পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। তবে নিয়মিত ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং করা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কার্যকরী। ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বিভিন্ন উপকরণে দিয়ে ফেসপ্যাক বা ফেসমাস্ক ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। সাধারণত তেঁতুল স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী, তা অনেকের কাছে পরিচিত। ভারতীয় হেঁসেলে তেঁতুল থাকবেই। রান্নায় স্বাদ আনতে যেমন তেঁতুলের গুণের শেষ নেই, তেমনি ত্বকের সুস্থতার জন্যও তেঁতুলের অবদান রয়েছে অনেক।
রোদে ঘুরে মুখ, গলা, হাতে ট্যান পড়েছে? তেঁতুলের গুণেই ফিরবে ত্বকের জেল্লা!
তেঁতুল শরীরের আভ্যন্তরীণ সিস্টেমের জনম্য যেমন সর্বোত্তম, তেমনি বাইরের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও তেঁতুলের অনেক গুণ রয়েছে। তেঁতুলে ফসফরাস, অ্যামিনো অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি মিনারেল রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী।
ত্বকের যত্নে কীভাবে তেঁতুলের ব্যবহার করবেন , তা দেখে নিন…
এক্সফোলিয়েশনের জন্য-
ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে ও গভীরভাবে ক্লিনজিংয়ের জন্য একটি পাত্রের মধ্যে এক টেবিল চামচ দই ও রক সল্ট নিন। তাতে তেঁতুলের পাল্প যোগ করে ভাল করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার ত্বকের উপর প্রয়োগ করে বেশ কয়েক মিনিট মাসাজ করে নিন। এবার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলফার-উপস্থিতি তেঁতুলের হাইড্রক্সিল- অ্যাসিড আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করবে।
ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে-
ঘাড়ে ও গলায় কালো ছোপ তৈরি হলে তা বেশ বিশ্রী দেখতে লাগে। এই সমস্যা থেকে দ্রুত ও সহজ উপায়ে প্রতিকার পেতে একটি পাত্রের মধ্যে তেঁতুলের পাল্প, সঙ্গে গোলাপ জলের কয়েক ফোঁটা ও মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ঘাড়ে, গলায় লাগিয়ে নিয়ে 20 মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই এই কালো দাগ মিটে যাবে।
প্রাকৃতিক উজ্জ্বল ত্বক পেতে-
উজ্জ্বল এবং প্রাকৃতিক ত্বকে জেল্লা ফেরাতে তেঁতুলের ব্যবহার করা হয়। এরজন্য একটি পাত্রে গরম জলে তেঁতুলে ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখলে ভাল হয়। এবার তেঁতুলের সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো যোগ করে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। কমপক্ষে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। প্রাকৃতিকভাবে আভা পেতে সপ্তাহে ২বার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
তেঁতুলের গুণ
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তেঁতুলের আরও গুনাগুণ রয়েছে- ১) একাদিক ভিটামিন আর খনিজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকরী! তাই যাঁরা নিয়মিত তেঁতুল খান, তাঁদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৩) রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকরী! ফলে কমে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও।
৪) তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা ত্বকের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী!
৫) তেঁতুলের রস শরীরে এইচসিএ বা হাইড্রোক্সিসিট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এই হাইড্রোক্সিসিট্রিক অ্যাসিড সহজে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
৬) তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেগুলি শারীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্ষত সারাতেও তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকর!
৭) তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যালিক অ্যাসিড, টারটারিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
Tags – Beauty Tips Skin Care Skin Tips