তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কি ময়েশ্চারাইজার ব্যাবহার করা উচিত – What Moisturizer Should Be Used For Oily Skin Care !
গরমকালে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে সমস্যার মাত্রাটি একটু বেশিই হয়।তৈলাক্ত ত্বকে একনের প্রবণতা থাকে সবচেয়ে বেশি। কারণ ত্বকের তেলের সঙ্গে খুব সহজেই বাইরের ধুলাবালি ও ময়লা আটকে যায়। আপনাদের মাথায় একটা কথা ঘুরতে থাকে কেন তৈলাক্ত ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা জরুরি?
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার
ফেস ময়েশ্চারাইজিং স্কিনকেয়ার রুটিনের গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ যেটা তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও খাটে। অনেকেই স্কিন অয়েলকে স্কিন হাইড্রেশন ভেবে ভুল করে। বাইরের উপাদান যেমন দূষণ, অতিবেগুনী রশ্মি, অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং কখনো কখনো বাড়তি ক্লিনসিং ত্বকের আর্দ্রতার স্তরের ক্ষতি করতে পারে,য একারণে ময়েশ্চার কমে যেতে পারে। ময়েশ্চারাইজার বাদ দিয়ে যদি কেমিক্যালযুক্ত কিছু ব্যবহার করা হয় তাহলে অয়েল গ্ল্যান্ড থেকে আরও বেশি তেল বের হবে। যথেষ্ট ময়েশ্চার ছাড়া ত্বকের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
সেক্ষেত্রে সহজলভ্য কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান দিয়ে ঘরেই তৈরি করে নেওয়া যাবে তৈলাক্ত ত্বকের ময়েশ্চারাইজার।
গোলাপ ফুলের পাপড়ির ময়েশ্চারাইজার
এক কাপ গোলাপের পাপড়ি, গোলাপজল, অ্যালোভেরার রস। ময়েশ্চারাইজারটি তৈরি করতে প্রথমে একটি পাত্রে অল্প পরিমাণ গোলাপজল ও গোলাপ ফুলের পাপড়ি নিয়ে ফুটাতে হবে। মিশ্রণটি ঘরোয়া তাপমাত্রায় চলে আসলে বায়ুরোধী কাঁচের পাত্রে ঢেলে সংরক্ষণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
এই ময়েশ্চারাইজারটি ত্বকের ব্রণ ও একনের সমস্যা কমাতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
ত্বকের যত্ন নিন! ময়েশ্চারাইজ়ার দিয়ে
দুধ-অলিভ অয়েল ময়েশ্চারাইজার
এই ময়েশ্চারাইজারটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে এক কাপ দুধ, ২-৩ চা চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। কাপে পরিমাণমতো দুধের সঙ্গে অলিভ অয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।
এই ময়েশ্চারাইজারে থাকা দুধ ত্বককে কোমল করতে কাজ করবে ও অলিভ অয়েল ত্বকের pH এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।
একটু হলুদের সঙ্গে টক দইয়ের সঙ্গে বেসন নিন। এই মিশ্রণটা ত্বকে দিন এবং না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ন্যাচারাল ফেস ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এটা ত্বককে নরম করে এবং বেসন বাড়তি তেলটা শুষে নেয়।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার
কলায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ আছে যেটা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে। একটা কলার পেস্ট নিয়ে পুরো মুখে দিন, ১০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন এটা স্কিন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
অ্যালো ভেরা ত্বককে শুধু ময়েশ্চারাইজারই করে না, একই সঙ্গে অতিবেগুনী রশ্মি থেকেও রক্ষা করে এবং ন্যাচারাল একটা হিউমেক্ট্যাক্ট হিসেবে কাজ করে। তাই অ্যালো ভেরা দিয়ে সম্পুর্ন ফেস এ লাগান,,এই ময়েশ্চারাইজার আপনার মুখ ও ঘাড়ে দিন।
শসার জুস ভালো একটা ফেস ময়েশ্চারাইজার। এর অ্যান্টিঅক্সিডন্ট ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকায় এবং ভিটামিন সি চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করে এবং ফোলা ভাব কমায়।
লেবু একটা অ্যাস্ট্রিজেন্ট হিসেবে কাজ করে যেখানে মধু হচ্ছে এমন একটা ইমোলিয়েন্ট যেটা শুধু ময়েশ্চারাইজই করে না অ্যাকনেও প্রতিরোধ করে।
নারিকেল তেলের জন্য ফেস ময়েশ্চাইজার খুব ভালো একটা মেক আপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে এবং ভালো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এটা ত্বকের ভেতর ঢুকে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। এটা ত্বক থেকে ময়লা দূর করে এবং জীবাণুমুক্ত করে। একই সঙ্গে ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। যাদের ত্বকের সমস্যা আছে তাদের জন্য এই ময়েশ্চাইজার বেশ ভালো।
কীভাবে আপনি তৈলাক্ত তেল থেকে পুরোপুরি মুক্ত পাবেন?
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করলে আপনার ত্বকে পোরস জমাট বাঁধে না। বাড়তি তেল দূর করার জন্য টিস্যু পেপারের বদলে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করুন। মুখ ধোয়ার পর নন কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যেটা আপনার ত্বককে আর্দ্র রাখবে ও তৈলাক্তহীন ত্বক নিশ্চিত করবে।
Tags – Skin Care Skin Tips Summer Skin Care Tips