জিম বা ওয়ার্কআউটের পর কি খাবার খাওয়া উচিত – What To Eat After Gym Or Workout
ওজন কমানোর জন্য, প্রায়শই মানুষ জিমে যায়, কিন্তু ওজন কমানো মানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে ব্যায়াম করে নয়, ডায়েটের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।
ওজন কমানোর যাত্রায়, অনেক ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি, আপনি কী খাচ্ছেন তার যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, শুধু জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে ওজন কমানো যায় না। জিমের পাশাপাশি আপনার ডায়েটও ঠিক রাখতে হবে। আপনার খাবারে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান না থাকে, তাহলে আপনি যতই ওয়ার্কআউট করুন না কেন, কোনও কাজে আসবে না। বরং আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ব্যায়াম করার পর কী খাওয়া উচিত
আপনি যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে চান এবং একটি পেশীবহুল শরীর পেতে চান, তাহলে আপনার ডায়েটে এই খাবারগুলি আজই রাখুন।
ব্যায়ামের পরে
ব্যায়াম শেষ করার পর পর কোনো ধরনের ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। চাইলে প্রোটিন শেক পান করে নিতে পারেন। এতে আপনার শরীরের কর্মক্ষমতা ফিরে আসবে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যায়ামের পর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পর হালকা খাবার খেতে পারেন। যেমন ফল কিংবা ফলের রস। অনেক জিমেই ব্যায়ামের পর স্নান করার ব্যবস্থা থাকে। তোয়ালে থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব জিনিস থাকে সেখানে। আর ব্যায়ামের পর পর স্নান করা ঠিক না। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে স্নান করতে হবে। তবে ঘাম শুকাতে সরাসরি ফ্যানের নিচে থাকা যাবে না। নইলে ঠান্ডা লেগে যাবে।
জিম বা ওয়ার্কআউটের পর এই জিনিস গুলি অবশ্যই খান
১/ আপনি ডিম দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন। ডিম প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, এটি পেশী বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ডিম অমলেট ওয়ার্কআউটের পর পরীক্ষা এবং পুষ্টির একটি ভালো সমন্বয় হয়।
২/ জিম করার আধ ঘন্টার মধ্যে আপনার প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। এটি পেশী মেরামত এবং নির্মাণে সাহায্য করে। প্রোটিন গ্রহণের মাধ্যমে, আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড পায়। এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়।
৩/ সারাদিন প্রচুর জল পান করলে পেট ভরবে এবং ক্যালরি বাড়বে না। এর পাশাপাশি এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ওজন কমাতেও সহায়ক। এ ছাড়া প্রচুর ভিটামিন, বাদাম, ফলমূল ও শাক-সবজি খেতে হবে।
৪/ আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন লেবু, পেয়ারা, কমলা এবং পেঁপে অন্তর্ভুক্ত করুন সেই সঙ্গে ওয়ার্কআউটের পরপরই শুকনো ফল যেমন বাদাম, কিশমিশ ইত্যাদি খাওয়া খুব ভালো।
৫/ কার্বোহাইড্রেট ফল (যে কোনও মরশুমি ফল চলতে পারে।ওটস, কিনওয়া, বাজরা, হোল গ্রেন পাউরুটি, রুটি, লাল চালের ভাত খেতে পারবেন।
প্রোটিন
৬/ দুধ, ছানা, দই, ডিম, চকোলেট দেওয়া দুধ
চিকেন, মাছ, টোফু, পিনাট বাটা খাবার তালিকায় রাখুন।
৭/ অ্যাভোকাডো, বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড, যে কোনও বাদাম খান।
৮/ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রচুর পরিমাণে দুধ-কনফ্লেক্সে। পেশিতে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই খাদ্য।
৯/ লাল আলু বাজারে পাওয়া থেকে সংগ্রহ করে রাখুন। কারণ এতে ভিটামিন সি, গ্লুকোজের স্তর বাড়াতে সাহায্য করে।
ফাইবারের মাত্রাও বেশি থাকে লাল আলুতে।
১০/ অল্প পরিমাণে সাদা ভাত খাওয়া যেতে পারে। জিমের সময় শরীরে সুগারের মাত্রা কমে যায়, তাই ভাত সুগার বাড়াতে সাহায্য করে, যা একান্ত প্রয়োজনীয়।
১১/ প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি। এনার্জি বাড়াতে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে ড্রাই ফ্রুটস।
১২/ বাদাম শরীর চর্চার এক অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য। প্রচুর ভিটামিন থাকে।
১৩/ প্রোটিন, ওমেগা-৩ ও এমাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায় চিকেন থেকে। প্রোটিনের ঘাটতি মেটাবে এই খাবার।