শরীর একদম পারফেক্ট আছে কিনা তা ফুটে ওঠে ত্বকের ওপর। শারীর ঠিক না থাকলে তার প্রক্রিয়ায় কোনও গোলমাল হলে তা ত্বকের উপর কোনও না কোনও প্রভাব ফেলেই। আমরা যা খাই তা খাবারের মাধ্যমেই পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল বা খনিজ এবং নানা ধরনের পোষকপদার্থ শরীরে যায়। ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, মিনারেল ঠিকমতো শরীরে না গেলে তার প্রভাব পড়ে ত্বকে। সহজেই ছাপ ফেলতে পারে বয়সবৃদ্ধি। বিশেষ করে প্রভাব পড়তে পারে ত্বকে ও চোখে।
বেশ কিছু খাবার আছে, যাদের অ্যান্টি এজিং (Anti Aging) বলা হয়। ভিটামিন, এলাজিক অ্যাসিড (ellagic acid), প্রাকৃতিক কোলাজেন বুস্টার-এসব সমৃদ্ধ হয় এই ধরনের খাবারগুলি। এসব পদার্থ শরীরে বয়সের ছাপ ফেলতে বাধা দেয়।
তার মধ্যে উল্লেযোগ্য পুষ্টিকর তেল অলিভ অয়েল। এটি অক্সিডেটিভ ড্যামেজ (Oxidative Damage), বলিরেখা তৈরিতে বাধা দেয়। হৃদযন্ত্র ও ধমনীর জন্য প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ভাল উৎস এটি।
ব্রকলি
বার্ধক্যে আটকাতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে ব্রকলি। এই সবজিতে নিকোটিনামাইড মনোনিউক্লিওটাইড (NMN) রয়েছে যা পেশী, লিভার এবং চোখের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকাম অ্যান্টি-এজিং খাবারের মধ্যে একটি। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
গাজর
গাজরে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড বার্ধক্য কমায়। গাজরে মজুত ভিটামিন এ ত্বকের কোষকে সুস্থ করে তোলে এবং ত্বককে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।
প্রতিদিনের খাবারে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের উৎস রাখা প্রয়োজন। সেই চাহিদা প্রায় অনেকটাই পূরণ করতে পারে গ্রিন টি। মানবদেহের কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। ও পুরুষদের প্রস্টেট সংক্রান্ত সমস্যা রুখতে কাজ করে।
বার্ধক্য দূরে রাখতে গেলে প্রতিদিনের ডায়েটে বাদাম রাখতেই হবে। বাদামে বিভিন্ন ধরনের পোষক পদার্থের সমাহার থাকে। প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ থাকে। আমন্ড ও আখরোটে প্রচুর ভিটামিন ই (Vitamin E) থাকে। যা ত্বককে রোদের হাত থেকে রক্ষা করে।
বিভিন্ন গরনের লেবু থেকে টোম্যাটো বা কিউই। যে ফলে বা সব্জিতে ভিটামিন সি রয়েছে। পাতে সেগুলি রাখতেই হবে।
আঙুর
আকারে ছোট চেহারার আঙুর অনেক প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-এজিং উপাদান পাওয়া যায়। এই আঙ্গুর ফল পলিফেনল চোখ, হাড়, লিভার এবং মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে।
পালং শাক
পুষ্টিগুণে ভরপুর, পালং শাকে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। পালং শাকে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আয়রন ছাড়াও এতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করে।
আরও পড়ুন,
শীতকালে ত্বকের যত্নে কমলার খোসা ব্যবহার করুন – Use Orange Peel For Winter Skin Care
Tags – Skin Care, Anti Ageing Foods
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
Leave a Comment