বাঙ্গালী মানুষেরা দই ভাতে বড়ো হয়েছে,,, সকলে দই খেতে ভালবাসেন। বিশেষ করে গরমে টক দইয়ের জনপ্রিয়তা অনেক। রোজকার পাতে দই থাকে অনেকেরই। যারা দুধ খেতে পছন্দ করেন না। তাঁরা বিকল্প হিসাবে টক দই খান। টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান, উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। যেগুলি শরীরের ক্ষতিকার ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, বি ৬, বি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই।
টক দই খাওয়ার সঠিক সময়
অনেক উপায়েই দই খাওয়া যায় যেমন দই-ভাত, দই-চিনি, এবং অনেকে স্মুদি তৈরিতেও ব্যবহার করেন। টক দই থেকে স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে কীভাবে এবং কখন খাবেন দেখে নিন…..
প্রতিদিন দই খেলে কি উপকার হয়?
দই হলো পুষ্টির ভাণ্ডার,,তাই দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে চাইলে নিয়মিত দই খেতেই পারেন। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ১২। গরমে দই খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এবং ত্বক সতেজ রাখে।
দই খেলে শরীরের কি উপকার হয়
প্রতিদিন কতটুকু টক দই খাওয়া উচিত?
দিনে ৩০০-৫০০ গ্রাম দই খাওয়া ভালো ,, দই ওজন কমাতেও (weight loss) সাহায্য করে। আসলে দইয়ের মধ্যে রয়েছে পেটের উপকারী ব্যাকটেরিয়া। নিয়মিত দই খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়। দইতে আছে প্রাণিজ প্রোটিন।
** দই রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। হাইড্রোলিক অ্যাসিড, পেপসিন ও রেনিন নিঃসরন করে দই পেটের গ্যাস কমায়। প্রতিদিন ডায়েটে কিছুটা খেলে প্রেমাচিওর এজিং, জন্ডিস, হেপাটাইটিস প্রতিরোধ করে।
প্রতিদিন দই খাওয়ার ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা
** গরমের দুপুর টকদই যেন ম্যাজিকের কাজ করে। যারা দীর্ঘদিন ধরে আলসারের সমস্যায় ভুগছেন , প্রতিদিন নিয়ম করে এক কাপ টক দই খেলে জটিল শারীরিক সমস্যা থেকে চিরকালের মতো মুক্তি পাবেন।
** শরীরকে ডি-টক্সিফাই রাখতে দই-য়ের জুড়ি মেলা ভার। শরীর থেকে যত টক্সিন বেরোবে ততই শরীর সুস্থ থাকবে। টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
** ঘরে তৈরি দই কখনই ফ্রিজে রাখবেন না। দই ফ্রিজে রাখলেই ব্যাকটেরিয়ার গুণাগুণ কমে যায় এবং সেই সঙ্গে উপকারিতাও কমে যায়।
আরোও পড়ুন,
Apple Cider Benefits: আপেল সিডার ভিনেগারের ৫ স্বাস্থ্য উপকারিতা