ক্লিনিং টোনিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজার লাগানো অত্যন্ত জরুরী। নয়তো ত্বক তার নিজস্ব আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে,,, প্রতিবার আমরা সমস্যায় পড়ি কেমন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে তাই নিয়ে। সকলেই পরামর্শ চান কেমন ময়েশ্চারাইজার কিনবেন, কখন লাগাবেন। যাঁদের ত্বক শুকনো, মিশ্র প্রকৃতির তাঁদের জন্য তেল জাতিয় ময়েশ্চারাইজার সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, অল্পেই ঘামেন তাঁদের জন্য হাইড্রেট বা জল নির্ভর ময়েশ্চারাইজার ভালো। ঘরোয়া উপায়ে ময়েশ্চারাইজার বানানোর পদ্ধতি ইচ্ছে করলে ঘরেই ময়েশ্চারাইজার তৈরি করে নিতে পারেন। এতে আরো ভালো ভাবে উপকার পাবেন —–
1। তৈলাক্ত স্কিনের ক্ষেত্রে জোজোবা অয়েল অর্ধেক চা কাপ, ফ্র্যানকিনসেনস এসেনশিয়াল অয়েল পাঁচ ফোঁটা ও এলোভেরার জেল মিশিয়ে বোতলে রেখে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। জোজোবা অয়েল খুব হালকা যা সহজে স্কিনে মিশে যায়। এলোভেরা তে আছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টব্যাকটেরিয়াল। তাই ব্রণ অ্যাকনে কমিয়ে দেয়।
2। খাঁটি নারকেল তেল- হাফ কাপভিটামিন ই ক্যাপসুল- ৩ টে ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়ল অয়েল- ৯ ফোঁটাযেভাবে বানাবেন–একটা বাটিতে গরম জল নিন। তার উপর একটা বাটিতে নারকেল তেল ঢেলে ভালো করে গলিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে বাকি সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে। এবার পুরো মিশ্রণটা ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে কাঁচের পাত্রে রেখে ব্যবহার করুন।
3। নর্মাল টু ড্রাই স্কিনের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল অর্ধেক চা চামচ, কোকোনাট অয়েল এক টেবিল চামচ, আমন্ড অয়েল এক টেবিল চামচ, স্যানডেলউড এসেনশিয়াল অয়েল পাঁচ ফোঁটা মিশিয়ে ব্যবহারে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
4। অলিভ অয়েল- হাফ কাপভিটামিন ই ক্যাপসুল- ২ টোনার কেল তেল- ১ চামচ ,,যেভাবে বানাবেন—অলিভ অয়েল আর নারকেল তেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার ওর মধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে দিন। পুরো মিশ্রণটা ঠান্ডা করে বোতলে ভরে ফেলুন। এই ময়েশ্চারাইজার কিন্তু শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো।
আরোও পড়ুন,
Causes Of Acne On The Face: গরমে মুখে ব্রণ হওয়ার ৫ কারণ
Healthy Summer Recipes With Curd: টক দইয়ের ৩ স্বাস্থ্যকর রেসিপি