ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় কোলাজেন নামের প্রোটিনের ভূমিকা অপরিসীম। ত্বকের জেল্লা বাড়ানো থেকে শুরু করে চুলের গোড়া মজবুত করতে প্রয়োজন হয় এই প্রোটিনের। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি শুরু হয়। খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনলেই শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক, কী খেলে শরীরে বাড়বে কোলাজেন। কোলাজেন হলো মানব শরীরের সৃষ্ট প্রাকৃতিক প্রোটিন। আমাদের শরীরের হাড়, পেশি, চুল, নখ ও ত্বকের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
কোলাজেন কী?
কোলাজেন (Collagen) এমন একটি পদার্থ যা আমাদের শরীরের বা চামড়ার কুচকে যাওয়া কে আটকায়,, এটা একধরনের স্ট্রাকচারাল প্রোটিন (Structural Protein)। হাড়, দাঁত, পেশি, ত্বক- সবকিছু তৈরিতেই এর ভূমিকা রয়েছে। ত্বক ও নখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এর ভূমিকা রয়েছে। কিছু কিছু খাবার প্রাকৃতিক কোলাজেনের উৎস। আবার কিছু খাবারে এমন পোষকপদার্থ থাকে যা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।
অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, টফু, কটেজ চিজ, মাছ, দুধ ইত্যদি শরীরে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেনের কোনো বিকল্প নেই –
তাঁরা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখে, যা শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
কোলাজেনসমৃদ্ধ এবং এর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে—এমন খাবার প্রচুর আছে।
আমাদের শরীরে কোলাজেন প্রোকোলাজেন হিসেবে শুরু হয়। গ্লাইসিন ও প্রোলিন—এই দুই অ্যামাইনো অ্যাসিড মিলে শরীরে প্রোকোলাজেন তৈরি হয়।
ভিটামিন সি
লেবু ও বেরি–জাতীয় ফলে যে প্রচুর ভিটামিন সি আছে, এটা এখন আর কারও অজানা নয়। কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, স্কোয়াশ, টমেটোতেও অনেক ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে কোলাজেন বাড়ানোর উপায়
ভিটামিন সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শরীরে হাইলুরোনিক অ্যাসিড এবং কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে পারে কারণ উভয়ই ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কমলালেবু, লাল মরিচ, কেল, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রোকলি এবং স্ট্রবেরির মতো খাবার সবই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ,,
কোন খাবার প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেনের উৎস:
মাংস: বিভিন্ন ধরনের মাংস কোলাজেনের অত্যন্ত ভাল উৎস। মুরগি বা খাসির মাংস থেকেই মিলবে পর্যাপ্ত কোলাজেন।
স্ট্যু বা ব্রথ: অনেকেই চিকেন স্টু (Stew) খেয়ে থাকেন। টেংরির সুপও (Soup) খান অনেকে।
মাছ: যেকোনও ধরনের মাছ থেকে উৎকৃষ্ট প্রাণীজ প্রোটিন (Animal Protein) পাওয়া যায়।
ডিম: ডিমের খোসা এবং সাদা অংশে প্রাকৃতিক ভাবে মেলে কোলাজেন। ফলে ডিমের (egg) কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশ খেলে শরীরে কোলাজেন দেওয়া যায়।
কোন খাবার কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে?
জিঙ্ক: শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করতে জিঙ্কেরও প্রয়োজন রয়েছে। এটি কোলাজেন প্রোটিন ধ্বংস হতে বাঁধা দেয়। খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ, কাজুবাদাম, দুগ্ধজাতীয় খাবার রাখতে পারেন। এগুলিতে ভরপুর মাত্রায় জিঙ্ক থাকে।
ম্যাঙ্গানিজ: শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের জন্য গোটা শস্য , বাদাম, ব্রাউন রাইস, সবুজ শাকসব্জিতে ভরপুর মাত্রায় থাকে। তাই খাদ্যতালিকাই এই খাবারগুলি রাখতেই হবে।
লেবুজাতীয় ফল: যেকোনও লেবুজাতীয় ফল কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। কারণ ভিটামিন সি (Vitamin C) কোলাজেন সংশ্লেষে প্রয়োজন।
শাকজাতীয় সব্জি: পালংশাকের মতো সব্জিতেও একাধিক পোষক পদার্থ থাকে যা কোলাজেন তৈরির জন্য সাহায্য করে।
Read More,
How Much Protein Should Be Consumed Per Day – প্রতি দিন কতটা প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন
Tags – Collagen Food, Skin Care
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
Leave a Comment