গরমকাল মানেই ত্বকের নানান সমস্যা।। রোদে বেরোলে ট্যান অবধারিত। সঙ্গে ত্বকে লালচে ভাব, জ্বালা করা সহ নানা সমস্যা। আর এই সব সমস্যা থেকে দূর করতে বেছে নিন শসার ফেসপ্যাক।
আপনি যদি একটি উপাদানে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই বেছে নিতে পারেন শসার এই ফেসপ্যাক। শসা ত্বকের জ্বালা পোড়া যেমন কমায় তেমনই র্যাশ, ইত্যাদি কমায়। এই ফলের ৯০ শতাংশই হল জল।
কেন ব্যবহার করবেন শসার ফেসমাস্ক?
শসায় আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ। শসা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ঠাসা। তাই ঘরোয়া ফেসমাস্কে শসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে। শসা কেনার জন্যে অনেক টাকা আপনাকে খরচ করতে হয় না। অল্প খরচেই নানা উপকার পেতে পারেন আপনি।
গরমকালে এই ফল খাওয়া যেমন ভালো তেমনই ত্বকের জন্য এটা উপকারী। ত্বকে শসা লাগালে ব্যাপক উপকার পাওয়া যায়। শসা আমাদের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এতে পাবেন ভিটামিন সি সহ ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। শসার রস আপনার মুখে টক্সিক পদার্থকে দূর করতে পারে।
শসার প্যাক
এটার জন্য সবার আগে খোসা সমেত শসাকে সরু স্লাইস করে কেটে নিন গোল গোল করে। এবার এটাকে মিনিট দশেকের জন্য ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন ঠান্ডা করতে। এবার বের করে সেটা গোটা মুখে লাগান। এবার মিনিট ১৫-২০ রেখে সরিয়ে নিন এই স্লাইসগুলো। এটা ত্বকের ফোলা ভাব কমাবে, একই সঙ্গে বলিরেখা দূর করবে।
শসা এবং অ্যালোভেরা ফেস মাস্ক
শসা যেমন ত্বককে ভালো রাখে তেমনই অ্যালোভেরা জেলও ত্বককে ভীষণ ভালো রাখে। এই দুই উপাদানকে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে বার্ধক্যের ছাপ কমায়, একই সঙ্গে ত্বককে এটি হাইড্রেটেড রাখে। এটার জন্য আপনাকে শসার টুকরো এবং অ্যালোভেরা জেলকে মিক্সিতে পেস্ট করতে হবে। এবার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে এই ফেসপ্যাক মুখে লাগান।
অ্যালোভেরা এবং শসা, উভয় প্রাকৃতিক উপাদানই ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এই ফেস মাস্ক ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ কমায়, ত্বককে হাইড্রেট এবং তরতাজা রাখে। শসা এবং অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোওয়ার পর এই কুলিং ফেস প্যাকটি লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
শসা এবং দইয়ের ফেসপ্যাক
রোদে বেরিয়েই ত্বক জ্বালা করছে, চুলকাচ্ছে? তাহলে এই প্যাক লাগাতে পারেন মুখে। এটা ত্বককে ঠান্ডা রাখে। রোদের তাপে ত্বকের ক্ষতি হলে সেটাকে সারিয়ে তোলে। একই সঙ্গে এই প্যাক ট্যান দূর করে। এটার জন্য শসার পেস্টে এক চামচ দই মেশান এবার এবার সেটাকে মুখে লাগান। প্রয়োজনে হাতেও লাগাতে পারেন। এবার মিনিট ১০ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণর সমস্যা বাড়ে। এই গরমে ব্রণ হতে পারে বেশি। কিন্তু শসার গুণে এই সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার।সানবার্ন বা অন্যান্য় কারণে ত্বক জ্বালা করলে শসার রস লাগাতে পারেন। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্য়ে আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্য়ামেটরি উপাদান, এটি মুখের জ্বালা কমাতে পারে।ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দেয়। শসায় ৯৫ শতাংশ জল। তাই এটি ব্যবহারে আপনার ত্বকে আর্দ্রতার কোনও ঘাটতি হয় না।
Tags – Face Mask, Skin Care
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
দিন দিন যেনো ত্বকের সমস্যা বেড়েই চলছে,, ত্বকে দাগ ছোপ হওয়া, অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া…
সামনেই তো পুজো এখন থেকেই রূপচর্চা একটু শুরু না করে দিলে হয়… কিনতু এর জন্য…
Leave a Comment