সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে সময় হয় না ত্বকের যত্ন নেওয়ার। তাছাড়া এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা সময় থাকতে ত্বকের খেয়াল রাখেন না। ফলে সময়ের আগেই দেখা দেয় বলিরেখা, দাগ-ছোপের সমস্যা। কিন্তু অনেকের ধারণা ত্বকের যত্ন নিতে গেলে অনেক কিছু করতে হবে। নিয়ম করে ত্বকে নানা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু সেটা নয়। এক্ষেত্রে সামান্য স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চললেই ত্বককে ভাল রাখা যায়। সেগুলো কী-কী চলুন জেনে নেওয়া যাক –
রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে মুখ ধোওয়া- রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরিষ্কার ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। ফেসওয়াশ ব্যবহার করে রোজকার ধুলোময়লা ধুয়ে ফেলুন। মুখ পরিষ্কার থাকলে তাতে ত্বক অক্সিজেন পায় এবং ত্বক ভাল থাকে। ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।।
ডাবল ক্লিনজিং- রোজ যদি নিয়ম করে ডাবল ক্লিনজিং করা হয়, তাহলে ত্বক আরও ভাল থাকে। বিশেষ করে যাঁরা মেকআপ করেন নিয়মিত তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ডাবল ক্লিনজিং খুবই জরুরি।
আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের ধরন কিন্তু আলাদা, শুস্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক বা মিশ্র। ত্বকের ধরন অনুযায়ী তাই পরিচর্যাও হবে ভিন্ন। তাই বেসিক স্কিন কেয়ার অর্থাৎ ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং দিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করুন। এবং এগুলো প্রোডাক্ট অবশ্যই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী কিনবেন ও ব্যবহার করবেন।।
মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ত্বকে লাগাবেন।। কারণ এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। গোলাপজল, গ্লিসারিন ও অ্যালোভেরা জুস একসঙ্গে মিশিয়ে বাড়িতেও ময়েশ্চারাইজার তৈরি করে নিতে পারেন।
দিনের বেলা বাইরে বেরোলে অবশ্যই ১৫-২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিন। দিনের শেষেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে আরো একবার ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নারিশিং নাইট ক্রিম লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।
আর পারলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর জন্য কিছু প্যাক ব্যবহার করতে পারেন,, যেমন-
পাকা কলা চটকে নিন। এবার ওর মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলুন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রেখে দিন ১৫ মিনিট। এবার হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বক একেবারে মসৃণ হয়ে যাবে।
বেসন, মধু, টকদই, মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার তা মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। হাতে পায়েও লাগাতে পারেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে।
এরপর সিরাম হচ্ছে এমন একটি প্রসাধনী যা ঘন (Heavy) হয় এবং এতে অনেক উপকারি উপাদান থাকে। তাই টোনার স্কিপ (Skip) করলেও সিরাম স্কিপ করা একদম উচিৎ হবে না। দিনের বেলা ব্যবহার করার জন্য অ্যাণ্টি অক্সিডেন্ট সিরামই (Antioxidant Serum) সবচেয়ে ভালো। এতে অতিবেগুনী রশ্মি (Harmful Ultra Violet Radiation) থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
সাধারণত মেয়েদের উচিৎ কুড়ির কোঠায় বয়স হলেই দিনে অন্তত দুবার আইক্রিম ব্যবহার করা। তাই তার জন্য এমন আইক্রিম বেছে নেওয়া উচিৎ যা ফাইন লাইনস (Fine Lines) বা বলিরেখা (Wrinkles) এবং কোলাজেন (Collagen) নষ্ট হওয়া রোধ করতে পারে। এসপিএফযুক্ত আই ক্রিম (SPF Based Eye Cream) ব্যবহার করতে হবে। যাতে সূর্যের রশ্মি কোনও ক্ষতি করতে না পারে। যদিও একটা কথা মাথায় রাখা খুব প্রয়োজন। আপনি যদি এতদিন কোনও আইক্রিম ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে হঠাৎ করে আইক্রিম লাগাতে শুরু করলেই কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ফল পাবেন না। তবে হতাশ হওয়ার কোনও দরকার নেই। বেশ কিছুদিন আইক্রিম (Eye Cream) ব্যবহার করলে আপনি ধীরে ধীরে এর ফল পাবেন।
যোগব্যায়ামই যখন ভরসা
শরীরচর্চা না করলে আপনি শরীরের কোনও অংশকেই ভাল রাখতে পারবেন না। যোগব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে গছোপ, ব্রণ, ফুসকুড়ি, ডার্ক সার্কেল ইত্যাদির সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।
ডায়েটই মূল মন্ত্র
ত্বককে ভাল রাখতে ডায়েটের দিকে নজর দিতেই হবে। প্রতিদিন সকালে কার্ব জাতীয় খাবার না খেয়ে তাজা ফল, শাকসবজি খান। গ্রিন স্মুদি, তাজা ফলের রস প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে রাখুন। এই ধরনের পানীয় আপনার শরীর ও ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে এবং আপনার সিস্টেমকে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখবে। এতে ত্বকের জেল্লা বাড়বে। ভালো থাকতে পারবেন।
আরোও পড়ুন,
How To Get Glowing Skin Naturally – শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়
Tags – Skin Care, Daily Skin Care Routine
এই ভ্যাপসা গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফিকে পড়ে যায়…. কিনতু সামনেই তো পুজো এখন থেকেই…
ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের যত্নে দারুণ কাজে আসে। শরীরের নানা উপকার করে। হাড়ের যত্ন…
Stomach Care : শরীর সুস্থ্য রাখতে চাইলে পেট অবশ্যই পরিষ্কার রাখা খুব প্রয়োজন…. এটি শরীর…
আজকাল বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই ফুসকুড়ির সমস্যা হয়ে থাকে…. গরম থেকে হওয়া ফুসকুড়ি- ব্যথা ও…
এই গরমে রোদে কাজের জন্যে বেরোতেই হয়…. আর এর জন্য মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায় ভীষণ…
আজকাল রোদের তাপে, ধুলো বালি দূষণের কারণে বয়স না হতেই বয়স্ক লাগে অনেককে। মুখে চটজলদি…
Leave a Comment