সারা দিনের কাজ কমপ্লিট করে রাতে আসে শান্তির ঘুম। রাতে হয় সকলের ‘মি টাইম’ই ….. তখন শরীর আর মনের ক্লান্তি দূর করে। গোটা দিনের রোদ, ধুলো, দূষণের ঝক্কির পরে ত্বকেরও একটা ‘মি টাইম’ প্রয়োজন হয়। তাকে সেই বিশ্রাম ও পরিচর্যা দেয় নাইট ক্রিম। বাজারে নাইট ক্রিম অনেক আছে,, কিনতু কার্যকারী কোনটা সেটাই ভাবার বিষয়… নাইট ক্রিম বাছাই ও প্রয়োগের কিছু বিধি আছে।
ডে ক্রিম সকলে ব্যবহার করে কিনতু নাইট ক্রিম অধিকাংশ লোকেরাই ইউজ করেনা কিন্তু আপনাকে জানা দরকার নাইট ক্রিমের অন্যতম কাজ হল রোদ-বৃষ্টি ও আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করা। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি মেরামতি ও ত্বকের সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার। নাইট ক্রিম সারা রাত ধরে ত্বকের গভীরে ময়শ্চার পৌঁছে দেয়, কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে চামড়া টানটান রাখে। ত্বকের ভিতরের অংশে পুষ্টি পাঠিয়ে নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। এবং কোলাজেন গঠনের প্রক্রিয়ায় অনুঘটকের কাজ করে ও বয়সজনিত কালো ছোপ মুছে দেয়।
তবে যে কোন নাইট ক্রিম ইউজ করলেই হবে না,,বয়স ও ত্বকের ধরন বুঝে নাইট ক্রিম নির্বাচন করতে হবে। কুড়ির কোঠায় বয়স হলে ডিপ নিউট্রিয়েন্টস-যুক্ত নাইট ক্রিম বেছে নিন। সঙ্গে নাইট ক্রিমের পাশাপাশি আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করা শুরু করুন। কারণ, চোখের নীচের চামড়া খুব পাতলা হয়। সবার আগে বয়সের সূক্ষ্ম রেখা ওখানেই দেখা দেয়।
আমার পছন্দের বেস্ট নাইট ক্রিম হলো Dermdoc Night Cream যা নিয়াসিনামাইড ত্বকে প্রাকৃতিক সিরামাইড তৈরি করতে সহায়তা করে, যা হাইড্রেশন বজায় রাখতে এবং আর্দ্রতা হ্রাস রোধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে মোটা, বেশি হাইড্রেটেড ত্বক হয়। ত্বকের অসম গঠনে অবদান রাখে। নিয়াসিনামাইড ছিদ্রের আকার দৃশ্যমানভাবে কমাতে সাহায্য করে। কোমল অনুভূতির জন্য সামগ্রিক ত্বকের গঠন উন্নত করে। হাইপারপিগমেন্টেশন হ্রাস করে।
নিয়াসিনামাইড ত্বকের মধ্যে রঙ্গক স্থানান্তরকে বাধা দেয়, যা কালো দাগ, বয়সের দাগ এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের অন্যান্য রূপগুলিকে বিবর্ণ করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত তৈলাক্ততা হ্রাস করে এবং ব্রেকআউট প্রতিরোধ করে।
Read More,
Vitamin E Benefits Skin: পুজোর আগে ত্বক ও চুলের যত্ন নিন ভিটামিন ই সাহায্যে
How To Keep Stomach Healthy: গরমে পেট সুস্থ্য ও পরিষ্কার উপায়